আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অর্ধশতাব্দী পর চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ল রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে বাংলাদেশে এসেছে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের তিনটি জাহাজ। সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে বলে রোববার রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৫০ বছর পর রাশিয়ার কোনো যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়ল।

বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ভেড়া রুশ নৌবহরের ওই জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ। সেগুলোর নাম অ্যাডমিরাল ত্রিবুতসঅ্যাডমিরাল প্যানতেলেইয়েভ। অপর জাহাজটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকার। সেটির নাম পেচেনগা

স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করতে সেখানে বিশেষ অভিযান চালায় রাশিয়ার কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মান্টিটঙ্কি তাসকে বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশকে রক্ষা করতে এসেছিল রুশ যুদ্ধজাহাজগুলো। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় অনেক মাইন ছিল। এতে অনেক নৌযান ডুবে গিয়েছিল।

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, মাইন সমস্যা সমাধানে অনেক দেশের কাছে সে সময় সহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কয়েকটি দেশ বিপুল অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করতে রাজি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের তখন অর্থের ঘাটতি ছিল। তখন মানবিকতা দেখিয়ে শুধু সোভিয়েত ইউনিয়ন সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল।

তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার ওই অভিযান চলেছিল ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮০০ জনের বেশি সদস্য ২৬ মাস ধরে মাইন সরানোর কাজ করেছিলেন। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সোভিয়েত নৌসদস্যরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিলেন।

তবে এবার রুশ জাহাজগুলো পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ এক সফরে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে রাশিয়ার কনসাল আশিক ইমরান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যে খুবই উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, তার প্রমাণস্বরূপ রুশ যুদ্ধজাহাজগুলোর বাংলাদেশ সফর।


আরও খবর



আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলো কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে আউয়াল কমিশন। পরে পদত্যাগ পত্রে সই করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া, ইসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

তারা নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন। ওই কমিশনের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনটি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বর্জন করে। ভোট শেষে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় আউয়াল কমিশন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো ইসির সংস্কার করা হবে বলে নিশ্চিত করছেন তারা। সে জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা অফিস করলেও তাদের বিদায়ের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পায়। শেষ সময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় জরুরি কাগজপত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নেন তারা।


আরও খবর



বিএনপি নেতাদের তদারকিতে সরানো হলো এস আলমের ১৪ বিলাসবহুল গাড়ি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরের একটি ওয়্যারহাউস থেকে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তদারকিতে এসব গাড়ি সরানো হয়েছে। গাড়িগুলোতে কী ছিল তা জানা যায়নি। অনেকের ধারণা, এসব গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে এস আলম গ্রুপের টাকা লুটপাট নিয়ে সমালোচনা চলছে। এমন সময় গ্রুপটির ত্রাণকর্তার ভূমিকায় বিএনপি নেতাদের দেখে চট্টগ্রামে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ২৯ আগস্ট দিবাগত রাতে। ওইসময় চালকদের একটি টিম কালুরঘাট শিল্প এলাকার মীর গ্রুপের মালিকানাধীন ওয়্যারহাউসে আসেন। তাদের ব্যাকআপ দিতে কয়েকটি গাড়ি সেখানে পৌঁছায়। গাড়িগুলো থেকে নামেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন। একটি গাড়ি থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের চালক মনসুর। সেই গাড়ির ভেতরে আবু সুফিয়ান বসে ছিলেন বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও তদারকিতে একে একে বের করা হয় বিলাসবহুল ১৪টি গাড়ি। এর আগে গাড়িগুলো ছিল চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেখান থেকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলমের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে গাড়িগুলো রাখা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও মীর গ্রুপের মালিক আবদুস সালাম সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। আবার আবদুস সালাম সম্পর্কে সাইফুল আলম মাসুদের বেয়াই।

ঘটনার বিষয়ে বিএনপি নেতা এনামুল হক বলেন, সালাম ভাইয়ের কাছ থেকে বিএনপির লোক চাঁদা দাবি করেছে শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে সুফিয়ান ভাইও ছিল। গাড়িগুলোর মালিক কে আমি জানি না। আমি শুধু সালাম ভাইকে সহযোগিতার জন্য গিয়েছিলাম। এস আলমের মাসুদ ও সালাম ভাই আত্মীয়। আত্মীয়তার খাতিরে যদি সালাম ভাইয়ের ওয়্যারহাউজে এস আলমের গাড়ি থাকলে দোষ দেখছি না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ঘটনা কী আমি জানি না। বিএনপির লোকজন চাঁদা দাবি করছে শুনে আমি এনামের সঙ্গে মীর গ্রুপের আবদুস সালামের একটি কারখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা সেটা মিটমাট করে দিয়ে চলে আসি।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এস আলম গ্রুপের জ‌মি ও সম্পদ না কেনার পরামর্শ দেন। এদিন তিনি জানান, এস আলম গ্রুপ এবং তা‌দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক-লেনদেন ও ঋণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন প্রতিষ্ঠানটি নামে-বেনামে থাকা বি‌ভিন্ন জ‌মি ও সম্পদ বি‌ক্রি করার চেষ্টা করছে। এগুলো ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া দরকার।

ড. মনসুর বলেন, এস আলম বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুট করেছেন। এভাবে পৃথিবীতে কেউ ব্যাংক ডাকাতি করেছে কি না জানা নেই। এখন এস আলমের নামেবেনামে থাকা সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তাই এ মুহূর্তে এস আলমের সম্পদ যেন কেউ না কেনেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য ফিলিস্তিনের ত্রাণ সহায়তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। এই ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, যা বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দেশের জনপ্রিয় সেবা সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল পেজে দেয়া এক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।

পোস্টে লেখা হয়, বন্যার্তদের উপহারের প্যাকেজে ফিলিস্তিনি পতাকা। দুর্গতদের জন্য এই উপহারসামগ্রী পাঠিয়েছেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। বাংলাদেশের তরফ থেকে ফিলিস্তিনের জন্য ভালোবাসা।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাদের সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশের দুর্যোগকালীন সময়ে তাদের পাশে থাকতে চাই।

এদিকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলমান। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত ২০শ শতকের গোড়ার দিকে হলেও বিশেষ করে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে।

এই সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, দখলদারিত্ব, জনসংখ্যা স্থানান্তর, এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন ও সামরিক উপস্থিতি বাড়তে থাকে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

পাশাপাশি, গাজায় নিয়মিত সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার সামিল।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে গাজায় আবারও সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল। এই সংঘাতের ফলে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। তবে এই সংঘাতের পেছনে রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক বহু বিষয় জড়িত। যা এ সংঘাত মেটাতে ও সমাধান করতে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।


আরও খবর



৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার পতনের একদফা আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে থানাসহ বিভিন্ন ইউনিট এবং ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব লুট হওয়া অস্ত্র এবং গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।

এছাড়া এর আগে বেসামরিক জনগণকে গত ১৫ বছরে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।


আরও খবর



জাতীয় নাগরিক কমিটি’র আত্মপ্রকাশ আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করবে আজ (রোববার)। বিকেল সাড়ে ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কমিটি আত্মপ্রকাশ করবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক দফার দ্বিতীয় ধাপ তথা ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে এ কমিটি কাজ করবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ও সহস্রাধিক শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক দফার দ্বিতীয় ধাপ তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে নতুন রাজনৈতিক ভাষা ও জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা হাজির করেছে, তা বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করতে হবে। গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে সমাজে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগের সঙ্গে মত আদান-প্রদানের মাধ্যমে নতুন ঐতিহাসিক বোঝাপড়ায় উপনীত হওয়া এবং সেই মোতাবেক বাংলাদেশের জনগণকে সংগঠিত করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম আদিব গণমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এর পর জেলায় জেলায় মহানগর ও থানা পর্যায়ে কমিটি করা হবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে এ কমিটি কাজ করবে।


আরও খবর