কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদক অভিযান চালিয়ে অফিস সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নিকে আটক করেছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুদকের অভিযান চলে। এ সময় জব্দ করা হয় ঘুষের ৩ লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাকারিয়া। মুন্নি কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব মজমপুর এলাকার শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী।
দৌলতপুরের এই কার্যালয়টিতে নানা দুর্নীতির প্রকাশ্য খবর পুরোনো দিনের। কার্যালয়টিতে নিয়মিতভাবে দলিলপ্রতি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। সিন্ডিকেটের অন্যদের বিষয়েও তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের টিম তল্লাশি করে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নির ড্রয়ার থেকে ৩ লাখ এক হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করেছে। মুন্নি উক্ত টাকার উৎস সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকৃত অব্যাখ্যায়িত টাকা ঘুষের অর্থ বলে প্রতীয়মান হয়। এ ব্যাপারে দুদক মামলার সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান থাকায় মুন্নিকে দৌলতপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়া দুদকের
সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময়
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
সমন্বিত
জেলা দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, কিছুদিন ধরেই ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ
ছিল দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল সেখানে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের
ক্ষেত্রে দলিল থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয়। বিষয়টি দুদক সদর দপ্তরকে অবহিতপূর্বক
অভিযানের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযান চালান হয়। এ সময় অফিস সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নিকে
ঘুষ হিসেবে গৃহীত টাকাসহ হাতে নাতে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে সাব রেজিস্ট্রার
সুব্রত কুমার সিংহের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।