
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আজ সোমবার শহীদ ডা. মিলন হলে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ডকাপ কেরাম টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী ও বর্ষপূর্তি উৎসব ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মসিউজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, অতিরিক্ত রেজস্ট্রিার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিদ্দিক, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফারুক হোসেন, উপাচার্যে একান্ত সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ রাসেল, উপ রেজিস্ট্রার ডা. মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপাচার্যে একান্ত সচিব উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী, নার্সিং সুপরিনটেন্ডেন্ট খালেদা আক্তার, নার্সিং এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র দেবনাথ, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, খেলাধুলায় শরীর ও মন ভালো থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্থবির অবস্থা বিরাজ করছিল। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বভার গ্রহণের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নুতন গতি পেয়েছে। উৎসাহ-উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারী ষড়যন্ত্রকারীদের সহ্য হচ্ছে না। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হয়েছে, দেশে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে, নিয়মিত মাসিক সেমিনার, বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোবটিক সার্জারিও চালু হবে। সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতালও অল্প কয়েক দিনের মধ্যে চালু হবে। সেখানে এখন কনসালটেন্সি কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এসব তো একটি প্রশাসনের জন্য ইতিহাস। তারপরও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ যাতে অস্থিতিশীল না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে কাজ করে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে কর্মচারীরা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন, আবাসিক সমস্যার সমাধান, বিদ্যমান হেলথ কার্ডে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, যে অল্পসংখ্যক দৈনিক মজুরীভিত্তিক কর্মচারীর চাকরি নিয়মিত করা হয়নি তাদের চাকরি নিয়মিতকরণের দাবি জানান।