আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অর্থনৈতিক সংকটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পের জৌলুসে ভাটা পড়েছে। অন্যান্য বছর বৃহৎ এ উৎসবকে সামনে রেখে জেলার পাদুকা পল্লীতে চরম ব্যস্ততা থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। নেই তেমন কাজের অর্ডার। এতে করে কারখানা মালিকদের কপালে যেমন চিন্তার ভাজ রয়েছে, তেমনি হতাশ পাদুকা শিল্পের সাথে জড়িত কারিগররাও। ব্যবসায়ীদের মতে, অর্থনৈতিক মন্দার আচ লেগেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। এছাড়াও লোডশেডিংসহ নানা সমস্যা থাকায় সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি এখন অনেকটাই হুমকীর মুখে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভাল হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার চাহিদা রয়েছে। তবে গেল কয়েক বছর ধরে ধ্বস নেমেছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্প খাতে। মাত্র কয়েক বছর আগেও জেলায় ৫ শতাধিক পাদুকা কারখানা থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড়শতে। কোন রকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলোও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এসব কারখানার মধ্যে ২৫টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরী হচ্ছে লেডিস, জেন্টস, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা। দেশব্যাপী এখানকার জুতার কদর থাকলেও চামড়াসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং জুতার তৈরীর কাঙ্খিত অর্ডার না থাকায় ঈদ মৌসুমেও তাদের ব্যস্ততা অনেক কম।


ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। অন্যান্য বছর ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে জুতা তৈরীর ব্যাপক ধূম থাকে। তবে এ মৌসুমে কাঙ্খিত অর্ডার মিলছে না। আর যেটুকু জুতা তৈরীর অর্ডার মিলেছে লোডশেডিংয়ের কারণে তাও করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই লোডশেডিং হয়। এতে করে সঠিক সময়ে জুতা উৎপাদন যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে তেমনি আর্থিক লোকসানও হচ্ছে। সে সাথে জুতা তৈরীর উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মন্দার প্রভাবে কাজ কমে যাওয়ায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে, জেলায় থাকা অটোমেটিক মেশিন কারখানার সাথে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে না পেরে হুমকীর মুখে রয়েছে শতাধিক হাতে জুতা তৈরীর আদি কারখানাগুলো। এতে মালিক লাভবান না হওয়ায় কারিগররাও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। ফলে আর্থিক সংকটের কারণে অনেক কারিগর পেশা পাল্টাচ্ছেন । তারা এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


পাদুকা শিল্পে কর্মরত কয়েকজন কারিগরের সাথে কথা হলে তারা জানান, অটোমেটিক মেশিন কারখানাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আদি কারখানাগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ হাতে জুতা তৈরীর কারখানার শ্রমিকদের এডভান্স দিতে হয়, দৈনকি খরচ দিতে হয়। কিন্তু অটোমেটিক মেশিন কারখানাগুলোতে এমনটা নয়। সেখানে প্রতিমাসের কাজ বুঝে মাসিক ভিত্তিতে তাদের পারিশ্রমিক দিতে হয়। এছাড়া সেখানে কম সময়ে অধিক জুতা উৎপাদিত হয়ে থাকে। মূলত এসব কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ও বাজার মূল্যের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে আদি কারখানাগুলোর দুর্দিন চলছে। তারা আরো জানান, চামড়াসহ জুতা তৈরীর সকল উপকরণের দাম বেড়েছে কিন্তু জুতার দাম তেমন বাড়েনি। এতে করে মালিক লাভবান না হওয়ায় শ্রমিকরাও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা কাজ করেও দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ টাকা মিলে। বর্তমানে সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে চলা মুশকিল। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টেই দিন কাটে। এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। 


এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুট ওয়ের এসোসিয়েশন (অটো কারখানা) সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এবার জুতার চাহিদা অনেক কম। জেলায় পাদুকা শিল্পের ইতিহাসে এবারই এত কম চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরো বলেন, লোড শেংয়ের কারণে উৎপাদন বিঘ্নত হয়। ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে লোডশেডিং না হলে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি পাদুকা শিল্পের সাথে জড়িতরাও লাভবান হত। তিনি এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার দাবী জানান। 

এদিকে হাতে তৈরী জুতা কারখানা- ওয়ান্ডার সুজের মালিক মোঃ ওয়াসিম জানান, উপকরণের অত্যাধিক মূলবৃদ্ধির কারণে আমাদের মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। জুতা উৎপাদনে যে খরচ হচ্ছে। বাজারে তেমন দাম পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি অটো কারখানাগুলো উৎপাদন খরচ কম থাকায় তারা কমে জুতা বিক্রী করতে পারছে। যা আদি কারখানাগুলোর জন্য কঠিন। এতে করে উৎপাদন ও মুনাফার মধ্যে ঘাটতি থাকায় আদি কারখানাগুলোর অবস্থা নাজুক। সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পাওয়া গেলে ব্যবসার আধুনিকতার মাধ্যমে এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।


আরও খবর



রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মশার ঘনত্ব গত ৪ মাসে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে। এখানকার প্রতিটি ড্রেনে ভাসছে লার্ভা, পচা আর নোংরা পানির প্রতিটি জলাধার যেন একেকটি মশার খামার। স্থানীয়রা জানান, অগণিত মশা। কয়েল জ্বালালেও যায় না। সারাদিন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে মশারির ভেতর বসে থাকো এমন একটা অবস্থা।

গত নভেম্বর থেকে চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী ও আশপাশের ৬টি স্থানে ফাঁদ পেতে মশা ধরে চালানো হয়, গবেষণা। যাতে দেখা যায়, ফাঁদপ্রতি নভেম্বরে ২শ', জানুয়ারিতে ৩শ', ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮, আর মার্চের মাত্র এক সপ্তাহে ৪২০টি মশা ধরা পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরা আর দক্ষিণখানে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, মার্চে মশার বংশবিস্তার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, এ বিষয়টি আগেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। আমরা জানুয়ারি মাসেই সতর্ক করে বলেছিলাম মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব চরমে পৌঁছাবে। এই মশাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই কিউলেক্স মশা। তবে এরা কোন রোগ ছড়ায় না। তবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে।

সতর্কবার্তা যে সিটি করপোরেশন আমলে নেয়নি, সেটি স্পষ্ট স্থানীয়দের কথাতেও। তারা জানায়, জায়গায় জায়গায় শুনি মশা মারে, কিন্তু একটা মেশিনও এখনে বসা না। সিটি করপোরেশনেরও দেখা পাই না। মশার অত্যাচারে আমরা ঘরে বসতেও পারি না। আপনারা আসলে ওদের একটু খোজ পরে, তখন পয়ঃপরিষ্কার করে, তারপরে তাদের আর কোন খবর থাকে না।

এ জন্য সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয়হীনতার ওপর দায় চাপালেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। দয়া করে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। চেষ্টা করবো এর থেকে ভালো করার জন্যে।

ফাঁদে ধরা পড়া মশার মধ্যে ৯৯ শতাংশই কিউলেক্স। যার কামড়ে হতে পারে গোদ ও বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ। ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে এটি। এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সারাহ ইসলামের মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন) করা হয়। এই কার্যক্রমটি সফল প্রতিস্থাপন দাবি করা হলেও কিডনি নেওয়া দুজনেই কেউই আর বেঁচে রইলো না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪)। ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানায়, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এই সার্জন বলেন, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান সারাহ ইসলামের আরেক কিডনিগ্রহীতা হাসিনা আক্তার। কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন আর রশিদ সে সময় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আক্তারের শরীরে যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা ছিল দুর্বল। তাতে দুটি টিউমার ছিল। প্রতিস্থাপনের আগে টিউমার দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রতিস্থাপনের পর থেকে হাসিনা বারবার সংক্রমণে ভুগছিলেন। পরে কিডনি ফাউন্ডেশনে মারা যান তিনি।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে নিহত ৩, আহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৩ জন যাত্রী নিহত ও ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সপরিবারে জাপানে ভূমিকম্পের কবলে রাজামৌলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জাপানে ভূমিকম্পের কবলে পড়লেন আরআরআর পরিচালক এস এস রাজামৌলি। ভূমিকম্পের বিষয়ে জাপানিরা মানসিকভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকলেও রাজামৌলির কাছে বিষয়টি নতুন। বর্তমানে সপরিবারে জাপানে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী নির্মাতা রাজামৌলি।

পুরো বিষয়টির ওপরে আলোকপাত করেছেন পরিচালকের ছেলে এসএস কার্তিকেয়। এক্স-এ একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে তার হাতের স্মার্ট ঘড়ির ডায়ালে ভূমিকম্পের সতর্কবাণী ফুটে উঠেছে।

ছবিটির সঙ্গে কার্তিকেয় লেখেন, ২৮ তলায় ছিলাম এবং ধীরে ধীরে মাটি দুলতে শুরু করল। ওটা যে ভূমিকম্প সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভয় পাওয়ার আগেই দেখলাম জাপানিদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, যেন বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

কার্তিকেয়র বক্তব্য নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তরা তাদের জন্য সমাজমাধ্যমে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। আবার রাজামৌলি সুরক্ষিত আছেন জেনেও কেউ কেউ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন এসএস রাজামৌলি। সম্প্রতি সে দেশে তার সিনেমা আরআরআর-এর বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজিত হয়। সিনেমার প্রদর্শনে নিজের পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক।


আরও খবর



লোকসভায় টিকিট পেলেন কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমা জগতের বাইরেও বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ সক্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। জানান দিয়েছেলেন রাজনীতিতে নামার আগ্রহের কথাও।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সমর্থনেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকেছেন বেশ সক্রিয়। এবার যেন সেটিরই পুরস্কার পেলেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে মোদির দলের হয়ে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

রবিবার (২৪ মার্চ) লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের পঞ্চম তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই পাওয়া গেল কঙ্গনার নাম। এছাড়া এই তালিকায় অভিনেতা অরুণ গোভিলের নামও রয়েছে। তিনি বিজেপির হয়ে লড়বেন উত্তর প্রদেশের মিরুত থেকে।

বিজেপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক্স-এ কঙ্গনা লিখেছেন,প্রিয় ভারত ও ভারতীয় জনতার নিজস্ব দল বিজেপির জন্য বরাবরই আমার সমর্থন ছিল। আজ দল থেকে আমাকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে, আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে। আমি দলের উচ্চ পর্যায়ের আদেশ মেনে নির্বাচন করব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করছি দলের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করতে পারব।

প্রসঙ্গত, ভারতে লোকসভা নির্বাচনে সাত ধাপে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে যা চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ৪ জুন।


আরও খবর