পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে নানা আবর্জনা ও পলিথিনে। সড়কে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আবার বৃষ্টি বন্ধ হলে কাদায় একাকার হয়ে যায় আশপাশ। এ সময় হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে। রোদে শুকানো ছাড়া পানি সরার কোনো উপায়ও নেই। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পথচারীদের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে। বলছিলাম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজারের কথা।
সরজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি আর কাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য দেওয়া নালাগুলো আবর্জনায় ভরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে চান না বাজারে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে বাজারের ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া সড়ক ও ফুটপাতে ভাসমান দোকান বসানোর কারণে এ ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাতরী চৌমুহনী বাজারের পানি নিষ্কাশন ও উন্নয়নের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৬০ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এ প্রকল্পের অধীনে বাজারের পানি নিষ্কাশনে নালা তৈরির কাজে ২০ লাখ এবং ফুটপাত ও গোল চত্বর তৈরিতে ব্যয় হয় ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু টানেল নির্মাণকাজে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এসব ড্রেন ভেঙে বাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এখানে। ভারী বর্ষায় এখানে চলাচলে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ব্যবসায়ীরা পড়েন ক্ষতির মুখে।
জানতে চাইলে চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, বাজারের নালাগুলো কয়েকবার পরিষ্কার করা হলেও ব্যবসায়ীরা আবর্জনা ফেলার কারণে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের আরও সচেতন হতে হবে। আর সড়ক ও ফুটপাতে ভাসমান দোকানের কারণেও হাঁটার জন্য সড়কে চলে আসেন মানুষ।