দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান
ওরফে রবিউল ইসলাম অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার
ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮
জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে রাজধানীর
মগবাজারে শ্বশুরের বাসায় যান। সেখানে গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে
গ্রেপ্তার হন তিনি।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা
জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় আরাভ খান পলাতক
রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে ইন্টারপোলের তালিকায় আরাভ খান
গত ২৮ মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
হয়। ওইদিন সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক
শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
করেছেন আদালত।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ
খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান।
একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেফতার হন। ওইদিনই আরাভের
বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন গোয়েন্দা পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ
ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
আরও পড়ুন: এনআইডিতে আরাভ খানের নাম রবিউল ইসলাম
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ
আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের
উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে
চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান
তিনি। জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আদালত আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানা জারি করেন।