আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

অষ্টম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন চার সেপ্টেম্বর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image

মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর:

পিরোজপুরে কচা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন হবে আগামী চার সেপ্টেম্বর। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত উদ্বোধনের সুপারিশে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমত্রী শেখ হাসিনা। নবনির্মিত এই সেতুর নাম করন হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীম সেতু পরির্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামি ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে ঢাকার প্রান্ত থেকে সেতুটি উদ্বোধন করবেন। তিনি পিরোজপুরের সর্বস্তরের জনগনের সাথে পিরোজপুর প্রান্তে অবস্থান করবেন। মন্ত্রী বলেন কাঙ্খিত এ সেতু আনন্দ মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে  পিরোজপুরের সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের বন্যা।

এ সেতুটি গত ৭ আগষ্ট সেতু মন্ত্রনালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে চায়না ঠিকাদারি নির্মান প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড”। উদ্বোধন উপলক্ষে বরিশাল সড়ক বিভাগ ও পিরোজপুর সড়ক বিভাগ প্রস্তুতি গ্রহন করছে।

কচা নদীর উপর নির্মিত সেতুটি চীন ও বাংলাদেশ সরকারের ৮শ ৮৯ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় এক কিলোমিটার (৯৯৮ মিটার) দৈর্ঘ্য ও ৪৫ ফুট (১৩.০৪ মিটার) প্রস্থ । এটি বক্স গার্ডার টাইপের সেতু। ৯টি স্প্যানের ৭টি ১২২ মিটার এবং ২টি ৭২ মিটার স্প্যান রয়েছে। দির্ঘ সাড়ে তিন বছর কর্মযজ্ঞ শেষে সেতুটি ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের উপর দাঁড়িয়ে এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। কাজ শুরু হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় এ সেতুর কাজ সম্পন্ন হলো।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম. রেজাউল করিম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মানের পাশা-পাশি বেকুটিয়া সেতুটিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তার প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী এ সেতু নির্মান করা হয়েছে। সেতুটি নির্মান হওয়ার ফলে বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। মন্ত্রী আরও বলেন, পিরোজপুরের সাথে সরাসরি বরিশাল, পায়রা বন্দর, কুয়াকাটা সমুদ্রবন্দর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং বরিশালের সাথে খুলনা মংলা সমুদ্র বন্দর, বাগেরহাট, যশোর, বেনাপোলসহ মোট ১৮টি রুটের যাত্রীদের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাঘব হবে। এ সেতু শুধু নিরবিচ্ছিন্ন যোগযোগই নয় এ অঞ্চলের ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা ও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যপক প্রভাব ফেলবে। দূর করবে বেকারত্ব।

প্রসঙ্গত, বিগত ২০০০ সালে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পিরোজপুরে সরকারি সফরে এসে ঘোষনা করেছিলেন কচা নদীর উপর পিরোজপুর প্রান্তের কুমিরমার ও কাউখালী প্রান্তে বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত হবে উন্নত আধুনিক সেতু। যেই কথা সেই কাজ। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি গণভবন থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের সিংহভাগ অর্থয়ানে অষ্টম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু নির্মানের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করেন।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ শহরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছ্ । দুপুরের পর থেকেই মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লবের সভাপতিতে্ব  সুপার মার্কেট  এলাকায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয় এলাকা। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসেন ও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় আব্দুল মালেক (৫০), মো. জামাল (৩৫), সোহাগ (৩৮), রাসেল (২৬), সাদ্দাম (৩০) ও আফসার হোসেনকে (৫০) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপর আহত মনির হোসেনকে (৪৮) ঢাকায় পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জেলার গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ট্রলারযোগে নেতাকর্মীরা  প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে  যোগ দিতে আসছিলেন। তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ভাই মনির হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় লাঠিসোটা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, ট্রলারে করে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহর লোকজন শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার লঞ্চঘাটের অদুরে বেড়িবাঁধে আসেন। সেখানে আমার ছোট ভাইয়ের পায়ে ধাক্কা লাগে জিন্নাহর লোকজনের। এরপর তারা মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা আমার বড় ভাই মনির হোসেনকে সামনে বেধড়ক মারধর করে।

গজারিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ  সাধারণ সম্পাদক মনসুর খান জিন্নাহ জানান , অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা । তবে আমার সঙ্গে ঘটনাটা ঘটেনি , এতে আমার কয়েকজন লোক আহত হয়েছে।

সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন সরে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।


আরও খবর



'আজকের দর্পণ' দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বেতাগীতে আলোচনা সভা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

Image

ভালোবাসার নয় বছর পূর্ণ করে দশম বর্ষে পদার্পণ করলো পাঠকের জনপ্রিয় তরুণ প্রজন্মের জাতীয় দৈনিক 'আজকের দর্পণ'। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে তরুণ প্রজন্মের দৈনিক’ স্লোগানকে ধারণ করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের পাশাপাশি বিনোদন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে পত্রিকাটি।

১০ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেতাগী প্রেসক্লাব কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় ৮ ঘরিকায় বেতাগী প্রেসক্লাব কাযার্লয়ের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম মন্টু, সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক বিষখালী পত্রিকার সম্পাদক আঃ সালাম সিদ্দিকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসকে টিভি সম্পাদক লায়ন মোঃ শামীম সিকদার, সহ-সভাপতি মোঃ আবুল বাশার খান প্রমুখ।

বক্তারা 'আজকের দর্পণ' পত্রিকার সকলের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনাসহ আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা পিরোজপুর-১ আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর নেক হায়াত ও সুস্থতা কামনা করেন।

এসময় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পরিবেশের উপকারী পাখি ‘শকুন’ হারিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

পরিবেশের উপকারী পাখি শকুন হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, অসুস্থ পশুকে সুস্থ করণের জন্য বিভিন্ন ধরনের এলোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করার পরও কোন পশুর মৃত্যু হলে উক্ত মৃত পশুর মাংস ভক্ষণ করায় উক্ত এলোপ্যাথিক ওষুধের বিষক্রিয়ার ফলে শকুনের মৃত্যু এবং বংশবিস্তার কমে আসছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের বড় বড় গাছপালা নিধন হওয়ায় শকুনের আশ্রয়ের অভাবে শকুনের বিলুপ্ত হওয়ার বড় একটা কারণ হিসেবেও তারা দেখছেন।

শকুন নামটি বার বার নেতিবাচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আজকের প্রজন্ম শকুনের নাম শুনেছেন কিন্তু শকুন দেখতে পেয়েছে কয়জন? শকুন আকারে চিল পাখি অপেক্ষা বড়, শরীর কালচে বাদামী, চুল বিহীন মাথা ও গলা। বড় বড় কালো ঠোট এবং স্বাভাবিকের অপেক্ষা বড় পা এমনই হলো শকুনের শারীরিক গঠন বৈশিষ্ট। শকুন কেবল পরিবেশ বান্ধব পাখি নয়, অত্যন্ত তীক্ষ দূরদৃষ্টি ও ঘ্রাণ সম্পন্ন, আকাশময় উড়তে থাকাবস্থায় অসুস্থ পশুপাখি বা মৃত প্রাণির সন্ধান তারা জানতে পারে।

কোন অসুস্থ পশুপাখি বা মৃত প্রাণি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মৃত্যু হলে শকুন তাদের খাদ্য হিসেবে দল বেধে তা ভক্ষণ করতে শুরু করে। কথায় বলে শকুন যতই উপরে উঠুক বা থাকুক না কেন তার চোখ থাকে নিচের দিকে। চিরাচারিত এই প্রবাদটি যথাযথ কারণ তার খাদ্য ও নিচেই থাকে বিধায় শকুন এর চোখ থাকে নিচের দিকে। অত্যন্ত বড় আকারের ডানা সম্পন্ন প্রাণি শকুন অতি দ্রুততার সাথে চলাচল করতে পারে। শকুন মৃত পশুপাখির মাংস খেয়ে থাকে আর তাই শকুনকে কেউ কেউ অস্বাভাবিক পাখি বা নোংড়া প্রাণি হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো শকুন মৃত পশুপাখি বা মৃত প্রাণি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে বলেই পরিবেশের জন্য তা সুফলদায়ক।

আমাদের দেশের বর্তমান চিত্র ভিন্ন, বিলুপ্তির পথে এই শকুন পাখি, প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে প্রকৃতিকে বিশেষ উপকারকারী এই পাখি কেবল মরা মৃত পশুপাখির মাংস খেয়ে থাকে তা নয়, সব ধরনের পঁচা দুর্গন্ধ যুক্ত মাংস এবং অস্বাস্থ্যকর জীবাণু সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকে। শকুনই একমাত্র যারা জনজীবনকে সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশের নিশ্চয়তা দেয় এবং মানুষকে সুস্থ রাখে, অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় শকুন হারিয়ে প্রকৃতি থেকে।

সাতক্ষীরায় গত কয়েক বছর পূর্বেও দেখা গেছে নদীর ধারে, ফাঁকা বিলে, জঙ্গলে মৃত পশুপাখি বা মৃত প্রাণি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মাংস অবলিলায় খাচ্ছে শকুন। আবার ঝাকে ঝাকে পাখা মেলে উড়তে থাকতো, কিন্তু সেই দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না।

সাধারণত বড় বড় গাছপালা ও জঙ্গল নিধন হওয়ায় এলাকায় শকুনের বাসা বাধার সুযোগ নেই। এ কারণে শকুন প্রকৃতি থেকে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু কেন এই পরিবেশ রক্ষাকারী প্রাণি হারিয়ে যাচ্ছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, অসুস্থ পশুকে সুস্থ করণের জন্য বিভিন্ন ধরনের এলোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করার পরও কোন পশুর মৃত্যু হলে উক্ত মৃত পশুর মাংস ভক্ষণ করায় উক্ত এলোপ্যাথিক ওষুধের বিষক্রিয়ার ফলে শকুনের মৃত্যু এবং বংশবিস্তার কমে আসছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের বড় বড় গাছপালা নিধন হওয়ায় শকুনের আশ্রয়ের অভাবে শকুনের বিলুপ্ত হওয়ার বড় একটা কারণ হিসেবেও তারা দেখছেন।

জানাগেছে, দেশের দক্ষিণ পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে নদী খালের সমৃদ্ধ বৃহত্তর বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেট অঞ্চলে অসংখ্য শকুনের দল দেখা যেত। কিন্তু এখন এসব অঞ্চলে শকুন দেখা যায় না বলেই চলে। তবে নয়নাভিরাম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে শকুনের বিস্তার দেখা যায়। এছাড়া মৌলভীবাজার ও সিলেট এলাকায় শকুন দেখা যায়।

সাতক্ষীরার গ্রামাঞ্চলে এখন আর শকুন রেদখা যায় না। নদীর কিনারে, বিলে, খালধারে, ভাগাড়ে মরা পশুপাখি বা মৃত প্রাণি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মৃত ফেলে আসলে শকুন আর আসে না। যে কারণে উক্ত মরা পশুপাখি বা মৃত প্রাণি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মৃতদেহ হতে দুর্গন্ধ ছড়ায়, একারণে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে, নানান ধরনের জীবানু ছড়িয়ে পড়ছে।

পরিবেশবিদদের অভিমত, অতি উপকারি এই প্রাণির বিলুপ্ত রোধ করতে হবে। সরকারিভাবে শকুন প্রজনন ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। শকুনের অস্তিত্ব এবং অবস্থান না থাকলে প্রকৃতির হিংস্রতায় পড়তে হবে।


আরও খবর
আজ বিশ্ব প্রবীণ দিবস

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নির্বাচনে ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চায় না ইসি: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচন সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক তা নির্বাচন কমিশন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি একথা বলেন।

নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এমন বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, তফসিলের আগে এমন চিঠি দিতে কোনো বাধা নেই। পাঁচ বছরের পুরো সময়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য ও এখতিয়ার রয়েছে।

সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব- যেগুলো বাধ্যতামূলক আমাদের করতেই হবে। তফসিলটা হচ্ছে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়। যেখান থেকে ধাপে ধাপে আমাদের পোলিং ডে এবং নির্বাচন ঘোষণা করতে হয়। এখন নির্বাচনের আগেও যদি কোনো কিছু যা নির্বাচনের আস্থাভাজন, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের তাদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জামালপুরের ডিসির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আমরা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তাকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকদের সতর্কবার্তা দিতে যেন এ ধরনের আচরণ না হয়। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে বিরোধী দল যা বলছে তা নিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এমন জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না এই মুহূর্তে। তবে অবশ্যই আমরা ভোটের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ। নির্বাচন ৩ মাস পরে, ৪ মাস পরে, ছয় মাস পরে হবে। কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন>> নভেম্বরে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা তো বলেন আমরা পারি না। মনে করেন কালকে জেলা প্রশাসকরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলো। তারা ঢাকায় চলে এসে বললো এবার আমরা একটা বিশেষ দলকে অবশ্যই অবশ্যই ক্ষমতায় আনবো। নির্বাচন মনে করুন ছয়মাস পরে। এখন আমরা কী নিশ্চুপ বসে থাকবো? তাদের কিছু একটা ইনস্ট্রাকশন তো দিতে হবে। যে এভাবে আপনারা আচরণ করতে পারেন না। কারণ জেলা প্রশাসক পদটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের দেখতে হয়। কাজেই আমরা কোনো অবস্থাতেই চাইবো না জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ।

জামালপুরের ডিসির প্রত্যাহার আইওয়াশ বলে বিরোধীদল মনে করছে। এমন প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, এর উত্তর দেব না। জামালপুরের ডিসির মতো আরও কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা নির্বাচন কমিশন- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, যদি আমাদের কাছে এমন কিছু প্রতীয়মান হয় তাহলে অবশ্যই এমন উদ্যোগ নেব।

সিইসির কাছে প্রশ্ন ছিলো- প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়ার বিষয়ে কী কমিশনের কোনো এখতিয়ার আছে কিনা।জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর চট করে দিতে পারবো না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, সবাই কথা বলছেন। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন আপনারা আমাদের ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারি। কিন্তু তিনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টিও ভোট চাইছে কিন্তু বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় তারপরে যে নির্বাচনী আচরণ...তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না সেটা আমরা জানি না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না সেটা আমরা জানি না। কাজেই সেটা সময় হলে আমরা দেখবো।

নতুন করে যে সংলাপ হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে কিনা, এ থেকে অর্জন কী- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, অর্জন তো ওখানে বলা হয়েছে। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। যেমন এই আমার ওপরও একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। যারা বিশিষ্টজন তারা কী বলতে চান। দায়িত্বটা শুধু আমাদের না। সরকার, রাজনৈতিক দল, ভোটার সবার যে দায়িত্ব রয়েছে এমন সেমিনার বা আলোচনা থেকে সে ব্যাপারে কিছুটা হলেও দায়িত্ববোধ বা চাপ সৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



পটুয়াখালী যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনায় ১০ সাংবাদিক আহত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীতে যাত্রীবাহী বাসে এর সাথে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন সাংবাদিক সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে করমজাতলা এলাকার বল্লভপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ ও বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনিরুল আলম স্বপন খন্দকার জানান, কুয়াকাটায় ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুইদিন ব্যাপী বরিশাল সংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সধারণ সভা শেষ করে আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াকাটা থেকে দুটি পরিবহন বাস ইয়াসিন ও মা পরিবহন বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মা এন্টারপ্রাইজ বাসটি পটুয়াখালী জেলা শহরের বাঁধঘাটের অদূরে বল্লভপুর এলাকায় পৌঁছলে সেখানে বিপরীতগামী সিমেন্ট বোঝাই লড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রং সাইড দিয়ে অতিক্রমকালে সংঘর্ষে মা পরিবহন বাসটি সড়কের পাশে গাছের সাথে সজোড়ে ধাক্কা লেগে সামনের অংশ মুচড়ে যায়। এতে দুই নারী সাংবাদিকসহ অন্তত ১০জন সাংবাদিক আহত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটিদলসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হসপাতালে নিলে  গুরুতর আহত উম্মে আরিফা ও ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে এ্যাম্বুলেন্সে বরিশালে প্রেরণ করা হয়। বাকি আহত চ্যানেল আই বরিশাল প্রতিনিধি সাঈদ পান্থ ও তার স্ত্রী লুনা, বাস চালক মোজাম্মেলকে পটুয়খালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

বাসের চালক ঘটনার সময় বাসটিকে অনেকটা নিরাপদে রাখার কারণে বাসে থাকা ৪০ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা জীবনে রক্ষা পেয়েছে বলে সাংবাদিক মুফতী সালাউদ্দিন জানান।


আরও খবর