আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের নিবন্ধ

অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যেভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০০৯ সাল থেকে দূরদর্শী রাজস্ব ও ঋণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক রয়েছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে তা সাড়ে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান প্রায় এক তৃতীয়াংশ। তবে ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তা ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান এক পঞ্চমাংশ থেকে বেড়ে এক তৃতীয়াংশ হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর থেকে জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অবদান দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯০র দশকের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি ২০ গুণ বেড়ে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স থেকে শুরু করে স্বল্প মজুরির শ্রমও অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। রেমিটেন্স, রপ্তানি এবং কৃষির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ফলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ভারতের তুলনায় মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০২০ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৯৮ ডলার থেকে কমে এক হাজার ৯২৯ ডলার হয়েছে। দেশটির অর্থনীতির আকার ২ দশমিক ৮৭ ট্রিলিয়ন থেকে কমে ২ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।


গত ১৫ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ধরে রাখায় ২০২০ সালে মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯৬১ মার্কিন ডলার নিয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। একই বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৩৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করায় বড় প্রতিবেশী এই দেশটিকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক ঋণ সংকটের আগে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের অর্ধেক থাকলেও ২০১৪ সালের মধ্যে তা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হলেও একই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে।

আজ বাংলাদেশ রাজস্ব ঘাটতি, পণ্যসামগ্রী বাণিজ্যের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান, সরকারি ঋণ এবং বিনিয়োগ থেকে জিডিপির অনুপাতেও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া মানব উন্নয়ন কর্মসূচি বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা, প্রজনন হার এবং বাল্যবিয়ে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। গড় আয়ু, জন্মহার এবং শিশু পুষ্টির মতো বেশ কিছু মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্থানের সুযোগ-সুবিধা বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছে গেছে। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হয়েছে।

অন্যদিকে, মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের অবস্থান সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোতে এসব সূচক অত্যন্ত নাজুক। যেমন বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত বছর কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ছিল ১৯ শতাংশ। আর বাংলাদেশে তা ৩৫ শতাংশ। ভারতের হিন্দিভাষী রাজ্যগুলো বাল্যবিয়ে এবং অকাল গর্ভধারণ মোকাবিলায় রীতিমতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিহার রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজারে অন্তত ৪৭। বাংলাদেশের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রজনন সমস্যার সমাধান।


ভারত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে পুরোনো ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট বাতিলের ঘোষণা দেয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ, ডিজিটাল লেনদেনে মানুষকে উৎসাহ দান, দেশকে জাল নোট মুক্ত করা এবং কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কয়েক বছর ধরে ওঠানামা করেছে। তবে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মানুষের দৈনিক খাদ্য ও জ্বালানি কেনাকাটা বাধাগ্রস্ত করে। এর নেতিবাচক প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদনেও আঘাত করে। প্রায় ৮৬ শতাংশ নগদ অর্থ রাতারাতি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশটির অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কল্যাণে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থানীয় মুদ্রায় গত ৫০ বছরে প্রায় ২৭০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের বাজেট ঘাটতি জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ বা তার কম রয়ে গেছে। রপ্তানিমুখী শিল্প সম্প্রসারণের ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। মূলত বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে শ্রমঘন এবং অদক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিক নির্ভর খাত টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও জুতো শিল্প থেকে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশের সুবিধাভোগী অবস্থান, বিনিয়োগবান্ধব আইন এবং কম মজুরির কারণে অনেক ভারতীয় ক্রেতা বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকতে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হয়েছে।

ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০২০-২১ সালে উভয় দেশের মধ্যে ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। যা ২০১৯-২০ সালের সাড়ে ৯ বিলিয়নের চেয়ে বেশি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করবে। তবে এর পুরো সম্ভাবনা কেবল উন্নত পরিবহন সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে সম্প্রতি যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পণ্য, পরিষেবা ও জ্বালানির বাণিজ্য বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। এমনকি ছোট এক প্রতিবেশী এগিয়ে যাওয়ায় এখনও অব্যবহৃত অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার অন্বেষণ বাকি রয়েছে। তবে আপাতত দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক বীরত্বের যাত্রা উপভোগ করছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



ঈদে ট্রেন যাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টায় অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ৬ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।

আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে।

আজ সকাল ৮টা থেকে বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বর্হিগামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে পাঁচ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার (২৪ মার্চ)। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

ট্রেনের ঈদযাত্রার ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।

এ ছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গীতিকার ও সংগীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান (৩৫) ও তার প্রতিবেশী ছাত্তার মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা সেতু টোলপ্লাজার পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার বাড়ি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামে। পাগল হাসানের দুই ছেলে রয়েছে।

আহতরা হলেন- মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে লায়েছ মিয়া (৩০), ননদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) ও সিএনজি অটোরিকশার চালক সিরাজ আলীর ছেলে রুপন মিয়া (৩০)।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ একই গ্রামের পাঁজন সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে দোয়ারাবাজার থেকে ছাতকে ফিরছিলেন। অপরদিকে, ছাতক থেকে একটি বাস দোয়ারাবাজারে যাচ্ছিল। পথে সুরমা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে বাস ও অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সংগীত শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি (মৌলভীবাজার–জ- ১১-০০৪০) জব্দ করেছে। তবে ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সামছু মিয়া বলেন, শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা। যারা আহত হয়েছেন তাদের দুইজন হাসানের বন্ধু ও একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।’

ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পাগল হাসানসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এমএজি ওসমামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’


আরও খবর



‘বুবলীর আগের সংসারে একটি মেয়ে আছে’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী সবসময় থাকেন আলোচনায়। এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তার সিনেমা দেয়ালের দেশ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি পারিবারিক জীবন নিয়েও বেশ সমালোচিত। বুবলীর অতীত নিয়ে কথা বললেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।

ঈদ উপলক্ষে টিভি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি (বুবলী) এখনও শাকিব খানের স্ত্রী। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আলাদা থাকছেন। বীরের কথা ভেবে তারা সময় নিচ্ছেন।

বুবলী জানান, শাকিবের বাসায় গেলে অপু-জয়ের সঙ্গে দেখা হয় বুবলী ও বীরের। একবার বীর ও শাকিবের সাথে রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন বুবলী, এ সময় জয়কে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। বুবলীর এমন মন্তব্যে নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর শুনে নাকি বিরক্ত শাকিব ও অপু।

একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি। তিনি বলেন, বর্তমানে শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছে, তাদের মধ্যে বুবলী ঢুকে সবকিছু নষ্ট করতে চাইছে।

তিনি আরও বলেন, বুবলী শাকিব খানের লেজ ধরে এই পর্যন্ত আসছে। তাকে ধরে ১০টি ছবিও করেছে। তাকে শাকিবই উপরে উঠাইছে। আর বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত, এটা শাকিব জানতো না। তার আগের ঘরে একটি মেয়েও আছে। এটা পরে জানতে পেরে শাকিব তাকে এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বীরতো শাকিবের রক্তের তাই শাকিব বীরকে কখনওই ফেলে দেবে না।

বুবলীকে নিয়ে সুরুজ আরও বলেন, বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এখন এক হয়ে গেছে তখন তার এর মধ্যে নাক গলানোর কি দরকার?

শবনম বুবলী ২০১৬ সালে বসগিরি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ নবীনশিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে বুবলী জনপ্রিয় সব সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন দর্শকদের।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো জাপান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের পর এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। তবে ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এ থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এখনো পর্যন্ত ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল)। রাজধানী টোকিওতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে টেকটোনিক সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি জাপান। সে কারণে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমনটা নিশ্চিত করতে তারা ভবনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলে। ১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জ। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ৪০ দশমিক ১ কিলোমিটার।

মাত্র একদিন আগেই প্রতিবেশী তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আরও এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

জাপানে এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার অতি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির আঘাতে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।


আরও খবর



ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রফতানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দেশটির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা।

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

আরও খবর