আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাচ্ছেন ব্রিটিশ ভোক্তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতি আর জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে যুক্তরাজ্যে বেড়েছে জীবনযাপনের ব্যয়। এ পরিস্থিতিতে নানাভাবে খরচ কমিয়ে জীবনযাপন সহজ করার উপায় খুঁজছেন ব্রিটিশরা। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজির এক সমীক্ষা বলছে, চলতি বছর অপ্রয়োজনীয় ও জরুরি নয় এমন খরচ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির মানুষ।

জরিপে অংশ নেয়া ৬১ শতাংশ বাইরে খাওয়া, ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়াসহ অতি জরুরি নয় এমন খরচ কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। জরিপে উঠে এসেছেবেঁচে থাকার জন্য অতি জরুরি যে খরচ যেমন খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং বাড়ি ভাড়া বা বাড়ির ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অর্থনীতির এ অবস্থা আর কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর এবারই প্রথম যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশের ওপরে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। যুক্তরাজ্যজুড়ে পরিবারগুলো খরচ কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, খরচের খাত কমিয়ে আনছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে। তার ওপর দফায় দফায় বাড়ছে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম।

আনুষ্ঠানিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের গড় প্রকৃত মজুরি কমে যাবে এবং আগামী দুই বছর জীবনযাত্রার মান কমবে অন্তত ৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলতে পারে। যার মাধ্যমে আগের আট বছরের প্রবৃদ্ধির প্রভাব মুছে যাবে। পরিবারগুলোর ওপর পরিস্থিতির অসম প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে কেপিএমজির জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কোনো সঞ্চয় নেই। কেবল ৪ শতাংশ মানুষ বলেছে যে তারা জরুরি নয় এমন খরচও চলতি বছর বাড়াবেন। অন্যদিকে এক-চতুর্থাংশই বলছে যে, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ২০২২ সালের মতোই কমিয়ে রাখবে তারা। যাদের সঞ্চয় আছে তাদের ৪৩ শতাংশ বলছে যে এ অর্থ প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বা জরুরি খাতে খরচ করবে তারা। মূল্যস্ফীতির এ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোয়।

জরিপে অংশ নেয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ভোক্তা জ্বালানি বা বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এপ্রিলের পর বিদ্যুৎ খচর বেড়ে যাওয়া, সরকারের প্রণোদনার পরিমাণ কমিয়ে দেয়া এবং বন্ধকি সম্পত্তির ক্ষেত্রে সুদের হার বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে খরচের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে এক-তৃতীয়াংশ ভোক্তা জানিয়েছে যে ২০২৩ সালে তারা একান্ত প্রয়োজনীয় ও জরুরি পণ্যে বিনিয়োগ করবে। কেউ কেউ সব ধরনের খাতেই খরচ কমানোর কথা জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি যে খাতগুলোয় খরচ কমানোর কথা জরিপে উঠে এসেছে সেগুলো হলো বাইরে খাওয়া, অপ্রয়োজনীয় পোশাক এবং রেস্তোরাঁ থেকে বাড়িতে খাবার কিনে আনা।

কেপিএমজির যুক্তরাজ্যের কনজিউমার মার্কেট, রিটেইল অ্যান্ড লেজার বিভাগের প্রধান লিন্ডা ইলেট বলেন, এ মূহুর্তে ভোক্তা ব্যয় যে পর্যায়ে আছে সেটি আর কত বাড়বে সে সম্পর্কে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। আগামী বছর সম্পত্তি বন্ধকের হার ও জ্বালানির দাম কেমন বাড়বে সে বিষয় নিয়েও এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এসব কারণেই দুই-তৃতীয়াংশ ভোক্তা বলেছে যে চলতি বছর অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমিয়ে ভারসাম্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে তারা। প্রত্যেক ভোক্তাই এখন এটা চিন্তা করছে যে কীভাবে, কোন খাতে খরচ কমানো যায়।


আরও খবর



ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৭টা ২২ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত।

১২ মিনিটব্যাপী চলা এই মোনাজাত করান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এ সময় আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।

মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। একইসঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃত সকলের মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহে মাগফিরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শুরু হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

এরপর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয়, চতুর্থ সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঈদযাত্রায় সহজ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আপনারা জানেন। এখন আমরা ঘরের ভেতের করছি, কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য পুরো সেশনটিই উন্মুক্ত ছিল। যে যা বলেছেন, সবই আপনারা পেয়েছেন। যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ, তাও আপনাদের জানানো হয়েছে পরিষ্কারভাবে।

তবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঈদের পরে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আপনারা ঈদের পরে প্রশ্ন করতে পারেন। গাড়ির চাপ আছে, কিন্তু যানজট নেই, এটা আমি বলতে পারবো।

ঢাকায় অস্বাভাবিক যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে। কোথায় যে দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে, আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর



পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকে হামলা চালায় কুকি চিন : পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কম সময়ের মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা জোগাড় করতে বান্দরবানে ব্যাংক তিনটিতে পরিকল্পিতভাবে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা এ কথা জানান।

গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। এছাড়া একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয় তারা।

রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে।

দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এ ঘটনায় কেএনএফের নাম নিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রুমা উপজেলা হাসপাতালে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আহত দুই পুলিশ সদস্যকে দেখতে যান ডিআইজি নুরে আলম মিনা। এর আগে তিনি ডাকাতি হওয়া সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

ডিআইজি বলেন, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা একই ধরনের এবং একই চক্রের মনে হচ্ছে। ব্যাংকে ডাকাতির এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। এপ্রিল মাসে কয়েকটি উৎসব থাকায় ব্যাংকে বেশি অর্থ থাকার সুযোগে সন্ত্রাসীরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে, বুধবার থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলা সদর ব্যতীত বান্দরবানের অন্য ৬ উপজেলার ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরপর তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় জেলাজুড়েও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল (আজ) সকালে ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংকক পৌঁছান। তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মজুরি বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। এ সময় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার আহ্বান জানান। বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বোও না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা।’

শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন,  সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করবো। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলবো। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর