আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কম : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্ক এবং আশেপাশের দেশগুলো ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক কম।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে তথ্য অধিদফতর প্রকাশিত পদ্মা সেতু ভিত্তিক সংবাদ সংকলনের ৭টি খন্ডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব, তিনি শিক্ষক ছিলেন আমিও শিক্ষকতা করি, এখনো পার্টটাইম পড়াই। মাস্টার হিসেবে একজন প্রাক্তন মাস্টারের কাছে অনুরোধ, মাস্টার সমাজের যাতে বদনাম না হয়, সেজন্য তার একটু পড়াশুনা করা দরকার। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির দিকে তাকে একটু তাকাতে বলব। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে, সেটি ৮.৬%। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ যুক্তরাজ্যে ৯.১%, জার্মানিতে ৭. ৯%, রাশিয়াতে ১৭.১%, তুরস্কে ৭৩.৫%, নেদারল্যান্ডে ৯.৬%।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কায় ৩৯.১%, পাকিস্তানে ১৩.৮%, ভারতেও ৭ শতাংশের ওপরে। আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত সেটি ৬ শতাংশের একটু ওপরে ছিল, সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে, যেটি আজকে সমস্ত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দেশে এখনো এই কম মূল্যস্ফীতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। এবং বিশ্ব বাজারে ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে, আমরা আশা করছি দু-এক মাসের মধ্যে এর সুফল পাবো।

এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, অফিসে আসার সময় প্রেসক্লাবের সামনে দেখেছি জনা পঞ্চাশ মানুষ দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছে। আশেপাশের গাছপালায় তার চেয়ে বেশি কাক পাখি আছে। সাড়ে ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের হুমকি-ধামকির মধ্যেই জনগণ আমাদের আরো দুবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এ ধরনের হুমকি-ধামকি তাদেরকে হাস্যসকর বানাচ্ছে এবং এসবে কোনো কাজ হবে না। দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেমন ভারত, ইংল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে যেভাবে হয় ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং এবং বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।

মন্ত্রী এ সময় তার নির্দেশে পদ্মা সেতুভিত্তিক দুই হাজারেরও বেশি সংবাদের সংকলন দ্রুত প্রকাশের জন্য তথ্য অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে আমাজান নদীর পরেই সবচাইতে খরস্রোতা নদী হচ্ছে পদ্মা। এবং আমাজানের ওপর এখনো কোনো সেতু নির্মিত হয়নি। দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মার ওপর সেতু নির্মাণ ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, পদ্মা সেতু বাঙালির গর্ব, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রমাণ করেছেন যে, কোনো রক্তচক্ষু তাকে দমাতে পারে না, কোনো ষড়যন্ত্রও তাকে থামাতে পারে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন দেশকে, জাতিকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন। তাই আমরা আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায়, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছেবে ২০৪১ সাল নাগাদ কিংবা তার আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।

দেশে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে গত অর্থবছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যথার্থ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, প্রথমত করোনা দ্বিতীয়ত ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছে। ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামসহ সমগ্র পৃথিবীতে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে কদিন আগে সমস্ত নাগরিকদের কাছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য মোবাইলে বার্তা পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে বার্তাটি পড়ে শোনান তিনি।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত: বিবিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিসি’র প্রতিবেদকরা। তাদের সংগ্রহ করা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তিতে করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে বিবিসি। তাদের দাবি, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে প্রথম বছরের তুলনায় পরবর্তী ১২ মাসে মৃত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করে আসছে বিবিসির রুশ স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিবিসি বলছে, কবরস্থানে পাওয়া নতুন কবর থেকেও অনেক সেনার নাম সংগ্রহ করেছেন তারা।

এছাড়া, সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে দায়িত্বরত দলগুলো।

বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি দাবি করছে, তাদের সমীক্ষায় পাওয়া নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সরকারের প্রকাশ করা মৃত্যুর সংখ্যার আট গুণ।

এমন ভাবনার কারণ হিসেবে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃতে ডোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিহত হওয়া মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে মৃত রুশ সেনার সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা আরও অনেক বেশির ইঙ্গিত দেয়।


আরও খবর



‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে আসছে আরিয়ানের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প ‘তখন যখন’

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মিজানুর রহমান আরিয়ান মানেই বিশেষ কিছু। কারণ সংখ্যায় কম, মানে উন্নত’- এ অদৃশ্য নীতি ধরে শুরু থেকে কাজ করে আসছেন এ নির্মাতা। তারই আরেকটি বহিঃপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে এ ঈদে, তার একমাত্র নির্মাণ দিয়ে।

হ্যা, এ ঈদে শতাধিক নাটকের ভিড়ে আরিয়ান মাত্র একটি কাজই করেছেন; সেটি হলো তখন যখন’।

আরিয়ানের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে বিশেষ এ নাটকটি নির্মিত হয়েছে সিএমভির ব্যানারে। এর প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান, নিহা ও সাদিয়া আয়মান। যেখানে তিনজনকে দেখা যাবে সহপাঠী তথা বন্ধুর চরিত্রে।

কাজটি প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, এটা একটা লাভ ট্রায়াঙ্গেল। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ঢোকার আগে কোচিং করার একটা সময় আসে শিক্ষার্থীদের। সে সময়টায় কোচিং ক্লাসের সুবাদে প্রেমেও পড়ে অনেকে। তেমনই একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প এটি। বাকিটা আর বলছি না।’

নির্মাতা জানান, এখন তিনি ব্যস্ত আছেন একটি ওয়েব সিরিজ ও ওয়েব সিনেমা নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে। তবে দর্শক প্রত্যাশার কথা ভেবে ঈদ উপহার হিসেবে নির্মাণ করেছেন তখন যখন।

এদিকে প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, তখন যখন তাদের ঈদ আয়োজনের অন্যতম বিশেষ নির্মাণ; যা ঈদ আয়োজনে উন্মুক্ত হবে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চাঁদমারি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এদিকে মুজাফফরনগরের তান্ডেরার গ্রামবাসীদের কেউই ভোটকেন্দ্রে যাননি। সকাল ৮টা পর্যন্ত একটি ভোটও পড়েনি সেখানে। রাস্তা নির্মাণে বিলম্বের বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানা গেছে।

উত্তর প্রদেশের নাগিনা থেকে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন যে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। বিজেপি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং ভোটারদের তার পক্ষে ভোট দিতে দিচ্ছে না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১০টিরও বেশি ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করছে না এবং ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকা ক্যামেরাও ত্রুটিপূর্ণ।

তিন কেন্দ্র মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৩৭টি অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর