আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অপরাজেয় বাংলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর দেশজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্য বহন করে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংগ্রামী ইতিহাস। এর মধ্যে একটি অপরাজেয় বাংলা। স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত ভাস্কর্যটির নাম অপরাজেয় বাংলা। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত একটি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি বিষয়বস্তু তিনজন দণ্ডায়মান মুক্তিযোদ্ধা। এটি নির্মাণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। অপরাজেয় বাংলা নামকরণটি করেন মুক্তিযাদ্ধা ও সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী। ১৯৭২ সালে কলা ভবনের সামনে ভাস্কর্যটি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। আর ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে অপরাজেয় বাংলা উদ্বোধন করা হয়।

৬ ফুট বেদীর উপর নির্মিত ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট। এতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ ও আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়। সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের প্রতীক অপরাজেয় বাংলা 

১৯৭২-৭৩ সালে ডাকসুর ভিপি ছিলেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস ছিলেন মাহবুব জামান। এসময় ডাকসুর উদ্যোগে অপরাজেয় বাংলার কাজে হাত দেওয়া হয়। এর তিনটি মূর্তির একটির ডান হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে রাইফেলের বেল্ট ধরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। চোখমুখ স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত। এর মডেল ছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম বেনু। থ্রি নট থ্রি রাইফেল হাতে সাবলীল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো অপর মূর্তির মডেল ছিলেন সৈয়দ হামিদ মকসুদ ফজলে। আর নারীমূর্তির মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ। ১৯৭৫ সালের পর অনেকদিন অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল।

১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পূর্ণোদ্যমে অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ ফের শুরু হয়। ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। তবে অপরাজেয় বাংলার কাছে ভাস্করের নাম খচিত কোনো শিলালিপি নেই। স্বাধীনতার এ প্রতীক তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন গুণী শিল্পী ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনের বেদীতে দাঁড়ানো তিন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি যেন অন্যায় ও বৈষম্য দূর করে দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার গান গাইছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। কালক্রমে ভাস্কর্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে।

নিউজ ট্যাগ: অপরাজেয় বাংলা

আরও খবর



প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এদিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।

এছাড়া বেলা ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঢল নেমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনসহ আপিল বিভাগের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের নেতা অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি ও ফুল কোর্ট সভা বন্ধের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।


আরও খবর



ফেনীতে বন্যায় কৃষিতেই ক্ষতি ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফেনীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতে মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে হলুদ, আদা, আউশ, আমন ও শরৎকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ৩০ হাজার ৩৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মোট ফসলি জমির ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তারমধ্যে ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ২৬ হাজার হেক্টর আমন, ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর আউশ, আবাদকৃত ৫২৫ হেক্টর শরৎকালীন সবজির পুরো অংশ, ৬৯ হেক্টর ফলবাগান, ৭ হেক্টর আদা, ১৬ হেক্টর হলুদ এবং ১৬ হেক্টর আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরশুরামের কাউতলি গ্রামের কৃষক আলী আহম্মদ বলেন, বছরের প্রথম দফায় বন্যায় আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর আবার বীজ বপন করে আমন আবাদের কিছুদিন পর বন্যার পানিতে সব ভেসে যায়। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যায় সবগুলো ফসলি জমি এখন বালুর স্তূপ হয়ে আছে। কোনোভাবে আবাদ করে খাবো এমন পরিস্থিতি আর নেই।

সাইদুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক বলেন, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছি আমরা। জমির ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ঘরে থাকা ধান-চালও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে আবাদ করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। 

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন, বন্যায় কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জেলা কার্যালয়ও বুক পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তারপরেও আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং তাদের নানা পরামর্শের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের আমনের চারা দেওয়ার ব্যাপারে দাপ্তরিকভাবে আলোচনা উঠে এসেছে। এছাড়া এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আগাম জাতের কিছু ফসল আবাদের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের বন্যায় ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় আউশ আবাদ, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আমন বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন মরিচের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তিন উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমি। তখন কৃষিতে সবমিলিয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এতে ১ হাজার ৭১৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


আরও খবর



এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে ছুরিকাঘাতে ২ নিরাপত্তাকর্মী নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে ছুরিকাঘাতে দুই নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাঁশখালী থানাধীন গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এসএস পাওয়ার প্লান্টের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার আব্দুর রহমানের ছেলে সারওয়ার আলম (৫১) ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাশেদ জাওয়ারদার (২২)। তাদের মধ্যে সারওয়ার সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন এবং তিনি পাওয়ার প্ল্যান্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া রাশেদ পাওয়ার প্ল্যান্টের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাতে চুরি করে পালানোর চেষ্টার সময় দুজনকে বাঁধা দেন নিরাপত্তাকর্মী সারওয়ার আলম ও রাশেদ জাওয়ারদার। এ সময় ওই চোররা তাদের ছুরিকাঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হলে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরের তীরে গণ্ডামারায় ৬০৬ একর জমিতে কয়লাভিত্তিক আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেনাবেচা সংক্রান্ত চুক্তিও সই হয়। ওই বছরই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং।


আরও খবর



হাসিনাকে স্থায়ী আশ্রয় দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের চিড় ধরবে: অলি

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্থায়ী আশ্রয় দেয়া হলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের চিড় ধরবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘঠিত বিভিন্ন গণহত্যার সুষ্ঠ বিচার করে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন এলডিপির প্রেসিডেন্ট।

গণহত্যার হুকুমদাতা জাতীয় শত্রুদের কোথাও আশ্রয় না দিয়ে তাদের আয়নাঘরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার স্বাদ বোঝাতে হবে। সঙ্গে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ যেন ভিন্ন মোড়কে আসতে না পারে সেই ব্যাপারেও সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে, যোগ করেন অলি আহমদ।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী পৃষ্টপোষকতায় যাদের চাকরি হয়েছে সেসব দালালদের শুধু বদলি কিংবা চাকরিচ্যুত না করে তাদের বরখাস্ত করতে হবে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়াও প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের আহ্বান জানান এলডিপির প্রেসিডেন্ট।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রতীকসহ নিবন্ধন পেল সাবেক ভিপি নুরের দল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ। দলটি ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে।

গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির জেরে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত বুধবার নিবন্ধনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে একটি চিঠি দেয় দলটি।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয়-সংক্রান্ত তথ্য পুনঃযাচাইয়ের জন্য উপসচিব (আইন) ও রাজনৈতিক দলের তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুছ সালামের নেতৃত্বে চার সদস্য দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১ জুলাই দলের জরুরি সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ককে অপসারণের ফলে বর্ণিত আহ্বায়ক কমিটি অস্তিত্বহীন এবং অকার্যকর। বর্ণিত কাগজপত্র ও গঠনতন্ত্র পর্যালোচনায় ওই দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক ছিল এবং ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনতান্ত্রিক ও কার্যকর মর্মে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।

নুর তার চিঠিতে লেখেন, এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও সংশোধিত গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করি। সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ায় ওই বছরের ২৫ জুলাই নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় কাউন্সিলসহ এরই মধ্যে জমাদানকৃত কাগজপত্রাদি বিবেচনা করে গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য জোর দারি জানাচ্ছি।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪