আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অন্ধ পরিবারটির পাশে দাড়ালেন ভাষা সৈনিক দবিরুলের পুত্র

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অন্ধ বাবা, আর প্রতিবন্ধী ভাইসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের সংসারে জন্ম নিয়ে সংসারের হাল টানছেন মেয়ে রিনা রানী। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে প্রতিদিন শ্রম দিচ্ছেন অন্ধ বাবার সাথে। বাড়িতে মায়ের সাথে মাটির জিনিস তৈরির পর  হাট-বাজার কিংবা গ্রাম-গঞ্জে ভাঙা সাইকেল যুগে অন্ধ বাবাকে নিয়ে ছুটেন রিনা।

বিক্রি সামান্য আয়ে নিত্যপূর্ণ ক্রয়ে বাড়ি ফেরা এখন তাদের নিত্যদিনের গল্প। বলছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর বালুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সুবেশ চন্দ্র পালের পরিবারের কথা। রিনা রানী ছাড়াও দুই ছেলে রয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুবেশের সংসারে। লক্ষ্মী চন্দ্র (১৪) ও প্রহ্লাদ চন্দ্র (১৭)। পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় তারা অন্যের দোকানে কাজ করে।

কয়েক দিন আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা সুবেশ চন্দ্র পালকে সঙ্গে নিয়ে বাইসাইকেলে করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে লাহিড়ী বাজারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন বারো বছর বয়সী রিনা রানী। আর সাইকেলের একটি অংশ ধরে পেছন পেছন হাঁটছেন তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা।

আরও পড়ুন>> ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে ৫ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কা

তাদের এমন কষ্টের হৃদয় বিদারক দৃশ্য চোখে পড়ে পার্শ্ববর্তী পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সসদ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ভাষা সৈনিক এ্যাডভোকেট মরহুম মুহম্মদ দরিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপের। পরে তিনি পরিবারটির বাড়িতে খোঁজখবর নেন। বাস্তবতা বিবেচনায় একটি গবাদিপশু (গরু) প্রদানের আশ্বস্ত করেন। বাস্তবায়নে শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে গরুটি তুলে দেন ওই পরিবাটির হাতে। তবে হঠাৎ এমন উপহার পেয়ে অনেকটা খুশি অসহায় সুবাসের পরিবার ওই স্থানীয়রা।

মুনছুর আলী নামে এক শিক্ষক বলেন, জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর ও ভাষা সৈনিক দবিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপকে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু জানি ওনার মতো হৃদয়বান মানুষ যদি এ এলাকায় আরো দশটা থাকতো। তাহলে এই এলাকায় এতো অসহায় মানুষ থাকতো না। আরো উন্নত হতো। তিনি এ পর্যন্ত বহু পরিবারকে সাহায্য করেছে। আজ অন্ধ পরিবারটির পাশে এসে দাড়ালেন।

প্রতিবেশীরা জানান, রিনার বয়স যখন সাত বছর তখন থেকে তার বাবা তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষা করতেন। একটি লাঠি নিয়ে রিনা সামনে হাঁটত, তার বাবা সেই লাঠি ধরে পেছনে হাঁটতেন। মেয়েটার বয়স ১১-১২ বছর হওয়ার পর বিভিন্ন লোকজন নানা কথা বলা শুরু করে। এরপর মেয়েটা আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে মায়ের তৈরি করা মাটির জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি শুরু করে। এভাবেই কোনোমতে তাদের সংসার চলছে। ফিলিপ দাদার অসংখ্য ধন্যবাদ যে অন্ধ পরিবারটি পাশে এসে দাড়ালো।

সুবেশ চন্দ্র পাল জানান, আমি অন্ধ মানুষ। মেয়ের সাহায্যে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করি। যে দুইটা বেটা (ছেলে) আছে একটা প্রতিবন্ধী আরেকটা সবল। মানুষের দোকানত কাজ করে। এলাও মাঝে-মধ্যে মাটির হাড়ি-পাতিল বিক্রি না হলে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করিবা যাছু। কাজ তো করিবা পারুনা। হামার কথা শুনেহেনে ফিলিপ দাদা আইচ্চে দেখিবা। একটা গরু দিলে আর কোন সমস্যা হলে ফিলিপ দাদা কহিবা কহিচে।

রিনা রানী জানায়, সমাজের আর দশটা মেয়ের মতো তারও আমারো ইচ্ছে হয় স্কুলে যাওয়ার, পড়াশোনা করে মানুষ হওয়ার। কিন্তু বাবা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশে একটি স্কুলে ভর্তি হলেও তৃতীয় শ্রেণি থেকে পড়ালেখা বাদ দেয়। এখন বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি এবং বাড়ির যাবতীয় খরচ করতে দিন কেটে যায়। আমার বয়সী ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে যায়, মাঠে ঘাটে খেলা করে তখন তাদের দেখে আমার খুবই কস্ট হয়। কান্না পায়। আমারো  সহপাঠীদের সাথে স্কুলে যেতে মন চায়। কিন্তু কপাল খারাপ গোটা সংসারটা আমার উপর পড়েছে।

রিনা আরো বলেন, বাবার সাথে হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে মাটির জিনিস বিক্রি করি। বেচাকেনা যা হয় তা দিয়েই চলে সংসার। সেদিন ফিলিপ কাকা আসছিলেন আমাদের খোঁজখবর নিতে। বললেন কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিবে। সত্যি সত্যি একটা আমাদের গরু দিলেন। এই কস্টের দিনে ফিলিপ কাকার উপকারের কথা কোন ভুলবো না।

এ বিষয়ে মো: আহসান উল্লাহ ফিলিপ বলেন, সুবেশ পাল তার কিশোরী মেয়ে নিয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছিলো এমন দৃশ্য দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি পরিবারটি খোঁজ নিয়ে জানি তারা খুবই অসহায়। বাস্তাবতা বিবেচনায় আমি তাদের একটি গরু কিনে দেয়। বিত্তবানদের উচিৎ এমন অসহায় পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়ানো। আমি দেশবাসীর কাছে আহব্বান করব তারা যেন অসহায়দের পাশে এসে দাড়ায়।


আরও খবর



শাকিব খানকে নিয়ে বোমা ফাটালেন কলকাতার প্রযোজক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সেই সুবাদে এখন পর্যন্ত তার সমপর্যায় পৌঁছাতে পারেনি কেউ। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে তার অভিনীত সিনেমা মানেই দর্শকমহলে অন্যরকম আলোচনা ও প্রশংসার জোয়ার।

গত বছর প্রিয়তমা সিনেমা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেন শাকিব খান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিগ বাজেটের রাজকুমার সিনেমা। ইতোমধ্যে এর একটি পোস্টারও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা করছেন নেটিজেনরা।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে কলকাতার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও নাম লিখিয়েছেন শাকিব খান। শ্রাবন্তী, শুভশ্রীসহ বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। ওপার বাংলার ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের কাছে বেশ পরিচিত এক নাম। কিন্তু সেই নায়কই নাকি অভিনয় পারেন না? তাকে নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন টালিউড প্রযোজক রানা সরকার।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এক অডিও বার্তায় শাকিব খান প্রসঙ্গে প্রযোজক রানা সরকার বলেন, শাকিব জনপ্রিয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে তার সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা নেই। একজন সুপারস্টারের সিনেমা যেমন চলা উচিত যেমন জিৎ, দেব সোহমসে রকম করে চলে না। শাকিব হয়তো অনেক জনপ্রিয়, কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে অন্য যারা ভালো করছেন, তাদের তুলনায় কিন্তু অতটা ভালো নয়।

এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় সে কাজ করলেও হলগুলো কিন্তু তার সিনেমায় খুব একটা আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য রানা সরকারের। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, শাকিবের সিনেমা হলে তো চলেই না, বাংলার কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলও সেরকম দাম দেয় না তাকে, যে দামটা জিৎ, দেবের মতো নায়কদের রয়েছে।

শাকিব সুপারস্টার ঠিকই, তবে তিনি যদি অভিনয়ে আরও মনোযোগ দিতেন, তাহলে বেশ ভালো হতো বলে মনে করেন টালিউড প্রযোজক রানা সরকার।


আরও খবর



নয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৯ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পবিত্র শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকমল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ সংক্রান্ত যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পূর্বের ন্যায় যথারীতি সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল মোট ৯ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সিরাজগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে কর্মমুখর তাঁতপল্লী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লীগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁত শ্রমিকরা। অন্যান্য সময় কিছুটা মন্দাভাব থাকলেও এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন রং এবং সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ পাচ্ছেন না তারা।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাউইতরা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে  জামদানি, সামার, জলছাপ, কাতান তৈরি করছেন তাঁতীরা। এই সব শাড়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিনই খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় করছেন তাঁত কাঁরখানাগুলোতে।

তাঁত ব্যবসায়ি আব্দুল গফুর জানান, বছরের অন্য সময় তেমন কাজ না থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে আমাদের কাজ অনেক বেড়ে গেছে। এবার অর্ডারও বেশি কাজও বেশি।

তাঁত শ্রমিক মোতালেব হোসেনসহ আরো কয়েকজন শ্রমিক জানান, কয়েকদিন হল আমাদের কাজ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছে। আশা করছি এবার আমাদের কাজে বেশ লাভবান হতে পারবো। আমরা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

বেলকুচি উপজেলা হস্ত ও পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ রায় জানান, এবার আমাদের ঈদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। তবে রং ও সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। তারপরও আমরা আশাবাদী এবার ঈদে ভালো ব্যবসা হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁতশিল্পের উপর ১৪ হাজার ৮৭০ টি পরিবার নির্ভরশীল।


আরও খবর



দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট (ইডি)। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডির ১২ সদস্যের একটি দল তল্লাশির ওয়ারেন্ট নিয়ে আম আদমি পার্টি প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসায় যায়। গ্রেফতারের আগে সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলাটি তারা মানিলন্ডারিংয়ের দিক থেকে তদন্ত করছিল।

ইডির দল বাসায় ঢুকে কেজরিওয়াল ও তার স্ত্রীর ফোন নিয়ে নেয়। এছাড়া দুটি ট্যাবলেট ও একটি ল্যাপটপ থেকে তথ্য স্থানান্তর করে।

ইডির দল যখন তাকে বাসায় জিজ্ঞাসাবাদ করছিল তখন বাইরে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন ছিল। এসময় সেখানে দলের অনেক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করতে থাকেন।

এ সময় দিল্লির মন্ত্রী অতিশি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ইডি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। দুই বছর আগে থেকে তদন্ত শুরু হলেও ১০ হাজার বার তল্লাশি চালিয়েও দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের কাছ থেকে ইডি বা সিবিআই এক রুপিও উদ্ধার করতে পারেনি।

কেজরিওয়ালকে নির্দোষ দাবি করে অতিশি বলেন, তাদের লড়াই চলবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। আজ রাতেই এই মামলার শুনানির জন্য আমাদের আইনজীবী কোর্টে যাবেন।

স্বাধীন ভারতে কেজরিওয়ালই প্রথম যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হলেন। তবে গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের মুকসুদপরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাগলছিরা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল।

তিনি বলেন, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা লুবানা পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি পথে উপজেলার ছাগলছিরা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।


আরও খবর