আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত : যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলীর দিকে ওয়াশিংটন নজর রাখছে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্র তার দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বাংলাদেশে চলমান ঘটনাবলীর দিকে নজর রাখছি এবং দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে লক্ষ্য করেছি।

বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান ঘটনাবলী নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র পিটিআইকে বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা উচিত। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত, কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

এনডিটিভি বলছে, নোবেল বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনুস বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার এবং আমাদের নতুন বিজয়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে সকল প্রকার সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আন্তরিক আবেদন জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বুধবার ঘোষণা করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শপথ নেবে। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে ১৫ সদস্য থাকতে পারে।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ সেলিম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (শেখ সেলিম) ও তার পরিবারের ৯১ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ মঙ্গলবার এনবিআরের কর অঞ্চল-১৫ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২০০ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে করদাতার নামে অথবা যৌথ নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত সব ধরনের ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তার বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।

এ ছাড়া তাদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য চেয়েছে কর অঞ্চল-১৫।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং বিলুপ্ত ফরিদপুর-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।


আরও খবর



কাজে ফেরেননি হাসিনা সরকারের বিশেষ ডিএমপি কর্মকর্তারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেখ হাসিনা ভারত পালানোর পর অনেকেই পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে আবার কেউ কেউ দেশেই রয়েছেন আত্মগোপনে। এ তালিকায় রয়েছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও। কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং দায়িত্ব পালন না করা পুলিশ সদস্যদের আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আলটিমেটামের আজ শেষ দিন হলেও গতকাল বুধবার পর্যন্ত আওয়ামীপন্থি কিংবা ক্ষমতাচ্যুত সরকারঘেঁষা হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বেশির ভাগ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি।

শাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে অনুপস্থিতরা আর চাকরি করতে চাইছেন না বলে ধরে নেওয়া হবে। সে হিসেবে পরবর্তী ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

ডিএমপি সূত্র বলছে, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ অন্তত ২৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। এর মধ্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।

ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগসহ দুই-একটি ইউনিটের সদস্যরা পুরোদমে অফিস করছেন। বাকিদের কক্ষে তালা ঝোলানো দেখা যায়। অনেকের ফোনও বন্ধ। তবে থানাগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। থানাগুলো চালু হলেও গত তিন দিনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার মধ্যে কোনো থানাতেই মামলা দায়ের হয়নি। যদিও তিন দিনে ২৫০টির মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আগে দিনে প্রায় এক হাজার জিডি হতো। ১৪ আগস্ট ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, অনেকেই কাজে ফিরছেন। আমরা আশাবাদী, বাকিরাও দ্রুতই কাজে ফিরবেন।

নিরাপত্তাহীনতা ও সহকর্মীদের হতাহত হওয়ার ক্ষোভ থেকে ৫ আগস্টের পর কাজে যোগ দেননি পুলিশের ননক্যাডার সদস্যরা। আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েও গেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ডিএমপি

আরও খবর



জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, পতনের দ্বারপ্রান্তে যখন শেখ হাসিনার সরকার; ঠিক সেসময় ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে। যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে। সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল। উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের বিষয়ে দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা প্রত্যাহার করেছে সরকার। আজই গেজেট প্রকাশ হবে।

তিনি জানান, এখন নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই শুরু করা হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।


আরও খবর



আমি নির্দোষ, আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না: জিয়াউল আহসান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, এ আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ।  শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে তিনি বিচারককে এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ উল্লাহ্ খান জুয়েল নামে এক আইনজীবী আদালতে বলেন, আজ যে আয়নাঘরের উত্থান, এটার মূল কারিগরি এই আসামি। দেশে যত গুম খুন, এর নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া।

এ সময় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতে বলেন, আমি অসুস্থ, আমার হার্টের ৭৯ শতাংশ ব্লক। আমাকে নিয়মিত মেডিসিন নিতে হয়। এছাড়া আমাকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। সেচ্ছায় অবসর নিতে বলা হয়েছে, তাই আমি অবসর নিয়েছি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেওয়া হয়। পরে জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এই তথ্য জানায়। তিনি সবশেষ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে ছিলেন।

জিয়াউল আহসান নানা কারণে বিভিন্ন সময় আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের গুম-খুনের অনেক ঘটনায় তিনি জড়িত। বিশেষ করে সিলেটের বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান রহস্যের সঙ্গে বারবার তার নাম এসেছে।

তিনি র‌্যাবের অধিনায়ক থাকাকালে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ওঠে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায়ও তার নাম আলোচিত হয়।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন জিয়ার জন্যই প্রথমবারের মতো এনটিএমসির মহাপরিচালক পদটি সৃষ্টি করা হয়। আর পদটিতে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান জিয়াউল আহসান।

জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ২০০৯ সালের ৫ মার্চ র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক ও একই বছর লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজধানীর ৩২ থানার ওসিকে বদলি

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৩২ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৩ অগাস্ট ১৮ ওসিকে বদলি করা হয়। অর্থাৎ ডিএমপির ৫০ থানার সব ওসিকে বদলি করা হলো।

জানা গেছে, লালবাগ থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে মহালছড়ি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, চকবাজার থানার ওসি কাজী শাহীদুজ্জামানকে দিনাজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মাদ মাসুদ আলমকে সাতক্ষীরা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কোতোয়ালি থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়াকে নোয়াখালী পিটিসিতে, আদাবর থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, এস এম আবু ফরহাদকে কক্সবাজার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহজাহানপুর থানার ওসি সুজিত কুমার সাহাকে নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, খিলগাঁও থানার ওসি মো. সালাহউদ্দীন মিয়াকে ১৮ এপিবিএনে, সবুজবাগ থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাকে খুলনা পিটিসিতে এবং গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ব্যতীত ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, দক্ষিণখান থানার ওসি মো. আশিকুর রহমানকে পিরোজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. শাহ আলমকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহীনুর রহমানকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, বনানী থানার ওসি কাজী শাহান হককে রংপুর পিটিসিতে, বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছাঁলাম মিয়াকে খাগড়াছড়ি ৬ এপিবিএনে, নিউ মার্কেট থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, হাজারীবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদকে ঠাকুরগাঁও ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কলাবাগান থানার ওসি মো. মফিজুল আলমকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে, রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়াকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে এবং ধানমন্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামকে নোয়াখালী পিটিসিতে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া শ্যামপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানকে গাইবান্ধা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ওয়ারী থানার ওসি জানে আলম মুনশীকে ১৪ এপিবিএনে, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. আবুল হাসানকে ১৬ এপিবিএনে, রূপনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে বরিশাল ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ভাসানটেক থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিনকে মহালছড়ি এপিবিএন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুগদা থানার ওসি তারিকুজ্জামানকে সারদা বিপিএতে, মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে নোয়াখালী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ১০ এপিবিএনে, হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেনকে হবিগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মো. আহাদ আলীকে এপিবিএনে এবং মোহাম্মদপুর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।


আরও খবর