আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঐতিহ্য ও সাফল্যের ১১৭ বছরে হামদর্দ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১ আগস্ট, এই উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হামদর্দ এর ১১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১১৬ বছর পেরিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় ধন্য প্রতিষ্ঠানটি পা রাখলো ১১৭ তে। ১৯০৬ সালে ভারতের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিৎসাবিজ্ঞানী হাফেজ হাকীম আবদুল মজিদ দিল্লীতে হামদর্দের যাত্রা শুরু করেন। উপমহাদেশের মানুষের রোগমুক্তিতে স্বদেশীয় ভেষজ চিকিৎসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন তিনিই। হামদর্দ পরিবার প্রতিষ্ঠার্ষিকীর এই শুভক্ষণে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে পরম শ্রদ্ধেয় হাফেজ হাকীম আবদুল মজিদ, তার সম্মানিত স্ত্রী রাবেয়া মজিদ, দুই সন্তান প্রখ্যাত ইউনানী চিকিৎসাবিজ্ঞানী হাকীম আবদুল হামিদ এবং শহীদ হাকীম মোহাম্মদ সাঈদকে। পাশাপাশি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাও করছে।

এক শুভেচ্ছা বাণীতে হামদর্দ বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর দেশ গড়ার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা মাত্র ৫০ হাজার টাকার পুঁজি এবং প্রায় ছয় গুণ দায় দেনা নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হামদর্দকে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলাম। সেই সময় হামদর্দের কাজ করার জন্য বাহন ছিল মাত্র একটি সাইকেল। এই কন্টকাকীর্ণ অভিযাত্রায় সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা রেখে বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় সবসময় আমরা ন্যায়ের পথে, মানবতার পক্ষে প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সময়ের পালাক্রমে হামদর্দ আজ পরিণত হয়েছে মহীরুহে। স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি হামদর্দ গড়ে তুলেছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু প্রতিষ্ঠান।

হাম অর্থ ব্যথা আর দর্দ অর্থ সাথী অর্থাৎ হামদর্দ ব্যথার সাথী হয়ে মানুষের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও আপনাদের ভালোবাসা, পরামর্শ এবং সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করছি।

৫০ বছরে হামদর্দ বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন:

১৯৭২ থেকে ১৯৮১...প্রথম দশ বছর

১৯৭১ সাল। ৭ই মার্চ মুক্তির লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, মা বোনের সম্ভ্রম আর শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা ।

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে হামদর্দ একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও রুগ্ন প্রতিষ্ঠান হিসিবে চিহ্নিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে ৭ জন মোতাওয়াল্লী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হামদর্দকে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে না পারায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় । ১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্র করে হামদর্দ বাংলাদেশকে লেঅফ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতে বাধা দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। ১৯৭৭ সালে মোতাওয়াল্লী হিসেবে নিয়োগ পান তৎকালীন সিনিয়র কর্মকর্তা নুরুল আফসার। কিন্তু তিনি না কারণে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারেন নি। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া সবার মধ্যে সাহস সঞ্চার করে বলেন, আল্লাহর রহমত এবং আমাদের প্রচেষ্টায় হামদর্দ ঘুরে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ। এ সময় তিনি নেপথ্যে থেকে দৃঢ়ভাবে হাল ধরেন।

১৯৮২-১৯৯১ দ্বিতীয় দশ বছর...

১৯৮২ সালে হামদর্দ বাংলাদেশের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন এবং ছয়গুন ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠান। এত অল্প মূলধন নিয়ে হামদর্দের অগ্রযাত্রার এ তথ্যটি ওয়াক্ফ প্রশাসনে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ড্রাগ পলিসিতে হার্বাল চিকিৎসাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অন্তর্ভূক্ত করতে উদ্যোগী হন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। এ স্বীকৃতির কারণে সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ পাচ্ছে ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ওষুধ শিল্পের। এর ফলে তৈরি হয়েছে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারী।

১৯৮৩ সাল থেকে বিশ্বের মুসলমানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বিশ্ব ইজতেমায় হামদর্দ মেডিকেল ক্যাম্প করে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করে। যা আজও অব্যাহত আছে। এর ফলে ইজতেমায় আগত বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

১৯৮৪ সালে হামদর্দ কারখানায় হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তিনি জীবনের বিনিময়ে হামদর্দকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ নেন। ফলে কর্মীরা নতুন্য উদ্যমে কাজ করার সাহস ও অনুপ্রেরণা পায়।

১৯৮৬ সাল। তখন একজন মোতাওয়াল্লীই নিয়ন্ত্রণ করতেন সবকিছু। কিন্তু ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ক্ষমতার বিভাজন করতে এবং সবার পরামর্শ নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে হামদর্দকে পরিচালনা করতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় অব্যাহত আছে ট্রাস্টি বোর্ডের মতামত নিয়েহোমদর্দ পরিচালনার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের রীতি।

১৯৮৮ সালে প্রলয়ংকরী বন্যায় হামদর্দ মাহামান্য রাষ্ট্রপতির তহবিলে অর্থ প্রদানসহ দুর্গত মানুষকে সহযোগিতায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। ঠিক একইভাবে ১৯৯১ সালেও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস পরবর্তি ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে হামদর্দ। ১৯৯০ সালে উত্তরা লের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় হামদর্দ ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

১৯৯২-২০০১...তৃতীয় দশ বছর...

মানবকল্যাণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করায় শিল্পাচার্য পদক ৯৫, স্বাধীনতা পদক ৯৭, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা পদক ১০৯৭, ইরাক সরকার কর্তৃক বেস্ট হারবাল এ্যাওয়ার্ড ৯৯, রোকেয়া পদক ২০০০, সাংবাদিক সানাউল্লাহ নূরী পদক ২০০১ অর্জন করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং হামদর্দ পরিবার। ১৯৯৪ সাল। ঢাকার অদূরে ছায়াসুনিবিড় সোনারগাঁওয়ে আধুনিক কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হামদর্দের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বপ্নপুরুষ মরহুম হাফেজ আবদুল মজিদের সুযোগ কনিষ্ট পুত্র শহীদ হাকীম মো. সাঈদ। এরপর বিপুল কর্মদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে হামদর্দ। ১৯৯৭ সালে নোয়াখালীতে এইচ এ জনকল্যাণ আলিম মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১৯৯৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফান্ডে অনুদান প্রদান করে হামদর্দ।

২০০২-২০১১...চতুর্থ দশ বছর...

২০০৪ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার একক প্রচেষ্টায় ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হার্বাল ওষুধ শিল্প থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে সরকার। এই খাতের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভ্যাট না থাকায় এই শিল্প খাত ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠে। প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন অনেক শিল্প কারখানা। বাড়ে কর্মসংস্থান এবং ওষুধের বাজার। এখন সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও ইউনানী আয়ুর্বেদিক হারবাল খাতে বিনিয়োগ করে সফল হচ্ছে কেবল ভ্যাট না থাকার কারণে।

হাকীম মো. সাঈদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০০৮ সালে শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জন্য জমি ক্রয় করেন এবং মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হাকীম মো. সাঈদের সুযোগ্য কন্যা সাদিয়া রশিদ। শহীদ হাকীম মো. সাঈদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একই বছর নামে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় হাকীম সাঈদ ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ।

ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া মনে করেন, সমাজকে বদলে দেওয়ার জন্য শুধু শিক্ষিত নয় পাশাপাশি সৎ মানুষও খুব জরুরি। এই অসাধারণ লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ সালে তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় হামদর্দ পাবলিক কলেজ। যা এখন স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিবছর সফলতার সঙ্গে শতভাগ উত্তীর্ণ হয় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থী কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বুয়েট, মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে কর্মজীবনে দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন কর্তৃক পিএইচডি ডিগ্রী প্রাপ্ত হন আধুনিক হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং তৎকালীন পরিচালক বিপণন মো. রফিকুল ইসলাম ।

২০১২-২০২১... পঞ্চম দশ বছর...

২০১২ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠা করেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাত থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। একই সালে হামদর্দ প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয় বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন। যে কর্নারে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুর্লভ গ্রন্থের সমাহার। ২০২০ সালে কতিপয় দুর্বৃত্তের দুদকে দায়ের করা অভিযোগ থেকে খালাস পান ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং দুদক তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট প্রদান করে।

২০২১ সালে এ্যালোপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক এই তিন পদ্ধতির সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এম.পি।

গৌরবান্বিত ২০২২

মানবকল্যাণে আরো ভূমিকা রাখতে হামদর্দের বিপণন কার্যক্রমের গতি বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ বছর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধুনিক কারখানায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় বড় পরিসরে আয়ুর্বেদিক ডিভিশনের আধুনিক কারখানার। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় লক্ষ্মীপুরে রওশন জাহান ইউনানী মেডিকেল কলেজ চত্বরে সমন্বিত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাতার। ভারতের স্বাস্থ্য বিষয়ক আয়ুশ মন্ত্রণালয় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ইউনানী চেয়ার হিসেবে পাঠান প্রখ্যাত ইউনানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমীকে। ক্যাম্পাসে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উদ্যাপন করা হয় ইয়োগা ডে। এ বছরই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পান ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।

এভাবে বর্ণাঢ্য কর্মতৎপরতা এবং মানুষের কল্যাণে নির্ঘুম কাজ করতে বাতিঘর ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ছুটে চলছে হামদর্দ বাংলাদেশ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও মানবকল্যাণে সাধারণ মানুষের জন্য সুদিন আনতে অব্যাহতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে হামদর্দ বাংলাদেশ।


আরও খবর



মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের লাগবে অনুমতি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিষয়ক অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়েছে আজ শনিবার (৪ মে) থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সৌদির বাসিন্দাদেরও অনুমতি লাগবে। হজ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে। হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও হজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

যাদের কাছে যথাযথ অনুমতি থাকবে না যারমধ্যে রয়েছে পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের অনুমতি, মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা, ওমরাহ ও হজের বৈধ অনুমতি তাদের মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

গত সপ্তাহে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক অ্যাপ কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দেয়। যা ২০২৪ সালের হজ পক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এটি ডিজিটাল এবং সাধারণ উভয় ফরমেটে পাওয়া যাবে। এই কার্ডের মাধ্যমে হজের প্রক্রিয়া খুবই সহজে করা যাবে। এতে করে অনুমতি ছাড়া হজ করার প্রবণতা কমে আসবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

হজ যাত্রীরা তাদের হজ মিশন অথবা যাদের মাধ্যমে হজ করতে আসবেন তাদের কাছে কার্ডটি পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল ফরমেটটি পাওয়া যাবে নুসুক এবং তাওয়াকলানা অ্যাপে।

এটির মাধ্যমে সহজে সব ধরনের সেবা পাবেন হজ যাত্রীরা। এমনকি যাদের মাধ্যমে তারা হজ করতে আসবেন তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এটির মাধ্যমে অভিযোগও জানানো যাবে।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর
পুলিৎজার পেল ৩ গণমাধ্যম

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, ডুবলো সংযুক্ত আরব আমিরাত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দেশটিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৪৯ সালের পর থেকে দেশটি কখনোই আর এতো বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেনি।

প্লাবিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেক এলাকা। তলিয়ে গেছে দুবাইয়ের প্রধান সড়কগুলো। এমনকি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু অংশও পানির নীচে চলে যায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আল শাকলা এলাকায়। আল আইনের ওই অঞ্চলটিতে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে একক অঞ্চল হিসেবে শুয়াইব স্টেশনে ২৮৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিলো। এই অবস্থায় বিপর্যয় এড়াতে পরিবারের সব সদস্যদের একসাথে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সামনে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে আমিরাতের আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, আবহাওয়ার রেকর্ড লিপিবদ্ধ করার পর থেকেই এ পর্যন্ত এবারই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।

এমন বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেড়েছে। সেই সাথে দেশটির মাটির অভ্যন্তরের পানির রিজার্ভের পরিমাণও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর
পুলিৎজার পেল ৩ গণমাধ্যম

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।

এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের একপেশে ভূমিকার জন্য এর আগেও জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিদ্যমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বিএনপি ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারে হামলা এবং শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

এর আগে সোমবার দুপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে একই মনোভাবেব কথা জানিয়েছিলেন রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় ‍নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর