আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে’

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তেনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিং, ২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।

এসময় তিনি বলেন, করোনার সংকটেও দেশকে উচ্ছৃঙ্খলতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক একটি মহল মাঠে নেমেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পছন্দ করে না, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ পছন্দ করে না, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পছন্দ করে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলে হাজার বছরের সৌভাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বাংলাদেশ পছন্দ করে না। সেই চক্র শেষ হয়ে যায় নি। এ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা বিএনপি দিয়েছে, জাতীয় পার্টি দিয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ক্ষমতায় এনে রাজাকার শাহ আজিজ, আব্দুল আলীম, মাওলানা মান্নান, খান এ সবুরদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন যে বিশ্বাসঘাতকের নাম ছিল মীরজাফর, ১৯৭৫ সালে সে বিশ্বাসঘাতকের নাম হয়েছে খন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চাইবে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যারা ধ্বংস করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর-কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করবে, স্বাধীনতার স্বপ্নে আঘাত করবে তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো যোগ করেন, সংবিধোনের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবিধানের কোন বিধি-বিধানকে অসাংবিধানিক উপায়ে রদ, রহিত, বাতিল, স্থগিত করলে বা করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে তা ষড়যন্ত্র হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া সংবিধানের বিধানের প্রতি নাগরিকদের আস্থা-বিশ্বাস নষ্ট করলে বা প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করলেও তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা-র অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে সাংবিধানিক বিধান ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতির পিতা-ইত্যাদি নিয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কৃতকর্ম স্পষ্ঠভাবে ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে প্রতিভাত।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে এসময় তিনি বলেন, এ খাত একসময় অবহেলিত ছিল। এখন এ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সরকারে নীতি-নির্ধারণ ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে এটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিসর বৃদ্ধি করেছেন। তিনি সবসময় প্রাণিসম্পদ, পোল্ট্রি ও মৎস্য সম্পদকে সামনে নিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন, মনোসংযোগ, দায়বদ্ধতা ও আন্তরিক অংশগ্রহণের কারণে আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বর্তমান জায়গায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টির কথা বলেন। তার নির্দেশনায় আমাদের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির অনেক মাছ ফিরিয়ে এনেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের নতুন নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নের জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অত্যাধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য সকলে মিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন করতে হবে। এ খাতকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। পুষ্টি ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সরবরাহের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এ খাতের পরিসর বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তারা কাজ করতে হবে। সরকার ও রাষ্ট্র পাশে আছে।-যোগ করেন মন্ত্রী।

করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, করোনার মধ্যে কাজ না করলে রাষ্ট্রযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে। রাষ্ট্রযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন হবে না। উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনীতি ঠিক থাকবে না। অর্থনীতি ঠিক না থাকলে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ডিজিটাল রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমরা কেউ পাবো না। এজন্য করোনার মধ্যে কাজও করতে হবে, সচেতনও থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা জাতি, দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নকে সাথে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও চীফ ইনোভেশন অফিসার মোঃ তৌফিকুল আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ৩২টি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি উদ্ভাবনী ধারণাগুলো ঘুরে দেখেন ও এবিষয়ে সম্যক ধারণা নেন।


আরও খবর



নির্বাচনি সহিংসতায় যুবক নিহত: চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগ‌ঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্প‌তিবার রাতে নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকের গুলিতে পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক মো. ওসিকুর ভূঁইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নিহতের বোন একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অন্যদিকে, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী রবিবার গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন বি এম লিয়াকত আলী।


আরও খবর



কোটি টাকার মাদক আইসসহ সংগীতশিল্পী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটি টাকা মূল্যের মারাত্মক ক্ষতিকর মাদক আইসসহ সংগীতশিল্পী এনামুল কবির রেবেল ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদ এলাকা থেকে রেবেলকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি আইস উদ্ধার করা হয়; যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি টাকা।

মশিউর রহমান বলেন, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রামপুরা থানায় এ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারকৃত রেবেল জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী পপগুরু আজম খানের দলের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর