লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে
ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যিনি সিল মেরেছেন, তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে
তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্র
শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী
নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে এক প্রশ্নের
জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনার
আনিছুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন পিংকু। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে
পিংকুকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৯ নভেম্বর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫৭
সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে
সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে
তাকে সিল মারতে দেখা যায়। তাকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য এক
ব্যক্তি।
আজাদ প্রসঙ্গে পিংকু বলেন, আজাদ ছাত্রলীগের
কেউ নয়, সে শিবিরের লোক। এর আগে বিতর্কিত কাজ করেছেন যে কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শিবির করার অভিযোগেই তাকে এর আগে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিতর্কিত করার জন্য
আজাদ টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এসব কাজ করা
হয়েছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের
মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৬ নভেম্বর)
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এই নির্দেশনা দেয় ইসি।