আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

অশান্ত ইরান শান্ত হবে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর জেরে চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ইরানে যে অভূতপূর্ব সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার জের এখনও চলছে। বলা যায়, এই আন্দোলন ইরানের ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ নতুন যুগের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। সরকার প্রবর্তিত হিজাবনীতি লঙ্ঘন করায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে পুলিশের হাতে আটক হন ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনি। কয়েক ঘণ্টা হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় মাশা আমিনির। মাশার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হেফাজতে ব্যাপক নির্যাতনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার।

১৬ সেপ্টেম্বর মাশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় ইরানের ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেই বিক্ষোভে দমন-পীড়ন শুরু করার পর তা পরিণত হয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে, এবং দাবানলের মতো তা ছড়িয়ে পড়ে দেশটির সর্বত্র। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সরকারি বাহিনীর সদস্যদের সহিংসতা ও নির্যাতনের মাত্রাও।

ইরানের এই গণআন্দোলনের সমর্থক সংবাদমাধ্যম হারানা নিউজ এজেন্সির দাবি, আন্দোলনের শুরু থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে দেশজুড়ে নিহত হয়েছেন ৫০৬ জন আন্দোলনকারী, তাদের মধ্যে ৬৯ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। অবশ্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন শহরে। সেসব হামলায় প্রাণ গেছে ৬৬ জন সদস্যের। ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহালভিকে হটিয়ে শাসনক্ষমতা দখল করা ইসলামি শাসকগোষ্ঠী তাদের গত ৪ দশকের শাসনামলে এমন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কখনও দেখেনি। আন্দোলনের শুরুর দিকে এই  শাসকগোষ্ঠী বিক্ষোভকারীদের নৈরাজ্যবাদী, সন্ত্রাসী, অন্যদেশের চর বলে উল্লেখ করে সাধরণ লোকজন থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলার চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু এই প্রচেষ্টা কোনো কাজে আসেনি; বরং সরকার বিক্ষোভকারীদের প্রতি যত কঠোরতা প্রদর্শন করেছে, আন্দোলনের প্রতি দেশটির সাধারণ জনগণ সাড়া দিয়েছেন তার চেয়েও বেশি হারে। ইরানের এই গণআন্দোলন দেশটির ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করার মতো শক্তিশালী নয়। কারণ, প্রথমত শাসকগোষ্ঠীর সদস্যরা যে নিরাপত্তা বলয়ে বসবাস ও চলাফেরা করেন তা অত্যন্ত সুরক্ষিত। ইরানের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকবল যথেষ্ট, অস্ত্রভাণ্ডারও সমৃদ্ধ।

দ্বিতীয়ত, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে কোনো নেতা দাঁড় করাতে পারেননি, যিনি বা যারা  নেতৃত্ব দিয়ে এই বিক্ষোভকে একটি লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন। স্বতঃস্ফূর্ত আবেগই এই বিক্ষোভের মূল ভিত্তি এবং আন্দোলনকে কোনো লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করার প্রবণতা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রায় অনুপস্থিত। কিন্তু তারপরও বলা যায়, গত চার দশক ধরে ক্ষমতায় আসীন শাসকগোষ্ঠীর ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে এ আন্দোলন। সাধারণ জনগণ যে মাত্রায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন শাসকদের বিরুদ্ধে, তার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা একেবারেই পরিচিত নয়। আন্দোলন কবে নাগাদ থামবে তার নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছে না এবং বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে, শাসকগোষ্ঠীর যে কোনো ভুল পদক্ষেপ দেশটিকে আরও গভীর সংকটের আবর্তে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এদিকে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি কার্যকর করতে গত তিন বছর ধরে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। যদি এই চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব হয়, তাহলে দেশটির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা অনেক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে, প্রাণ ফিরে পাবে জাতীয় অর্থনীতি। ২০১৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে বের করে এনেছিলেন, সেই সঙ্গে জারি করেছিলেন অতিরিক্ত বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা। ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। চলতি বছর বা আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের সবুজ সংকেতও পাওয়া যাচ্ছিল।

কিন্তু চলমান এই সরকার বিরোধী আন্দোলন সেসব সম্ভাবনা প্রায় পুরোপুরি তছনছ করে দিয়েছে। মাশা আমিনির মৃত্যু ও তার পর আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইতোমধ্যেই ইরানের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘভিত্তিক নারী অধিকার ও ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত সংস্থা থেকেও বাদও দেওয়া হয়েছে ইরানকে। দ্রুত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে আগামী ২০২৩ সাল থেকেই গভীর অর্থসংকটে পড়বেন ইরানের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগণ।

যা হতে পারে ২০২৩: আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের বর্তমান সংকটের মূল নিহিত আছে দেশটির কট্টরপন্থী শাসকগোষ্ঠীর মনোভাবের মধ্যেই। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিশ্বাস করেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যেসব আদর্শিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সরকারের হিজাবনীতি সেসবের মধ্যে অন্যতম এবং এটির সঙ্গে আপোস করা হলে সমূহ বিপর্যয় নেমে আসবে। সরকারের এই অনড় অবস্থানই সাড়ে আট কোটি মানুষ অধ্যুষিত দেশটির জনগণ, যাদের ৭০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কমআরো বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলছে। আবার শাসকগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও দিন দিন বাড়ছে। ইরানের ক্ষমতাকাঠামোতে সর্বোচ্চ নেতা পদটি একসঙ্গে অত্যন্ত ক্ষমতা ও মর্যাদাসম্পন্ন। ৮৩ বছর বয়স্ক খামেনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কে হবেন তা নিয়ে বিভক্তি শুরু হয়েছে শাসকগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত যদিও এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসেনি, তবে যদি দ্রুত এটির কোনো সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়বে ইরানে।

নিউজ ট্যাগ: মাশা আমিনি

আরও খবর



পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর



সমালোচনার মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

গত ৮ই এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে। লুৎফুল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তার-ই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।

গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও এক আত্মীয়কে অপহরণ করেন লুৎফুল হাবিবের সমর্থকরা। গাড়িতে মারধরের পর ওইদিন দেলোয়ারকে তার বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবের। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মূল ঘটনা সামনে এলে গত শুক্রবার লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সাত জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের সাত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পূর্বাভাসে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। যার পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪