আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

অপহরণের ১৮ দিন পর নদীর তীরে মিলল জেলের লাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তের খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের ১৮ দিন পর নাফ নদীর তীরে এক জেলের লাশ পাওয়া গেছে। স্বজনদের দাবি আরাকান আর্মির সদস্যরা ওই জেলেকে অপহরণ করেছিল।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেড়িবাধ থেকে অপহরণের শিকার জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত মোস্তাফিজুর রহমান উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ও দিনমজুর।

নিহতের ছোট ভাই মো. আমির হোসেন জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে নাফ নদীতে অন্য জেলেদের সঙ্গে তার ভাই মোস্তাফিজু মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও ভাইয়ের সন্ধান পাননি। অপহরণকারীরা স্বজনদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যার আগে উখিয়া উপজেলার রহমতেরবিল সীমান্তে চিংড়ি ঘেরে কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম। এক পর্যায়ে তিনি নাফ নদীর বেড়িবাধের ওপর মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্বজনদের জানান। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিজিবির সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা তাকে বেঁধে রাখায় অনাহারে মৃত্যুর পর মরদেহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ফেলে রেখে গেছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে খবরটি শোনার পর পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তার শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তার পায়ে রশি বা শিকল জাতীয় কোন কিছু দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে। অপহরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহত মোস্তফিজকে অপহরণ করা হয়েছে এব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি, এটি তাদের ভাষ্য।

ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



পাঁচ জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ১০ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হয়েছেন এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি।

রোববার (৭ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে এ তাণ্ডবলীলা ঘটে। ভোলার মনপুরা ও লালমোহন, পিরোজপুর, বাউফল, বাগেরহাট ও ঝালকাঠিতে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।

পিরোজপুর: পিরোজপুরে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড়ে গাছচাপায় এক নারী ও ঝড়ে উড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। জেলার ওপর দিয়ে ১৫ মিনিট ঝড়ো গতিতে বাতাস বয়ে যায়। এতে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শত শত গাছ উপরে পড়ে কয়েকশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পৌরসভার প্রায় সব সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

ভোলা: ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে দুপুরের দিকে আকস্মিক ঝড় শুরু হয়। এতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় নিজ ঘরে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতেও একজন মারা গেছেন। মনপুরার দুপুর ১২টা দিকে হওয় ঝড়ের তাণ্ডবে দাসের এলাকায় ছয় জেলেসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। যাত্রীদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ট্রলারটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

বাউফল: বাউফলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ৩৫ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে দুইজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে বাউফলে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতসহ ঝড় হয়েছে। এতে তেতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড়ে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির দুই উপজেলায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

নিউজ ট্যাগ: কালবৈশাখী ঝড়

আরও খবর



চোখ রাঙাচ্ছে ফ্লু ভাইরাস, রূপ নিতে পারে মহামারীতে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

অদূর ভবিষ্যতে মহামারীতে রূপ নিতে পারে ফ্লু ভাইরাস, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, অভিজ্ঞ রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রায় ৫৭ শতাংশই মনে করছেন ফ্লু ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আগামীতে বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণ হতে পারে।

কলোগনি ইউনিভার্সিটির সালম্যানটন গার্সিয়া দীর্ঘ সময় ধরে তার করা সমীক্ষায় দেখান যে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাইরাসের ধরনে নানা পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, প্রতি শীতেই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেয়। এটাকে ছোটখাটো মহামারীই বলা চলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, কারণ বেশিরভাগ ধরন তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক। তবে আগামীতেও যে এটি এমনই থাকবে তা তো নিশ্চিত নয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ফ্লুর পরে বড় মহামারীটি ডিজিজ এক্স নামক ভাইরাস থেকে আসতে পারে। তবে ভাইরাসটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২১ শতাংশ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন পরবর্তী মহামারী একটি নতুন অণুজীবের কারণে ঘটবে, যা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এটা সেভাবেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে, যেভাবে হুট করেই ঠিক সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২০১৯ সালে আক্রমণ করেছিল।

অন্যদিকে, প্রায় ১৫ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন কোভিড-১৯ ভাইরাসই এখন পর্যন্ত আগামী মহামারীর হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনওয়ান (H5N1) স্ট্রেইনের উদ্বেগজনক বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এভিয়ান ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে লাখ লাখ হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে এবং লাখ লাখ বন্যপাখি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি রাজ্যে ভাইরাসটি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুও রয়েছে। এটি মানুষকেও আক্রান্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

হ্যাটফিল্ডের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের ড্যানিয়েল গোল্ডহিল গত সপ্তাহে নেচার জার্নালে বলেন, ভাইরাসটি যত বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতিকে সংক্রমিত করে, ততই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক স্ট্রেইনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এড হাচিনসন বলেন, এইচফাইভএনওয়ান ভাইরাসের উপস্থিতি বিস্ময়কর ছিল। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে শূকর এতে আক্রান্ত হলেও গবাদিপশুর ওপর এভিয়ান ফ্লুর আক্রমণ একেবারেই নতুন ছিল। তারা এ রোগের নিজস্ব স্ট্রেইনে আক্রান্ত হয়েছিল। তাই গরুতে এইচফাইভএনওয়ানের উপস্থিতি একটি বিরাট ধাক্কা হিসেবে এসেছে।’

এর মানে হলো- ভাইরাসটি আরও বেশিসংখ্যক খামারের প্রাণীতে এবং তারপর খামারের প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাইরাসটি যত বেশি ছড়াবে, ততই এটির পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এইচফাইভএনওয়ান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এর প্রভাব মারাত্মক হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দুই দশকে শত শত ক্ষেত্রে মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে এসে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জেরেমি ফারার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি, কারণ মানুষের এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা নেই।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মতলব উত্তরে ভোটে জয়ী হতে মরিয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

ভোটে জয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৩ জনই এখন ভোটের মাঠে একে আপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জোড়ালো প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের সাবাই। মাঠের রাজনীতিতে কার কেমন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণিত হবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে প্রতীক নির্ধারণের পর উপজেলা জুড়ে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। স্ব-স্ব অনুসারী নিয়ে মিছিল মিটিং করছেন প্রার্থীরা। সব প্রার্থীদের দৃষ্টি ভোটারদের দিকে। নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রার্থী তালিকায় থাকা সম্প্রতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও সরব ভূমিকা পালন করছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই প্রচারণা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবসেও জনগণের প্রতি বার্তা প্রদান করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব থাকেন এই প্রার্থী। বর্তমান সময়ের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জনগণের প্রতি নানা পরামর্শমূলক পোস্ট করে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করেন দীর্ঘ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ফলে তার জন সম্প্রিক্ততা রয়েছে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান দপ্তর সম্পাদক পদে দায়িত্বে থাকা মানিক দর্জি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদে থাকলেও রাজধানীতে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততায় পার করেন তিনি। নিজস্ব শিল্প কারখানায় তৈরী পণ্য রাজধানীর নিউমার্কেট, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে পুরোদমে সক্রিয় হতে এবারের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী মাঠ স্বাভাবিক আছে জানিয়ে মানিক দর্জি জানান, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি, কোন ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হইনি।

আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে জড়িত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাদরাসা, মসজিদ ও স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল জনগণের সেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দিতে সক্ষম হব। নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথাও জানান।

নির্বাচনী মাঠ নিয়ে অন্যদের কোন অভিযোগ না থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন ২৪ এপ্রিল তার লোকজনের উপর চেয়াম্যান প্রার্থী মানিক দর্জির লোকজন হামলা করেছে এমন অভিযোগ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদের কার্যালয়ে জমা দেন।

গাজী মুক্তার হোসেন বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমার লোকজনের উপর হামলা করা হচ্ছে, আমার বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বলেন, আমার দরজা জনগণের জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে জনগণ আমাকে সবসময় কাছে পাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ জানান, মতলব উত্তরে সর্বমোট ৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৭ এপ্রিল) ভোরের এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ইরানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা করছে ইসরায়েল।

লেবাননের পূর্বে বালবেক অঞ্চলে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় বেকা উপত্যকার দু’টি এলাকা, জান্তা এবং সিফ্রি লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।’

জান্তা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি শুষ্ক, পার্বত্য অঞ্চল এবং সিফ্রি বেকা উপত্যকার কেন্দ্রে রয়েছে। লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, রবিবার ভোরে ইসরায়েল পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির দু’টি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। লেবাননে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরে গাজা যুদ্ধের শুরু থকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় করেছে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডের গভীরে গিয়ে ইসলামি গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।

শনিবার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ লেবাননের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৪৫০ ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দেওয়ার পরে পূর্ব লেবাননে সর্বশেষ এই হামলা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে লেবানিজ আকাশসীমায় পরিচালিত একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল’। এটি ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। এটি লেবানন ভূখণ্ডে পতিত হয়।

শুক্রবার একটি টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তার আন্দোলন এখনও তার প্রধান’ অস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, গাজার যুদ্ধ শেষ হলেই হিজবুল্লাহ তাদের আক্রমণ বন্ধ করবে।

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধে লেবাননে কমপক্ষে ৩৪৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, তবে কমপক্ষে ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

যুদ্ধ দক্ষিণ লেবানন এবং উত্তর ইসরায়েলে কয়েক হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের ১০ সৈন্য এবং আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।


আরও খবর



৭০ বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শয়তান ধূমকেতু

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৭০ বছর পর পৃথিবীর আকাশের দিকে ধেয়ে আসছে একটি ধূমকেতু, যা মাউন্ট এভারেস্টের সমান বড়। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস যা ডেভিল কমেট বা শয়তান ধূমকেতু নামে বেশি পরিচিত।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় বিরল চেহারা দেখাবে শয়তান ধূমকেতু। আর ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় সূর্য থেকে এর দূরত্ব থাকবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ মাইল। এ ছাড়া আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ১৪ কোটি মাইল।

গত বছর এই ধূমকেতুটির ওপর বরফ ও গ্যাসের বিস্ফোরণের কারণে শিং এর মতো আকৃতি তৈরি হয় এরপর এর নামকরণ করা হয় ডেভিল বা শয়তান ধুমকেতু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এই ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতর চলে আসে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদরা বাইনোকুলারের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং এর ছবি তুলছেন।

১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাঁদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে।

ধূমকেতুটি ২১ এপ্রিল নাগাদ তাওরাস নক্ষত্রপুঞ্জে হাজির হবে। তখন উত্তর গোলার্ধ থেকে সন্ধ্যায় সবচেয়ে ভালোভাবে এটি দৃশ্যমান হবে। এ সময় এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের কাছাকাছি প্রদর্শিত হবে।


আরও খবর