আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অনলাইন জুয়ার কবলে দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:

সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরদীর যুব সমাজ, শিক্ষার্থী, উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী আসক্ত অনলাইন জুয়া এবং অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন গেমস এ। নষ্ট হচ্ছে লেখাপড়া। পরিবারে বাড়ছে কলহ। ঘটছে না নানা দুর্ঘটনা। কিশোর কিশোরীদের এনড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনাও দেশে কম ঘটেনি।

অনলাইন জুয়ার ভয়াবহতা পৌঁছে গেছে ইট পাথরে গড়া শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে প্রযুক্তির। এমন সর্বনাশা নেশায় সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন অনেকে। অনলাইন জুয়া চক্রের সদস্যরা মাসে লেনদেন করছে কোটি কোটি টাকা। আর এই টাকা চলে যাচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদেশী চক্রের হাতে।

ঈশ্বরদী বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা এই নেশায় আশক্ত। উপজেলার মুলাডুলি, দাশুড়িয়া, মাড়মী, দরগাবাজার, পাকশী, কালিকাপুর, পারমানবিক এলাকা, ভেড়ামারা লালন শাহ সেতু পশ্চিম দিকে, পদ্মা নদীর মাঝে নৌকা যোগে বসে এই জুয়ার আড্ডা। সন্ধা রাত থেকে শুরু করে পাড়ার দোকান পাটে বসে চলে গভীর রাত পর্যন্ত এই আড্ডা। চলে পাপজি, ফ্রিফায়ার গেম খেলা। শুধু তাই নয় ডিজিটাল যুগে গ্রামেও রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা, রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগ। ঘরে বসেও চলছে জুয়ার আড্ডা। আবার পূর্ব পদ্ধতি তাশের মাধ্যমেও চলছে এই আড্ডা। জুয়ার টাকার যোগান দিতে অনেকেই আবার জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে। সৃষ্টি হচ্ছে মাদকসেবী, বাড়ছে কিশোর গ্যাং এর সংখ্যা।

একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকুরীরত অনেকেই এই অনলাইন জুয়ার নেশায় খোয়াচ্ছে তাদের অর্জিত অর্থ। সংসারে নেমে আসছে তার বিরুপ প্রভাব। মাসের বেতন পেলেই এই চক্র বিভিন্ন যায়গায় চালায় অনলাইন জুয়ার আড্ডা। আবার অন লাইনে লুডু খেলার মাধ্যমেও চলছে জুয়া।

উপজেলার দরগাবাজার এলাকার এক যুবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জুলাইয়ের ১ তারিখে ইমদাদ (৩০) নামের এক যুবককে অনলাইনে জুয়া খেলার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ পরিচয়ে রাতে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং গভীর রাত পর্যন্ত অজ্ঞাতস্থানে রেখে ঐ রাতেই চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

অনলাইন জুয়ার আসর https://onexperience.com । অ্যাপস এর মাধ্যমে এই সাইটে ইমেইল দিয়ে রেজেস্ট্রশনই বেটিং দুনিয়ার প্রবেশদ্বার। তারপরই শুরু হয় টাকার খেলা। এটি বাংলাদেশী টাকায় রকেট, বিকাশ বা এই জাতীয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিজ একাউন্টে টাকা জমা নিশ্চিত হওয়ার পরই শুরু হয় খেলা।

অন্য আরেকটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্যাটিং কোম্পানী হচ্ছে Bet365 । যার ওয়েব সাইট https://www.bet360.com । এই সাইটে অবশ্য টাকাকে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে প্রথমে ডলারে রুপান্ত করে নিজ একাউন্টে আনা হয়। তার পরই শুরু হয় খেলা।

টাকা দিয়ে পয়েন্ট কেনা। তা দিয়েই বাজি। নেশায় পড়েই লাখ টাকা খোয়াচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। আর কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।

জুয়ার রাজ্যে যাদের পরিচয় মাস্টার এজেন্ট, সুপার এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট নামে। এখানে জুয়া খেলতে লাগে পিবিইউ বা পার বেটিং ইউনিট। যার এক ইউনিটের দাম একশ' টাকা। ব্যবহারকারী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেয় লোকাল এজেন্টকে। তার কাছ থেকে পায় মাস্টার এজেন্ট। তারপর সুপার এজেন্টের হাত হয়ে টাকা পাচার হয় দেশের বাইরের থাকা সুপার অ্যাডমিনের কাছে। ফিরতি পথে পিবিইউ পৌঁছায় ব্যবহারকারী হাতে। শুরু হয় জুয়া। যোগাযোগ চলে বিদেশি নাম্বারের হোয়াটস্যাপে। ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই তরুণ।

সামনের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা ঘিরে জুয়ার মাষ্টার মাইন্ডরা আরও ব্যাপক হারে সকল শ্রেণি, পেশা ও বয়সীদের তাদের এই জুয়ার আড্ডায় সম্পৃক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন লোভনীয় অফারও রয়েছে।

১ জুলাইয়ের গ্রেফতার ও পরবর্তীতে টাকা নিয়ে আসামী ছাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, অত্র থানার কোন টিম উক্ত তারিখে কোন অনলাইনে জুয়া খেলার অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করেনি।

তিনি আরও বলেন, অনলাইন জুয়ার নেশায় পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন অনেকেই। আমাদের তেমন কিছু করার নেই। আমারা আমাদের সাধ্যমত আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার আড্ডা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি সচেতন হতে হবে অভিভাবক ও ব্যবহার কারীদেরও।


আরও খবর



সাউথ আফ্রিকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সাথে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের মতবিনিময়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দক্ষিণ আফ্রিকার সাত সদস্যর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের প্রধান নকুথুলা পেশেন্স নদলভুর নের্তৃত্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিএমসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদ, সদস্য এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের কাছে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার বিকালে আগ্রাবাদ কাদেরী চেম্বারের সিএমসিসিআই মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরীর, সহ-সভাপতি (ফরেন ট্রেড এন্ড অ্যাফেয়ার্স) ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেলসহ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিবৃন্দ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।

মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান সূচনা বক্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের সাথে সিএমসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ ও সদস্যদের সাথে মতবিনিময় জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বিনিয়োগকারীদের বিশেষ করে আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও ঘনিষ্ট বাণিজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন চেম্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে জানান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের প্রধান নকুথুলা পেশেন্স নদলভুর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ আমরা আগ্রহী। সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশই উন্নয়নের একই পথে আছে, যা পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে সম্ভবপর করে তোলে। তাই উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভার আলোচনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন কেডিএস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিএমসিসিআই সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরী, ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেল, দক্ষিণ আফ্রিকান অনারারী কনস্যুলেট আলহাজ সোলায়মান আলম শেঠ, কেডিএস টেক্সটাইল, কেডিএস গার্মেন্টস্ এবং কেওয়াই স্টিলের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন ও মাধ্যমিক রমজানে ১৫ দিন খোলা থাকে।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, সারাদেশের কলেজগুলো রমজানে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়েছিল।

এছাড়া রমজান উপলক্ষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করেছে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়।


আরও খবর



বেনাপোলে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকার পুটখালী গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পুটখালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও বালুন্ডা গ্রামের সিরাজুল গাজির ছেলে ইসরাফিল গাজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাবিব হোসেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পুটখালী গ্রামে স্থানীয় ওলিয়ার রহমানের মালিকানাধীন বিশাল গরু ফার্মে বিক্রির জন্য ফেন্সিডিল মজুদ করেছে মাদক কারবারিরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। ঘটনাস্থল থেকে হাফিজুর রহমান ও ইসরাফিল গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফার্মের উত্তর পাশের একটি জমির কলা গাছের ঝোপ থেকে দুটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর সাবিব হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মো. ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দকৃত মাদক ও গ্রেপ্তারকৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের যশোর জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


আরও খবর



রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছে। কি একটা অবস্থা চলছে।

এ সময় রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা চার মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।

গতকাল (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।

এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।


আরও খবর



লোহিত সাগরে আবারও মার্কিন জাহাজে হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন জাহাজে হামলা হয়েছে। বুধবার (০৬ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের এডেন বন্দরে একটি জাহাজে হামলার খবর পাওয়া গেছে। কাছাকাছি থাকা অপর একটি জাহাজ থেকে এ খবর পাওয়া গেছে। হামলার শিকার জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন ও বারবাডোজের পতাকাবাহী।

অ্যামব্রে জানিয়েছে, এডেন বন্দর থেকে ৫৭ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। এ সময় জাহাজটির কাছে অপর একটি জাহাজ যায়। তারা নিজেদের ইয়েমেনের নৌবাহিনী পরিচয় দিয়ে জাহাজটির পথ পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার পর তারা অন্যান্য জাহাজকে জাহাজটির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। হামলাটির সাথে হুতিদের হামলার ধরনের মিল রয়েছে বলেও জানিয়ে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের আরেক সংস্থা ইউকেএমটিও এ হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি।

মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৩০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।


আরও খবর