আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অসহযোগের পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গণসমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে।

শনিবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এসব তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি রোববার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে। সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে ছাত্র-জনতাকে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

আসিফ বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগে বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিতে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান করছি।

এ ছাড়া ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাশিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান এই সমন্বয়ক।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালন করব। তবে আঘাত এলে তা প্রতিহত করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখার আহ্বান রইল।

আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও একদফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন।

নাহিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব।

নাহিদ আরও বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নন, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।


আরও খবর



ডিএমপির ২৫ থানায় নতুন ওসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ২৫ থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

বদলিরা হলেন- ডিএমপির লাইনওআর এর নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. হাবিবুর রহমানকে উত্তরা বিভাগের উত্তরা-পূর্ব থানায়, মোক্তারুজ্জামানকে কলাবাগান থানায়, মোহাম্মদ রাহাৎ খানকে তুরাগ থানায়, মো. জিয়াউর রহমানকে উত্তরখান থানায়, মো. রেজাউল হোসেনকে চকবাজার থানায়, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে হাজারীবাগে, মো. শাহরিয়ার হাসানকে ক্যান্টনমেন্ট থানায়, মু. এনামুল হাসানকে কোতোয়ালি থানায়, মো. সাইফুল ইসলামকে সূত্রাপুরে, মো. খায়রুল ইসলামকে শাহজালালপুর থানায়, মো. ইয়াছিন আলীকে সবুজবাগ থানায়, আবু শাহেদ খানকে গেন্ডারিয়ায়, গাজী শামীমুর রহমান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায়, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে হাতিরঝিল, মোজাম্মেল হককে শেরে বাংলা নগর থানায়, মো. রাসেল সরোয়ারকে বনানী, কাজী গোলাম মোস্তফাকে কাফরুল, মো. মাহমুদুল হাসানকে শাহ আলী থানায়, ইলিয়াস হোসেনকে ডেমরা থানায়, ফয়সাল আহমেদকে ওয়ারী, মো. মাহমুদুর রহমানকে কদমতলী, শাহ্ মো. ফয়সাল আহমেদ ভাষানটেক, মো. মহিউল ইসলাম মতিঝিল, আলী ইফতেখার হাসান মোহাম্মদপুরে এবং ডিবি-সাইবার স্পেশাল ক্রাইম-উত্তর বিভাগের ইন্সপেক্টর দাউদ হোসেনকে খিলগাঁও থানায় বদলি করা হয়েছে।


আরও খবর



সময় টিভির সম্প্রচার নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। এ পর্যন্ত সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ থাকবে।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন। 

সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। সময় মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা খান নীলা।

এর আগে গত ২১ আগস্ট বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট গুলশানের সিটি হাউজে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সময় টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।

এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে রিট আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের। যার শুনানি আগামী ২২ আগস্ট হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।

২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সময় টেলিভিশন ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে। লাইসেন্স নেওয়ার সময় তৎকালীন মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য- এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।

অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ এবং নিয়াজ মোরশেদ ও তুষার আবদুল্লাহর ২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল। এরপর দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে ৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে।

নিউজ ট্যাগ: আদালত সময় টিভি

আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুস্বাদু মাছ ইলিশের মৌসুম চলছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ উপহার যাওয়াটা ছিল অনেকটাই নিশ্চিত। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবস্থার বদল হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানি বন্ধ। এমন অবস্থায় ভারতের বাজারে এই মাছটির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার অবৈধপথে ভারতে যাওয়া কিছু মাছ আবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

এছাড়া শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে ভারতের বাজারে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার জনপ্রিয় মাছের বাজারগুলো চলতি বর্ষায় বেস্ট সেলার পদ্মা নদীর ইলিশের সংকটে পড়েছে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। তবে এই মাছটি সীমান্তের অপর পাশে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের মানুষের কাছেও হট ফেভারিট।

এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ইলিশের সিংহভাগই পেয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়া দুর্গা পূজাকে ঘিরে সুস্বাদু এই মাছের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও ইলিশ মাছটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়।

শঙ্কর পাল নামে কলকাতার এক মাছ ব্যবসায়ী বলছেন, বাংলাদেশি ইলিশের সরবরাহে আকস্মিক পতন ঘটেছে, তাই দাম বাড়বে। আমরা ইতোমধ্যেই এক কেজি ইলিশ ১৮০০ রুপিতে বিক্রি করছি, যা অবৈধভাবে আসছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিখ্যাত ইলিশ কূটনীতির অংশ হিসাবে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে বার্ষিক ইলিশ রপ্তানির সুবিধা দিতেন। ২০১২ সাল থেকে অন্যান্য দেশে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ভারতে মাছ বিক্রির অনুমতি দিতো হাসিনার সরকার।

এনডিটিভি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পরে ইলিশ সরবরাহের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছে ত্রিপুরা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটি পদ্মার ইলিশের অন্যতম প্রধান ক্রেতা এবং সেখানে সুস্বাদু এই খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

আগরতলার মাছ বিক্রেতা তাপস সরকার বলেন, সরবরাহ কমে গেছে তাই আমাদের দাম বাড়াতে হবে। আজ, আমি প্রতি কেজি ইলিশ ১৬০০ রুপিতে কিনেছি। আগে এটি ১৫০০ রুপি, এমনকি ১৪০০ রুপিতেও বিক্রি হতো... শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে আসা অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে।

বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের জেরে এই মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয়সাহাই গত সপ্তাহে বলেছিলেন: বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের কারণে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা অনুমান করছি। আমরা প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করি।

নিউজ ট্যাগ: ইলিশ

আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হবিগঞ্জে ৮ গ্রামের সংঘর্ষে শতাধিক আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে ৮ গ্রামের মানুষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দফায় টানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে মিরপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। যে কারণে সন্ধ্যায় শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। মধ্যরাতে বিরতি দিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর ১টায় সংঘর্ষ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার মিরপুর বাজারে টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে একই উপজেলার লামাতাসি গ্রামের আলফু মিয়ার সঙ্গে বানিয়াগাও গ্রামের জহুরুল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টিকে কেন্দ্র তাদের দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে বানিয়াগাও ও লামাতাসি গ্রামের মানুষ। দেশীয় অস্ত্র লাঠি-সোটা নিয়ে দুই গ্রামবাসী মিরপুর পয়েন্টে অবস্থান নেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পরবর্তীতে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে বানিয়াগাও গ্রামবাসীর সাথে পশ্চিম জয়পুর ও লামাতাসির সাথে পার্শ্ববর্তী আরও গ্রাম যোগ দেয়। এতে সংঘর্ষ ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নেয়। উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহত হয় শতাধিক লোকজন।

খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে দুপক্ষে উত্তেজনা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্ষিপ্ত থাকায় পিছু হটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তুমুল সংঘর্ষে মিরপুর বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহতদের উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বাহুবল মডেল থানার (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পাওনা টাকা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাত ১২টার পরে পরিস্থিতি শান্ত করা হলেও আজ আবার তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ আহত

আরও খবর



বন্যা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু, মেডিকেল টিম গঠনসহ আটটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের পরিচালক, ওই দুই বিভাগের সব সিভিল সার্জনসহ কর্মকর্তাদেরকে এই নির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদক্ষেপ-

১. বন্যাকবলিত এলাকার সব সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখতে হবে।

২. প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে।

৩. বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডায়রিয়া, সর্প দংশনসহ বন্যা সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে।

৪. বন্যাদুর্গত এলাকার হাসপাতালে যন্ত্রপাতিগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

৫. জরুরি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী মজুত এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে।

৬. বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর সব চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

৭. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বন্যাদুর্গত এলাকার সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

৮. বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে।

এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসক-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


আরও খবর