আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরা হলো না বাড়ি

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চাঁদপুরের কচুয়ায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ঢাকা-কচুয়া সড়কের হাটমুড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার বারৈয়ারা গ্রামের দীঘিরপাড় এলাকার মো. ধনু মিয়ার ছেলে ওয়াজ উদ্দিন (৩০) ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার (২৪)।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওয়াজ উদ্দিন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে সাচার মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে যান। ডাক্তার দেখানো শেষে সাচার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি হাটমুড়া এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে মালামাল নিয়ে আসা কচুয়াগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে থাকা ওয়াজ উদ্দিন ও সাবিকুন নাহার ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহতের ভাই রবি উল্লাহ ও ছফি উল্লাহ জানান, চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ওয়াজ উদ্দিন। গত বছর প্রবাস থেকে ফিরে বারৈয়ারা গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

সাচার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছি। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক-সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাক ফেলে চালক পালিয়ে যায়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জেনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জাকে চার লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে আজও (বুধবার) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা চষে বেড়িয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর কর্মকর্তারা। এ সময় ফায়ার সেফটি না থাকায় এবং বাণিজ্যিক ভবনে রেস্টুরেন্ট করায় কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজউক কর্মকর্তারা এলাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালান। দেখা গেছে, অধিকাংশ ভবন ও রেস্টুরেন্ট নিয়ম লঙ্ঘন করে গড়ে তোলা হয়েছে। কোনোটিরই নেই ফায়ার সেফটি ও বিকল্প সিঁড়ি।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জায় গিয়ে ফায়ার সেফটি ও ভবনে বিকল্প কোন সিঁড়ি পাওয়া যায়নি। আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে দুটি রেস্টুরেন্টকে দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, চায়না ল্যান্ড রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই কারণে চারটি রেস্টুরেন্টকে মোট সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে কামরুল ইসলাম বলেন, তাদেরকে সব নিয়ম-কানুন মেনে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রেস্টুরেন্ট চালাতে বলা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট মালিকদের পাশাপাশি শিগগিরই ভবন মালিকদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

যদিও সাধারণ মানুষ বলছে, গুটি কয়েক রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে দায় সারলে চলবে না, প্রতিটি সেক্টরকেই এমন নজরদারিতে আনতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কেএফসি ডোমিনোজ

আরও খবর



রাজধানীর সড়কে ছুটির দিনে ঝরল ৪ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছুটির দিনে রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর ও উত্তরখানে ঘটা এ দুর্ঘটনাগুলোতে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে বসে আর্তনাদ করছেন এক মেয়ে। বাবার মরদেহের অপেক্ষায় তার অঝোরে কান্না কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না আত্মীয়রা।

জানা গেছে, ছুটির দিনটিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসূলবাগ বাসার সামনে খেলা করছিল মাদ্রাসা পড়ুয়া সাত বছরের শিশু ইয়াসিন। বেপরোয়া গতির অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুটিও না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।

একই দিন সকালে ওয়ারীর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব মতিউর রহমান। মেয়েকে কথা দিয়েছিলেন, রোজা উপলক্ষে বাজার করে বাসায় ফিরবেন। তবে সায়েদাবাদ জনপদ মোড়ে বেপরোয়া বাসের চাপায় সড়কেই লাশ হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না তার।

যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দুবাসের মাঝে চাপা পড়ে লাইনম্যান ইমরান মারা যান। সকালে উত্তরা থেকে কাজ শেষ করে গাজীপুরের বাসায় ফিরছিলেন আলী হোসেন। পথে উত্তরখানে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি নিহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।


আরও খবর



সগিরা মোর্শেদ হত্যা, ২ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তিন যুগ আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালাত।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।চুক্তি করা ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন হাসান আলী। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও আর দেননি।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।


আরও খবর



রমজানে আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিগত বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি টেম্পল মাউন্টে (আল-আকসা) আসতেন, এ বছরও তাতে কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও টেম্পল মাউন্ট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রতি বছর রমজান মাসে হাজার হাজার মুসলিম আল-আকসায় নামাজ আদায় করেন। গত বছর অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মাঝে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে মুসলিমদের আল-আকসায় নামাজ পড়তে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ানোটা ইসরায়েলের নিজের নিরাপত্তার জন্যই ক্ষতিকর।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ।


আরও খবর



আবারও বিজিপির ২৯ সদস্য আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষ ঘিরে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা।

সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপির মোট ২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।


আরও খবর