আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অর্থ হাতিয়ে নিতে ইমাম-খাদেম-বক্তাদের ব্যবহার করে এহসান গ্রুপ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিনিয়োগ করলে বেহেশত, ইহকালে দ্বিগুণ লাভ, পরকালে মুক্তি এমন সব চটকদার কথা বলে পিরোজপুর ও আশপাশের এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে থাকে এহসান গ্রুপ। তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার মানুষ বিনিয়োগ করতে থাকেন গ্রুপটিতে। বিনিয়োগের অংক ও গতি বাড়াতে এহসান গ্রুপ ব্যবহার করে ধর্মীয় বক্তা, মসজিদের ইমাম ও খাদেমদের মতো ব্যক্তিদেরও। ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব পরিচয়ে অনেকের নানান প্রকারের বক্তব্যে মানুষ আরও টাকা ঢালতে থাকে এহসান গ্রুপে। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মানুষ বুঝতে পারেন, তারা প্রতারিত হচ্ছেন। এখন অনেক কষ্টের বিনিয়োগ হারিয়ে তারা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। সম্প্রতি গ্রুপটির প্রতারণা-জালিয়াতি ধরা পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

জালিয়াতির জাল বিছিয়ে প্রতারণা করে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও চারজনকে। র‌্যাব বলছে, সারাদেশে রাগীব আহসানের বিরুদ্ধে ১৫টির বেশি মামলা হয়েছে। জেলা পুলিশের ভাষ্যে, কেবল পিরোজপুরেই পাঁচটি মামলা রয়েছে রাগীবের এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে।

রাগীব আহসান ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত হাটহাজারীর একটি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত খুলনার একটি মাদরাসা থেকে মুফতি কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি পিরোজপুরে একটি মাদরাসায় চাকরি শুরু করেন। এর মধ্যে ২০০৬-২০০৭ সালে এস মাল্টিপারপাস নামে একটি এমএলএম কোম্পানিতে ৯০০ টাকা বেতনে চাকরি নেন। মূলত ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা কার্যক্রম রপ্ত করেন। পরে নিজে ২০০৮ সালে এহসান রিয়েল এস্টেট নামে একটি এমএলএম কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর নানান কথা আর কৌশলে চলতে থাকে তার প্রতারণা।

র‌্যাব সূত্র জানায়, রাগীব আহসান সুদবিহীন বিনিয়োগের বিষয়টির ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালান। ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের নামে ব্যবসায়িক প্রচার-প্রচারণা করতেন। হাউজিং, ল্যান্ড প্রজেক্ট, দোকান, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে সাধারণ গ্রাহকদের কষ্টার্জিত অর্থ আত্মসাৎ করেন। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ১১০ কোটি টাকা সংগ্রহের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এক মামলায় ৯৫ জনের টাকার হিসাব

এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে এক মামলার বাদী পিরোজপুরের হারুনার রশীদ। তিনি এজাহারে বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে শরিয়তভিত্তিক ও সুদমুক্ত হালাল ব্যবসার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করেন মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান। তিনি বলেন ইসলামে সুদ মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারের সমান পাপ। তাই হারাম ও সুদভিত্তিক ব্যবসা করা যাবে না। ব্যবসার ওপর লাভের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে ব্যাংকের মতো টাকা নিতেন। বলতেন আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন। কৌশল হিসেবে তাই একই পরিমাণ লাভ না দিয়ে এক লাখ টাকায় মাসে কখনো দুই হাজার টাকা আবার কখনো এক হাজার ৮০০ টাকা দিতেন। আবার কখনো দুই হাজার ২৫ টাকা দিতেন। বলতেন ব্যবসায় যেরকম লাভ হয় সেরকম দিচ্ছি। কিন্তু মূল টাকা ফেরত চাইলে তার প্রতারণা ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, আমি যে মামলাটি করেছি তাতে ৯৫ জনের টাকার হিসাব রয়েছে। আমার আছে ১৬ লাখ টাকা। এরকম কয়েক হাজার গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। আর এই গ্রাহকদের মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও আছেন। পিরোজপুর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার এক হাজারের বেশি ইমাম ও মাওলানা তার সঙ্গে কাজ করতেন। তাদের তিনি খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে কাজে লাগাতেন। ফলে ধর্মভীরু লোকজন সহজেই তার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। আর দেশের বিশিষ্ট মাওলানাদের এনে তিনি তার ব্যবসার পক্ষে ওয়াজ নসিহত করাতেন, ফলে সবাই বিশ্বাস করতো। মুফতি মাওলানা রাগীব আহসানও ভালো বক্তৃতা করতে পারেন।

প্রতারণার ফাঁদ ১৭টি প্রতিষ্ঠান

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাগীব আহসান জানিয়েছেন, তিনি ১৭টি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- (১) এহসান গ্রুপ বাংলাদেশ, (২) এহসান পিরোজপুর বাংলাদেশ (পাবলিক) লিমিটেড, (৩) এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড, (৪) নূর-ই মদিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট একাডেমি, (৫) জামিয়া আরাবিয়া নূরজাহান মহিলা মাদরাসা, (৬) হোটেল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল (আবাসিক), (৭) আল্লাহর দান বস্ত্রালয়, (৮) পিরোজপুর বস্ত্রালয়-১ ও ২, (৯) এহসান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, (১০) মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডিং অ্যান্ড কোং, (১১) মেসার্স মক্কা এন্টারপ্রাইজ, (১২) এহসান মাইক অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম, (১৩) এহসান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, (১৪) ইসলাম নিবাস প্রজেক্ট (১৫) এহসান পিরোজপুর হাসপাতাল, (১৬) এহসান পিরোজপুর গবেষণাগার, (১৭) এহসান পিরোজপুর বৃদ্ধাশ্রম।

এহসান গ্রুপকে যারা বিশ্বাস করবে না তারা মুনাফেক

স্থানীয়রা জানান, এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান তার প্রতারণা পাকাপোক্ত করতে ২০১৩-১৪ সালের দিকে সৌদি আরব থেকে একজন বক্তাকে নিয়ে আসেন। ওই বক্তার ওয়াজ মাহফিলে আশপাশের কয়েক জেলা থেকে মুসল্লিরা সমবেত হন। ওই বক্তা টানা ৪৫ মিনিটের মতো আরবিতে ওয়াজ করেন। পরে তাকে বলার জন্য রাগীব আহসান আরবিতে লিখে দেন একটি বাক্য। যাতে লেখা ছিল এমন- সবাই এহসান গ্রুপে বিনিয়োগ করুন। এখানে বিনিয়োগ করলে শান্তি পাবেন।

রাগীব আহসানকে গ্রেফতার করতেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে কুয়াকাটা হজুর নামে পরিচিত পটুয়াখালীর হাফিজুর রহমান সিদ্দিকের ওয়াজের একটি ভিডিও ক্লিপ। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায় এহসান গ্রুপ গোটা জাতির জন্য রহমত, যারা আমাদের ভালোবাসেন তারা এহসান নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না, এহসান গ্রুপকে যারা বিশ্বাস করবে না তারা মুনাফেক

জমি বেচার ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ, না পেয়ে শোকে স্ট্রোক

এহসান গ্রুপে বিনিয়োগ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার মফিজুল ইসলাম ইমনের পরিবার। ইমন বলেন, আমার বাবা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন মসজিদে। ২০১১ সালের শেষদিকে বাবা জমি বিক্রি করে ১৮ লাখ টাকা পান। সেই টাকা ইসলামী ব্যাংকে রাখেন। বিষয়টি জানতেন স্থানীয় পূর্ব বাউন্দি মাঠ পাড়া জামে মসজিদের একজন ইমাম। নামাজ পড়তে গেলে ইমাম আমার বাবাকে বোঝাতে সক্ষম হন, ব্যাংকে টাকা রাখলে ইহকালে গোনাহ এবং পরকাল বরবাদ হয়ে যাবে। বরং আলেম-ওলামাদের তৈরি প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখলে ব্যাংকের চেয়েও বেশি লভ্যাংশ ও মেয়াদ শেষে গচ্ছিত টাকার দ্বিগুণ পাওয়া যাবে।



আরও খবর



প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রায় সব নারীরই সাজের অন্যতম অংশ হলো লিপস্টিক। পোশাক, অন্যান্য অনুষঙ্গ, ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নারীরা লিপস্টিকের রং নির্বাচন করেন। যারা লিপস্টিক পছন্দ করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। তা হলো, নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আপনি কি জানেন যে খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করে? কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। তাই আপনার লিপস্টিকটি এই ধরনের বিপজ্জনক উপাদান মুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ৩টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট : লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি : কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। তাই সেগুলো ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় কম।

পিগমেন্টেশন : লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।


আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



কেমন হবে বৈশাখের সাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাংলা নববর্ষের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যায় যখন সুন্দরভাবে সেজে এই দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের সাজে নারী আরও বেশি অনন্যা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়িতে এদিন তাকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তবে গরমের সময় বলে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নয়তো সাজ নষ্ট হয়ে আপনাকে দেখতে উদ্ভট লাগতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেমন হবে বৈশাখের সাজ-

শাড়ি কেমন হবে

পহেলা বৈশাখের সাজে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুতির শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গরমের সময়ে সুতির শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আরাম পাবেন। তাই স্বস্তির জন্য সুতির শাড়িই উত্তম। সুন্দরভাবে পরলে সুতির শাড়িতেও আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। এক্ষেত্রে নতুন শাড়ি কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়িতে থাকা যেকোনো পরিষ্কার শাড়ি পরতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার সামর্থ্য আর ইচ্ছার ওপর।

মানানসই ব্লাউজ

শুধু শাড়ি নয়, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মানানসই না হলে দেখতে ভালোলাগবে না। আবার সুন্দর একটি ব্লাউজ আপনার সাজ আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এই সময়ে যেসব ব্লাউজ বেশি ট্রেন্ডিং সেসব থেকে একটি বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে শাড়ির রং কিংবা শাড়ির ঠিক উল্টো রংটিও বেছে নিতে পারেন।

গয়না কেমন হবে

পহেলা বৈশাখে গয়না না পরলে দেখতে ভালোলাগবে না। সুন্দর একটি শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে দেখতে আরও বেশি পরিপাটি লাগবে। গয়নার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আর স্বস্তির বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন। তবে বৈশাখের সাজে বেশি মানানসই কাঠ, মাটি, পুতি, কাপড় ইত্যাদির গয়না। গলায় বড় কোনো গয়না পরলে কানে হালকা গয়না পরুন। আবার কানে ভারী গয়না পরলে গলায় হালকা পরুন। এতে দেখতে ভালোলাগবে। চাইলে এই দিনে পরতে পারেন ফুলের গয়নাও।

ছবি : ফ্যাশন হাউজ মিরা। অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন : www.facebook.com/mirabrandbd অথবা https://mira.com.bd


আরও খবর



নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি পুকুরে মিলেছে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০-৬০০ গ্রাম করে।

বুধবার সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছগ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে।

জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ৪০টি পরিবার ব্যবহার করে। পুকুরটি লিজ নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমান তিনি। বুধবার সকালে পানি প্রায় কমে আসলে জেলেদের জাল দিয়ে মাছগুলো ওপরে তুলেন। এ সময় অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছরেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গিয়েছিল।

পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০টি পরিবার যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছগ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে। প্রায় সাত দিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীকাল সেচের পুরো কাজ শেষ হবে। আজ পুরো পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলা হয়েছে। সে জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটিও ছিল। সেখানে আবদুল মান্নান ২০২২ সালেও ৬ থেকে ৭ কেজি ইলিশ মাছ পেয়েছিলেন। এবার ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। পানি বের হতে না পারায় মাছগুলো নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। নিঝুমদ্বীপ নিম্নাঞ্চল তাই জোয়ারে প্লাবিত হয়। পুকুরটি যখন প্লাবিত হয়েছে, তখন ইলিশ প্রবেশ করেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।


আরও খবর