আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অস্তিত্ব সংকটে দেড় শত বছরের কুষ্টিয়া হাই স্কুল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

১৬০ বছর আগে অবিভক্ত বাংলার বৃহত্তর জেলা নদীয়ার মহকুমা কুষ্টিয়া অঞ্চলে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া এইচ ই স্কুল জুবিলি বিল্ডিংটির প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করেন প্রধান ভুমি দাতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাবা বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রায় সাড়ে ১২ একর জমির উপর গড়ে উঠে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া হাইস্কুল। ভূমি রেকর্ড বিভাগের সূত্র মতে, সিএস রেকর্ডীয় ৩টি দাগে ১২ দশমিক ৩৫ একর, এসএ রেকর্ডীয় ৪টি দাগে ১০ দশমিক ৭৬ একর এবং সর্বশেষ আরএস খতিয়ান ভুক্ত ১৪টি দাগে ৮ দশমিক ৩ একর জমির ভূমিকর পরিশোধ করে স্বত্ত্ববান স্কুলটি তার বর্তমান অস্তিত্বও ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিদ্যমান ভূ-সম্পত্তি এখন দুই তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে আশপাশের দখলবাজদের আগ্রাসনে।

তৎকালীন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামে এই স্কুল থেকে পাঠ গ্রহণ করে কাজী মোতাহার হোসেন, কথা সাহিত্যিক মীর মশারফ হোসেন, জাস্টিস রাধাবিনোদ পাল, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এসআর খানদের মতো অসংখ্য গুনি কৃতি সন্তানেরা নানা ক্ষেত্রে নিজ নিজ কর্মগুনে ঐতিহাসিক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। অথচ বর্তমান অবস্থায় এসব এখন কেবলই অতীত। বিস্তীর্ণ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটি এখন দখলবাজদের খপ্পরে চরম ভাবে অস্তিত্ব সংকটে।

এমন বিপন্নের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করে তার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরানোর দাবি জেলার সচেতন মহলের।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে কুষ্টিয়ায় প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল জলিল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের উত্তাল দিনগুলিতে প্রতিদিনের আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো এই কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠটি। এখানেই বঙ্গবন্ধু এসে ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছিলেন। অথচ সেই মাঠটি এখন দেখলে কান্না লাগেপ্রয়োজনে সরকারের নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা প্রয়োগ করে হলেও প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করার দাবি করছি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এক সময়ের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন আর মানুষ গড়ার কারখানা নাই, সবগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন প্রভাবশালী মহলের ব্যবসায়িক ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এতে দখলবাজদের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চরমভাবে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে

১৯৯৯ সালে সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাচ্চু জোড় পূর্বক দুইটি ঘরের জায়গা লিখিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক লুলু উল বাহারের কাছ থেকে। সেই থেকে শুরু করে ২০০১ সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান ইসরাইল হোসেন আফু পৌরসভার জায়গা বলে দাবি করে স্কুল মাঠের পূর্বপাশে এনএস রোড থেকে রেললাইন পর্যন্ত দোকান ঘর তৈরী করেন যার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মামলা করতে হয়েছিলো। পরে আদালতের চুড়ান্ত রায়ে সম্পত্তিটি স্কুলের বলে আদেশ হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ ওই জমিটি ছেড়ে দেয়।

এখানকার দোকান মালিক সাইফুল ইসলাম, মুরাদ চৌধুরী, মিতালী মাইকের মালিকসহ ২০/২৫ জনের দল পাকিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক ভুয়া স্বাক্ষরিত ষ্ট্যাম্প তৈরী করে প্রধান শিক্ষক লুলু উল বাহারের উপর চাপ সৃষ্টি করে ভাড়ার চুক্তির খাজনা রশিদ কাটতে বাধ্য করেন। এজন্য প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত হতে হয় এসব দোকান মালিকদের দ্বারা। এসময় তাদের স্ট্যাম্পগুলি সঠিক কিনা তা নিরীক্ষা করতে স্কুলের ফাইল খুঁজে দেখা যায় অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইল খোয়া গেছে এবং উইপোকা নষ্ট করে দিয়েছে। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দোকান মালিকরা শুধুমাত্র খাজনা রশিদ দাখিল করে আদালতে কোর্ট রেন্ট মামলা করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঝুলিয়ে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিতালী মাইক নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আনোয়ার আলী বলেন, স্কুলের জায়গা ব্যবহারে সবাই অনিয়ম করছেন, আমিও করছি, তবে আমি দোকানের পিছনে আবাসিক ভবন করতে যতটুকু বেশী জায়গা ব্যবহার করছি সেটা খুব শীঘ্রই ছেড়ে দিবো

২০০৯ থেকে ১১ পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদে সভাপতির দায়িত্বে আসেন চৌধুরী মুর্শেদ আলাম মধু। এই সময়টাতে কিছু অনিয়মের সুযোগ পেয়ে এসব দোকান মালিক সমিতির লোকজন আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তারা অধিকাংশই একটার কথা বলে একাধিক দোকান ঘর দখলে নেয়। এই সময়কালে স্কুলের ভূসম্পত্তির চৌহদ্দির পূর্ব পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের জমি দখলের উৎসব চলে। তবে এই দখল উৎসব রোধে নেয়া নানা উদ্যোগকে ভেস্তে দেয় দোকান মালিকরা বলে দাবি করেন চৌধুরী মুর্শেদ আলাম মধু।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা: এ কে এম মুনীর বলেন, নানাবিধ কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে চৌহদ্দি সীমানা রক্ষার স্বার্থে অবকাঠামো নির্মাণসহ আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করতে দোকানঘর তৈরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এসব দোকানঘর গুলিও নানাভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জোরপূর্বক ইচ্ছেমতো কুক্ষিগত করেছেন। ব্যাপারটা এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে যে গরীবের বউ সকলে ভাবী; যে যখন চান্স পেয়েছে ইচ্ছেমতো অপকর্ম করেছে। এসব কিছু চোখ খুলে মুখ বুজে চেয়ে চেয়ে দেখে চোখের জল ফেলানো ছাড়া স্কুলের শিক্ষকদের কিছুই  করার ছিলোনা। মুখ খুল্লেই হয় লাঞ্চনা নতুবা মামলার খড়গ। স্কুলের সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে নিরীহ শিক্ষকেরা কেউই আর মাথা উঁচু করে সোচ্চার প্রতিবাদ করার সাহস দেখান নি।

এছাড়া মাঠের পূর্বদিক থেকে শুরু করে পশ্চিম দিক পর্যন্ত ৫০টির অধিক সংখ্যক দোকান মালিক কোন টাকা দেয়নি বিদ্যালয় তহবিলে। পশ্চিম পাশে সীমানায় এন এস রোড থেকে রেল লাইন পর্যন্ত ১০ফিট প্রস্থ/চওড়া ধরে সম্পূর্ণ জায়গাটি পাশের সীমানায় যুক্ত করে দখলে নিয়েছেন পাশের প্রতিবেশীগণ। এছাড়া যারা ঘরভাড়ার চুক্তি করেছেন তারা অনেকেই সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করায় প্রায় ৫০লক্ষ টাকার উর্দ্ধে অনাদায়ী রয়েছে বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহামন বলেন, একদিকে দেড়শ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত পুরনো ভবনে ছাদ খসে সবগুলি কক্ষের ছাদ ফুরে পানি পড়ে। শিক্ষক পাঠ দিতে পারছে না শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণী কক্ষে সময় কাটতো শংকার মধ্যে। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকার ভূ-সম্পত্তি চারিদিক থেকে দখলের উৎসব চলছে। প্রথম দিকে প্রধান শিক্ষক লুলু উল বাহার নিজে সীমাহীন লাঞ্চনা সহ্য করে স্থানীয় গণ্যমান্যদের স্মরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে সকল শিক্ষকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে বানিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যার সর্বশেষ রূপচিত্র দৃশ্যমান

নিউজ ট্যাগ: কুষ্টিয়া

আরও খবর



সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চার প্রবাসী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের তাবুক শহরে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় চার প্রবাসী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর গালফ নিউজের

সৌদি সংবাদমাধ্যম আল মারসদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাবুক শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মরুভূমির রাস্তায় শ্রমিকদের বহনকারী একটি পিকআপ ট্রাক উল্টে শনিবার (৩০ মার্চ) এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রেড ক্রিসেন্টের টিম ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বন্দর নগরী জেদ্দা থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ট্রাকটি। শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই গাড়ির পেছনের অংশে চড়েছিলেন।

সম্প্রতি সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটিতে প্রায়ই এই ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদিতে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত ও ২২ জন আহত হন।

এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে উত্তর-পশ্চিম সৌদি আরবের আল ওয়াজ উপকূলীয় এলাকায় একটি বাস উল্টে চারজন নিহত এবং সাতজন আহত হন।


আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বালুবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাহবুব হোসেন (৩৫) এক মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচবিবি  উপজেলার দানেজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুব হোসেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকার গরুর খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পথে একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর মোটরসাইকেলেটিকে সামনের থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় দুটি বড় মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘাঁটি দুটির নাম- আল ওমার তেলখনি ও খারাব আল জির। এগুলো সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আল ওমার তেলখনির ওই মার্কিন ঘাঁটিতে চারটি মিসাইল হামলা চালানো হয়। আর খারাব আল জির ঘাঁটিতে তিন মিসাইল ও একটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে এসব হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের নিনভেহ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জুম্মার শহর থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ইরান-সমর্থিত ইরাকি গোষ্ঠী জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে তিন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়। আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন।


আরও খবর



নবীগঞ্জে বাস চাপায় প্রাণ গেল দু’জনের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মডেলবাজার নামক স্থানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেলবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আউশকান্দি ইউনিয়নের মংলাপুর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (২০) ও একই গ্রামের ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে মো. সাদিক মিয়া (৩৫)।

আউশকান্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাহেল আহমদ বলেন, বুধবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেল বাজার এলাকায় সিলেটগামী দ্রুতগতির আল মোবারাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সাদিক ও হাসানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাদিক মিয়া ও হাসান আহমদ নিহত হন।

খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তা লাশ উদ্ধার করে।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব দুর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের শহরগুলোতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে তেল আবিব, জেরুজালেম, সিজারিয়া, রানানা এবং হার্জলিয়াতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।

তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, কেউ যাবে না! আমরা জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করব এবং সেখানেই থাকব, যতক্ষণ না সরকার ভেঙে দেওয়া হয়।

তেল আবিবের হোস্টেজ স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত একটি পৃথক সমাবেশে হামাসের বন্দিদশা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে গাজায় আটক থাকা সমস্ত জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।

উপকূলীয় শহর সিজারিয়াতে বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ধ্বংসের দেবদূতের জন্য কোন ক্ষমা নেই এবং ব্যর্থতা ও পরিত্যাগের জন্য কোন ক্ষমা নেই স্লোগান দেন।


আরও খবর