আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

অল্পের জন্য কোহলির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি বাবর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি পরপর দুই ম্যাচ জিতেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। তবে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা দাপুটে জয় দিয়েই শুরু করেছে বাবর আজমের দল। এদিন বাবর আরেকটি মাইলফলকে প্রবেশ করেছেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার রান এখন ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে অল্পের জন্য তিনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ব্যাটার বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি।

রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ফখর জামান। তার নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর অর্ধশতক করেছেন ওপেনার ইমামুল হক। এছাড়া অধিনায়ক বাবর আজম আউট হয়েছেন ফিফটি থেকে এক রান দূরত্বে থেকে। ৪২ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

আরও পড়ুন<< দলের অন্যতম সেরা তারকাকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ

তবে ফিফটি না পেলেও এদিন ১২ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন বাবর। তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে এই মাইলফলকে পৌঁছাতে বাবরের লেগেছে ২৭৭ ইনিংস। এশিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। বাবরের চেয়ে এক ইনিংস কম খেলে (২৭৬) এশিয়ান রেকর্ডটা সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির।

সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ভিভ রিচার্ডসের। তিনি ২৫৫ ইনিংস খেলে ১২ হাজার রানে পৌঁছেছিলেন। ক্যারিবীয় গ্রেটের পরের তিন অবস্থানে আছেন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা (২৬৪ ইনিংস), অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ (২৬৯ ইনিংস) ও ইংল্যান্ডের জো রুট (২৭৫ ইনিংস)। এ তালিকায় হালের ক্রিকেটের যে পাঁচজন ব্যাটারকে নিয়ে মাতামাতি, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন বাদে বাকি সবাই আছেন (কোহলি, রুট, স্মিথ ও বাবর) প্রথম দিকে।

আরও পড়ুন: ফখরের সেঞ্চুরিতে ৫০০তম জয় পাকিস্তানের

তিন সংস্করণে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর ৪৭ টেস্টে ৮৫ ইনিংসে করেছেন ৩৬৯৬ রান। ৯৬ ওয়ানডের ৯৪ ইনিংসে করেছেন ৪৮৬২ রান ও ১০৪ টি-টোয়েন্টির ৯৮ ইনিংসে করেছেন ৩৪৮৫ রান। বাবর অবশ্য অন্য দুটি রেকর্ড পুরোপুরি নিজের করে রেখেছেন। এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার ও ১১ হাজার আন্তর্জাতিক রানের রেকর্ডটা তার দখলে। ১২ হাজারি ক্লাবে প্রবেশের পথে সবমিলিয়ে ২৯টি সেঞ্চুরি করেছেন এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। এর মধ্যে টেস্টে ৯টি, ওয়ানডেতে ১৭টি এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি।


আরও খবর



যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



চবির অধিভুক্ত হলো আরও চারটি কলেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের আরও চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে চবি অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯টি। রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নয়টি (পুরাতন পাঁচটিসহ) কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায়, উক্ত অনুশাসন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নতুন চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  হলো- সরকারি সিটি কলেজ, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও পটিয়া সরকারি কলেজ।

এর আগে চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর



মালদ্বীপ নির্বাচন: ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) বিশাল জয় পেয়েছে, প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে। দেশটির ৯৩ আসনের পার্লামেন্টে পিএনসির প্রার্থীরা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।

নির্বাচনের এই ফল ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিকে দীর্ঘ দিনের মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে চীনের আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালদ্বীপের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর চীনমুখি নীতির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়েছে।

মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন পার্লামেন্টের যে ৮৬টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে তার মধ্যে পিএনসির প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৬টি আসন। পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এ অবস্থান যথেষ্ট।

ফলাফলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর মে মাসের প্রথম দিক থেকে নতুন পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে।

এই নির্বাচনে মোট ৪১ জন নারী প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই মুইজ্জুর দল পিএনসির বলে জানিয়েছে স্থানীয় মিহারু সংবাদপত্র।

গত বছর নির্বাচনে জয়ী হয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন মুইজ্জু। তিনি নির্বাচনি প্রচার শুরুই করেছিলেন তার দেশের দীর্ঘদিনের ভারত-প্রথম’ নীতির অবসান ঘটনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথা ভেঙে প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে দিল্লি না গিয়ে বেইজিং যান। যেখান থেকে ফিরে তিনি মালদ্বীপে অবস্থান করা ভারতীয় সব সেনাদের দ্রুত সে দেশ ত্যাগ করতে বলেন। চলতি মাসেই দেশটিতে থাকা ৮৯ জন ভারতীয় সেনা নিজ দেশে ফিরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



অপহৃত দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার সেই দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।

এর আগে সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দুই প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠায় গত রোববার তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ দেলোয়ার হোসেনকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

লুৎফুল হাবিব রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সিংড়ার সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে তার ভাইসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে একই এলাকা থেকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছু পরে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রার্থী দেলোয়ারকে গ্রামের বাড়ির (সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে যায় মাইক্রোবাসটি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই দিন রাতে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন।

অপহরণের ওই ঘটনায় লুৎফুল হাবীবকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর