আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অসহযোগের মধ্যেই ফের দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার এক বার্তায় জানানো হয়, আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) সারাদেশে শহীদ স্মরণে শহীদ হওয়ার স্থান সমূহে স্মৃতিফলক উন্মোচন এবং সারাদেশে বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান।

ঢাকায় বেলা ১১টায় শাহবাগে শ্রমিক সমাবেশ এবং বিকাল ৫টায় শহীদ মিনারে নারী সমাবেশ করা হবে।

বার্তায় জানানো হয়, পরদিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করা হবে। এদিন সারাদেশের ছাত্র-নাগরিক-শ্রমিকদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শাহবাগ এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কর্মসূচি সফলের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকল এলাকায়, পাড়ায়, গ্রামে, উপজেলা, জেলায় ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। যদি ইন্টারনেট ক্র্যাকডাউন হয়, আমাদেরকে গুম, গ্রেফতার, খুনও করা হয়, যদি ঘোষণা করার কেউ নাও থাকে একদফা দাবিতে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাই রাজপথ দখলে রাখবেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।


আরও খবর



সার্কের পুনরুজ্জীবনে আগ্রহী ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্কের পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সার্কের বিকল্প হিসেবে পরিচিত বিমসটেক কার্যকরী হবে না বলে মনে করে বাংলাদেশ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিবেচনায় হঠাৎ আলোচনায় এসেছে সার্ক। তাহলে কি বাংলাদেশ বিমসটেক থেকে সার্কের দিকে যাচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হলে জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বিমসটেককে আমরা ভেবেছিলাম সার্কের একটা বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে। সেটা কিন্তু দাঁড়ায় নাই। কারণ, মিয়ানমার যতক্ষণ শান্ত না হবে ততক্ষণ বিমসটেক সত্যিকার অর্থে খুব ইফেক্টিভ কিছু হতে পারবে না। একইভাবে আমরা কিন্তু সার্কের বিকল্প হিসেবে চাই নাই বিমসটেক।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সার্ক কার্যকরী হোক আমরা চাই। প্রধান উপদেষ্টা নিজে আগ্রহী সার্ক পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে। আমরা দেখি কতটুকু কী করা যায়। সার্কের বিষয়ে আমরা জানি, এটা ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাই না

জানা যায়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দর্শন নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে সার্ক। ওই বছরের ৭ থেকে ৮ ডিসেম্বর ঢাকা সম্মেলনের মাধ্যমে জোটটি সাংগঠনিক কাঠামো পায়। সার্কের সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত। অন্যদিকে, সাত জাতির আঞ্চলিক জোটের তুলনায় বিমসটেক নবীন। ১৯৯৭ সালে এই জোটের জন্ম।


আরও খবর



ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পানিয়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান চেয়ারপার্সন অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

এর আগে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাত করেন বার্নড।

সে সময় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। সংকটকালীন সময়ে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি।


আরও খবর
শেখ হাসিনা কি সত্যি পদত্যাগ করেছিলেন?

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে নারী পাচারকারী আটক, উদ্ধার ৩

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ৩ নারীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় বিকাশ সরকার (৪১) নামের এক ভারতীয় পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা রাতে মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক বিকাশ সরকার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কল্যানী মাঝের চর গ্রামের রাইমোহনের ছেলে।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়েদুর রহমান জানান, বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নারী পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায় খালিশপুর ৫৮ বিজিবি। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি ২ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে। পরে আটক করা হয় ভারতের নদীয় জেলার কল্যাণী এলাকার নারী পাচারকারী বিকাশ সরকারকে। উদ্ধার করা হয় ৩ নারীকে। তাদের বাড়ী নড়াইল ও রাজবাড়ী জেলায়।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে বিকাশ সরকারকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নারীদের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।


আরও খবর



বিপর্যয়ের মুখে পর্যটন খাত, সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি ২০২৪ সাল যেন একেবারেই ভালো কাটছে না দেশের পর্যটন খাতের। বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনপরবর্তী উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এরপর দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ, এমনকি দুই ঈদুৎসবের সময়ও মন্দার মুখে ছিলো এ খাত। তার ওপর জুলাই ও আগস্টজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় আরও বিপর্যয় নেমে এসেছে খাতটিতে। জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা বললেই চলে; নেই ভ্রমণপিপাসুদের কোলাহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এ খাতকে ঘিরে অন্তত ১৬ ধরনের পরিষেবা দেয়া লোকজনের জীবিকা।

জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে বিগত সরকারের নেয়া ইন্টারনেট শাটডাউনের পদক্ষেপেই ট্যুরিজম খাতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতির স্বীকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেশকিছুদিন দেশের রাজনীতিতে সৃষ্টি হওয়া অনিশ্চয়তার প্রভাবও পড়ে পর্যটন খাতে। এরপর আসে বন্যা। বৃহত্তর সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনপ্রিয় বেশ কিছু পর্যটন স্পটেও পড়ে বন্যার প্রভাব।

এ খাতের ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা বলছেন, ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীল পরিবেশ। এতদিন সেই পরিবেশটাই ছিলো না। কিন্তু এখন যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, তাই তাদের প্রত্যাশা, অচিরেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার মাধ্যমে সুদিন ফিরবে পর্যটন খাতে। তবে এর জন্য এই খাতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চান খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা।

এ ব্যাপারে ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট রিলেটেড স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কেয়ার ট্যুরিজমের প্রোপাইটার মো. সোরওয়ার্দি হোসেন সারওয়ার বলেন, ‌এবার পর্যটনের মৌসুম এমনিতেই ছিলো মন্দার মধ্যে; তবে এর ভেতরেও টাঙ্গুয়ার হাওড়, সাজেক, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানসহ হাওর এলাকাগুলোতে বর্ষার সময় পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং তার পরের এই বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন সেই ব্যবসাটাও নেই। বিশেষ করে বর্ষার সময় সিলেটসহ পার্বত্য অঞ্চলের ঝরনাগুলোর প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে।

কিন্তু বন্যা ও রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে সেসব এলাকায় পর্যটকরা যাচ্ছেন না। আগে যেখানে এই সময় টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পর্যটকদের ঢল নামতো, এখন সেখানে পর্যটক নেমে এসেছে তিন ভাগের একভাগে। আর পাহাড়েও কেউ যাচ্ছেই না বন্যার কারণে। এটা দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনের অবস্থা। আবার আগে ভারতে যে বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটাও কমে গেছে। ফলে এ পর্যটকদের ভিসা ও অন্যান্য সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে যেসব ট্যুর অপারেটর কাজ করতেন তারাও বর্তমানে প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এই পরিস্থিতির সঙ্গে আছে চলতি বছরের বাজেটে আমাদের ওপর আরোপ করা ১৫ শতাংশ ভ্যাট, যা অনেকটাই মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘার মতো। আমরা পর্যটকদের যেসব সেবা দিই, সেখানে বাসের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলের রুম ভাড়া, এমনকি খাবারের ওপরও নির্ধারিত ভ্যাট দিই। এরপর হয়তো আমরা সামান্য লাভ করি, সব মিলিয়ে যা ৫ শতাংশের বেশি না। কিন্তু এখন যদি এর ওপরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, তবে অনেক ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানই পথে বসবে। সরকারের প্রতি বিষয়টি ভেবে দেখার আহ্বান জানাই।

বিগত সরকারের কাছেও ভ্যাটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন খাত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সরকার সে সময় এ দাবি মানেনি। এখন তাদের প্রত্যাশা, গণ অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন চাপিয়ে দেয়া এ ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করে। টোয়াবের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানো হবে বলে জানান মো. সোরওয়ার্দি হোসেন সারওয়ার।

রয়েল বেঙ্গল ট্যুরস-এর পরিচালক ও টোয়াবের হিল ট্রাকস রিলেটেড স্টিয়ারিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, ‌ট্যুরিজম খাতটা খুবেই স্পর্শকাতর, রাজনৈতিক অস্থিরতা বলেন, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলেন, সবার আগে বন্ধ হয় আমাদের এই খাত, আবার খোলেও সবার পরে। বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাতে দুধরনের পর্যটক রয়েছেন, যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসেন তাদেরকে ইনবাউন্ড ট্যুরিস্ট বলা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে ট্যুরিজমের উদ্দেশ্যে যান তাদের আউটবাউন্ড ট্যুরিস্ট বলা হয়।

সাম্প্রতিক এই সঙ্কটগুলোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইনবাউন্ড ট্যুরিজম। কারণ দেশের এ পরিস্থিতিতে বিদেশি পর্যটকরা দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ইচ্ছে থাকলেও আসার সাহস পাচ্ছেন না। আমার জানামতে বাংলাদেশের যতগুলো ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটর ব্যবসা করছেন, তাদের ডিসেম্বর পর্যন্ত যত ট্যুর হওয়ার কথা ছিলো তার বেশিরভাগই ক্যানসেল হয়ে গেছে। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় তো নিরাপত্তার সমস্যা কারণে এই পরিস্থিতির আগে থেকেই বিরাজ করছে।

এসবের পাশাপাশি সরকারি কিছু নিয়ম-কানুনও পর্যটন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, ‌‌‌সরকার পোশাক রফতানিকারকদের প্রণোদনা দিচ্ছে, কারণ তারা বিদেশ থেকে ডলার আনছেন। একই ভাবে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও বিদেশি পর্যটকদের দেশে আনার মাধ্যমে ডলার আনছেন। গার্মেন্টসের থেকে আয় হওয়া ডলারের একটি বড় অংশ আবার কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি বাবদ বিদেশেই চলে যায়। কিন্তু বিদেশি পর্যটকরা এসে যেসব ডলার খরচ করেন, দেশেই থেকে যাচ্ছে তার প্রায় পুরোটা।

শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশটি কিছুদিন আগেও বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলো। আবার মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সম্পূর্ণভাবে তাদের ট্যুরিজমের ওপর ভর করে। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেরও ট্যুরিজম খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

টোয়াবের কমিউনিটি বেসড ট্যুরিজম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও স্পিড হলিডেস-এর প্রধান নির্বাহী মেসবাউল আলম বলেন, কোভিডের সময় পর্যটন খাতে যে ধাক্কা লাগে সারা বিশ্বের সঙ্গে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। সেটা সামলে উঠে যখন দেশের পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখনই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই খাত প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। ট্যুর অপারেটররা কর্মচারীদের বেতন ও অফিস খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে বিশ্ব দরবারে এই বার্তা দিতে হবে যে, দেশে এখন আন্দোলন সংগ্রাম শেষ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল। বিদেশিরা নির্ভয়ে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এই বার্তাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। তাহলেই মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে, তারা বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত হবেন।

নিউজ ট্যাগ: পর্যটন

আরও খবর



সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ রোববার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান, লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় শনিবারই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আজ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। পাশাপাশি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষর করা আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে শঙ্কা রয়েছে ভারি বৃষ্টিরও। আগামী ৫ দিনে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। এ সময় তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে।


আরও খবর