আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাঠে ধরাশায়ী ভারত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

রান তাড়ায় ভালোভাবেই পথে ছিল ভারত। কিন্তু পথ হারিয়ে তারা যেতে পারল না লক্ষ্যের ধারেকাছে। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে ফিরল আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

চেন্নাইয়ে বুধবার (২২ মার্চ) তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার জয় ২১ রানে। ২৬৯ রানের পুঁজি গড়ে স্বাগতিকদের থামিয়ে দেয় তারা ২৪৮ রানে। হারে শুরুর পর টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।

চার বছর পর দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারের স্বাদ পেল ভারত। এর আগে সবশেষ ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসে স্টিভেন স্মিথ (শূন্য) ছাড়া বাকি সবাই যান দুই অঙ্কে। তবে পঞ্চাশে যেতে পারেননি কেউ। ত্রিশ ছাড়াতে পারেন দুজন। মূলত লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় আড়াইশ ছাড়ায় তাদের সংগ্রহ। আগের দুই ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা মিচেল মার্শ এবার ৪৭ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৪৭ রান। অ্যালেক্স কেয়ারি করেন ৩৮।

জবাবে ভারত ৩৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৫ রানের শক্ত অবস্থানে থেকে পাঁচ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়। বিরাট কোহলি ৭২ বলে খেলেন সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস। হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ৪০ বলে করেন ৪০ রান।

দারুণ বোলিংয়ে ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বড় অবদান রাখেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। ব্যাট হাতে ১৭ রানের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের পর হাত ঘুরিয়ে ৪১ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার।

অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিংয়ে নামে টস জিতে। ডেভিড ওয়ার্নার ফিরলেও ট্রাভিস হেড ও মার্শের ওপেনিং কম্বিনেশন তারা ধরে রাখে এ দিনও। শুরুটাও হয় তাদের ভালো। ১০ ওভারে রান ছিল বিনা উইকেটে ৬১। এরপরই পথ হারায় সফরকারীরা। পান্ডিয়া টানা তিন ওভারে ফিরিয়ে দেন হেড (৩১ বলে ৩৩), স্মিথ ও মার্শকে (৪৭ বলে ৪৭) ।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ওপেনিং ছাড়া ব্যাটিংয়ে নামেন ওয়ার্নার। চার নম্বরে নেমে তিনি বিদায় নেন ৩১ বলে ২৩ রান করে। মার্নাস লাবুশেনও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। দুইজনই আউট হন রিস্ট স্পিনার কুলদিপ যাদবের বলে বাজে শট খেলে।

তখন ১৩৮ রানে ৫ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার। সেখান থেকে ৫৪ বলে ৫৮ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন কেয়ারি ও মার্কাস স্টয়নিস।২৬ বলে ২৫ রান করা স্টয়নিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার আকসার প্যাটেল। কুলদিপ দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন কেয়ারিকে (৪৬ বলে ৩৮) ।

সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারদের দৃঢ়তায় আড়াইশ ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ। ২৩ বলে ২৬ রান করেন শট অ্যাবট। অ্যাশটন আগার ২১ বলে করেন ১৭। পান্ডিয়া ও কুলদিপ নেন ৩টি করে উইকেট।

রান তাড়ায় রোহিত শর্মা ও শুবমান গিলের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভারত ৯ ওভারে তুলে ফেলে ৬৫ রান। এরপরই রোহিতকে (১৭ বলে ৩০) ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন অ্যাবট। গিলও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪৯ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে ভারত আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি পায় কোহলি ও লোকেশ রাহুলের সৌজন্যে। ৯৩ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙে রাহুলের বিদায়ে (৫০ বলে ৩২) । পরের ওভারে আকসার কাটা পড়েন রান আউটে। কোহলি ও পান্ডিয়ার ব্যাটে তবু সঠিক পথেই ছিল ভারত। ৩৫ ওভারে রান ছিল ৪ উইকেটে ১৮৫। এরপর অ্যাগারের পরপর দুই বলে কোহলি (৭২ বলে ৫৪) ও সূর্যকুমারের বিদায়ে পাল্টে যায় চিত্র।

সূর্যকুমার সিরিজের তিন ম্যাচেই আউট হলেন প্রথম বলে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনবার শূন্য রানে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি।এরপর চেষ্টা করেন পান্ডিয়া ও জাদেজা। নিজের পরপর দুই ওভারে এই দুজনকে ফিরিয়ে ভারতকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেন জ্যাম্পা। ম্যাচের সেরাও তিনিই।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, ৪২.৬ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার বিকেলে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।

শনিবার গত কয়েকদিনের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা হয় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার বিকেল তিনটায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলমান মৌসুমের এই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এই তথ্য জানান।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকেই রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরম। জনজীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। তীব্র রোদের তাপে মানুষ বাইরে আসতে পারছেন না। সকাল ৯টার পর থেকে রোদের তাপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পৃথক শোক বার্তায় তারা প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নারায়ণ দাস। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা শেষ করেন শিব নারায়ণ দাস। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিব নারায়ণ দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শিব নারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।


আরও খবর



অবশেষে চট্টগ্রামে নামল বৃষ্টি, মানুষের স্বস্তির নিশ্বাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ দাবদাহে পুড়তে থাকা চট্টগ্রাম নগরবাসী অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন জায়গায়।

রাত থেকে শুরু হয় বাতাস, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃষ্টির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, চট্টগ্রামে বুধবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



যেখানেই দুর্যোগ-দুর্ভোগ, সেখানেই আ.লীগ : রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু মারা গেছে। মহিলাসহ প্রায় বিশজন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কি দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব উজাড় করে দিচ্ছেন। সেখানে ফল হয় না, এটাতো আপনার কারণে। যেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট সেখানেই আওয়ামী সরকার। আজকে ব্যাংক, বিমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা না কি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে থু থু দিয়ে ইটের দালান গড়া যায় না। যেটা শেখ হাসিনা করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহর অভিশাপ। এই ভয়ংকর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এর আগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমি দস্যুদের তো বাধা দেন না। এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।

এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতারা বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

মিছিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, দীপু ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, জব্বার খান, করিম সরকার, আলমগীর হাসান সোহান, তানভীর আহমেদ সোহেল, আজিজুল হক আকন্দ, মাসুদ পারভেজ, পার্থদেব মণ্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুর রহমান রুমন, মেহেদী হাসান জুয়েলসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর