আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অচিরেই ভবদহ এলাকার ভুক্তভোগিদের দুঃখ লাঘব হবে : স্বপন ভট্টাচার্য্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন, অচিরেই ভবদহ এলাকার ভুক্তভোগিদের দুঃখ লাঘব হবে। এ অঞ্চলের মানুষ শিঘ্রই জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পাবে। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানা উদ্যোগে গ্রহণ করেছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে ভবদহ স্লুইসগেট সংলগ্ন জলাবদ্ধতা নিরাসন সেচ প্রকল্প সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভবদহ পানি নিস্কাশন আন্দোলন কমিটি সভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারাজী এনামুল হক বাবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা দুরীকরণে সেচ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে জলাবদ্ধতা নিস্কাশন হলে এ অঞ্চলের মানুষ চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ করতে পারবে। এতে উপজেলার ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএডিসির পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) আরিফুর রহমান, যশোরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল রশিদ ও যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মশিয়ূর রহমান, নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজমুস সাদত, অভয়নগর পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণুপদ দত্ত, প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র রায় কপিল, নেহালপুর সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, অধ্যক্ষ সরদার মোতালেব হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান সানা, রুহুল আমিন, হাফিজুর রহমান, কালিপদ মন্ডল, ডাঃ আতিয়ার রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, প্রভাষক হাসান আলী সরদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ।



আরও খবর



ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে মৌসুমী মৌ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ খবর তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

ফেসবুকে মৌ লিখেছেন, ফুসফুসে ইনফেকশনের কারণে (গতকাল শুক্রবার) বিপিএল ২০২৪ এর ফাইনাল ম্যাচের পোস্ট শো ক্যানসেল করতে হলো।

এরপর তিনি লিখেছেন, জীবন মানুষকে কখন কোথায় এনে দাঁড় করায় কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু হতাশ হলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে দুর্বার গতিতে। ফরচুন বরিশালকে অভিনন্দন বিপিএল ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়।

সবশেষে মৌসুমী মৌ লিখেছেন, এবারের বিপিএলে বহুবার আমি ফরচুন বরিশালের ম্যাচ শেষে বলেছি আনফরচুনেটলি হেরে গেছে ফরচুন বরিশাল। শেষপর্যন্ত জয়টা কিন্তু তাদেরই হলো। জীবনও এমনই পুরোটা গেম। কেউ জিতে কেউ হারে!

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বিয়ে করেছেন মৌসুমী মৌ। সামাজিক মাধ্যমে সে খবর নিজেই জানিয়েছিলেন। এবার জানালেন অসুস্থতার খবর। গত এক দশক ধরে উপস্থাপনায় জনপ্রিয় মুখ মৌসুমী মৌ। উপস্থাপনার সঙ্গে অভিনেত্রী হিসেবে ২০ টিরও বেশি নাটকে কাজ করেছেন তিনি। তাঁকে দেখা গেছে ওয়েব ফিল্মেও।


আরও খবর



ক্যালেন্ডারের উপহার : ৩৬৬ দিনের ২৯ ফেব্রুয়ারি আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চার বছর পর আবার ২০২৪ সালটি ৩৬৬ দিনের। প্রতি চার বছর পর ক্যালেন্ডার একটি বাড়তি দিন উপহার দেয়। সব সময় যেখানে ২৮ দিনে ফেব্রুয়ারি মাস হয়, সেখানে ৩৬৫ দিনে হয় বছর। কিন্তু চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসটি হয়ে যায় ২৯ দিনে। এই ঘটনাকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার বলা হয়। ২০২৪ এমন একটি লিপ ইয়ার অর্থাৎ অতিরিক্ত এক দিনের বছর।

সহজভাবে বলতে গেলে, প্রতি চার বছরে একটি অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার পাওয়া যায়। ২০২০ একটি অধিবর্ষ ছিল এবং ২০২৪-এর পরে, ২০২৮ একটি অধিবর্ষ হিসাবে বিবেচিত হবে। এ বছর ফেব্রুয়ারির ক্যালেন্ডারে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ হয়েছে। অর্থাৎ বছরটি ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৬৬ দিনের।

বাংলা, হিজরি ক্যালেন্ডার আমাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সারা বছর সব দাপ্তরিক ও সাধারণ জীবনযাপনে ইংরেজি বর্ষের ক্যালেন্ডারই বহুল ব্যবহৃত। আসলে এই ইংরেজি ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত, যেখানে ৩৬৫ দিনে এক বছর হিসাব করা হয়।

বৈজ্ঞানিক হিসাব মতে, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ৩৬৫ দশমিক ২৫ দিন সময় লাগে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, একটি সৌর ক্যালেন্ডারের এক বছরে পৃথিবী সূর্যের চারপাশের বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ড।

একটি সাধারণ বছর এভাবেই ৩৬৫ দিনে শেষ হয়। অতিরিক্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা চার বছরে ২৪ ঘণ্টা হয়। এই ২৪ ঘণ্টা হলো পৃথিবীর একবার নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরার সময়। সেই হিসাবে অতিরিক্ত সময় বা ২৪ ঘণ্টা চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত দিন হিসেবে যুক্ত হয়। এটি করা না হলে ফসলের চক্র এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ধীরে ধীরে বদলে যাবে।

জানা যায়, রোমান ক্যালেন্ডারে ৩৫৫ দিন ছিল (যা সৌর বছরের চেয়ে ছোট ছিল)। সময় ও ঋতুগুলোর সঙ্গে এই ক্যালেন্ডারের অসামঞ্জস্য ছিল। তাই, রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার জুলিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন, যা একটি সৌর ক্যালেন্ডার এবং মিশরীয় ক্যালেন্ডার দ্বারা অনুপ্রাণিত। এতে একটি লিপ ইয়ার রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, ১৫৮২ সালে, যখন জুলিয়ান ক্যালেন্ডারকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে পরিমার্জিত করা হয়, তখন ফেব্রুয়ারিতে একটি লিপ ডে যোগ করার ঐতিহ্য বজায় ছিল।

লোকমুখে প্রচলন আছে, জুলিয়াস সিজার রোমের ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত ৩৫৫ দিনে বছর, এমন ক্যালেন্ডারই সবাই মেনে চলত যেখানে প্রতি দুই বছর পরপর একটা অতিরিক্ত ২২ দিনের মাস যু্ক্ত হতো। কিন্তু এটা আসলে সমস্যার একটা জটিল সমাধান ছিল এবং উৎসবের দিনগুলো ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে যেতে শুরু করে। তাই সিজার তার জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে বিষয়টি সহজ করার নির্দেশ দেন।

সোসিজেনেস তখন ৩৬৫ দিনে বছর করে যে অতিরিক্ত ছয় ঘণ্টার মতো থেকে যায়, সেটি মিলিয়ে নিতে চার বছর পরপর একটা অতিরিক্ত দিন ক্যালেন্ডারে যুক্ত করেন। আর এভাবেই ২৯শে ফেব্রুয়ারির জন্ম। যা পরবর্তীতে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি সূক্ষ্ম পরিমার্জন করেন।

নিউজ ট্যাগ: লিপ ইয়ার

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয় যেসব লক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ক্যানসারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএআরসি) জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ৪১ লাখ এবং ৮২ লাখ। এক দশক পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ কোটি ও ৯৭ লাখে।

সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে আরও সাড়ে তিন কোটি, যা ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৭৭ শতাংশ বেশি।

তবে ৭০ এর দশকের পর থেকে ক্যানসারে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার তিনগুণ বেড়েছে। মূলত সঠিক সময়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করালেই ভালো হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণা সংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা জীবনের কোন না কোন সময়ে এমন কোন উপসর্গে ভুগেছেন যেটি আসলে ক্যানসারের উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু মাত্র ২ শতাংশ মনে করেছেন যে এর কারণে তাদের ভুগতে হতে পারে এবং এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ একে কোন ধরণের পাত্তাই দেননি এবং এর ফলে চিকিৎসকের কাছেও যাননি। এমন কিছু লক্ষর সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

হুট করে ওজন কমে যাওয়া : ক্যানসার আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন সময় ওজন হারাতে শুরু করে। যখন আপনি কোন ধরনের কারণ ছাড়াই ওজন হারাতে শুরু করেন, এটাকে বলা হয় ব্যাখ্যাহীন ওজন হারানো। আর এই ব্যাখ্যাহীন ওজনহীনতা ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

জ্বর : ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। এছাড়া ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে প্রায়ই জ্বর দেখা দেয়।

ক্লান্তি : এখানে ক্লান্তি বলতে বোঝায় চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না। ক্যানসার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্যানসার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কিছু কোলন বা মলাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে তবে এটা সবক্ষেত্রে হয় না। এর কারণেও ক্যান্সারের সময় ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

ত্বকে পরিবর্তন : ত্বকের ক্যানসার ছাড়াও আরো কিছু ক্যানসার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে আপনার ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। যেমন- ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি, অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

রক্তপাত : ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া আপনার যদি মলের সাথে রক্ত বের হয়, তাহলে মলদ্বারে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

শরীরের যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া : অনেক ক্যানসার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরনের ক্যানসার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দেহে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে- এ ধরনের অনুভূতি হয়। এটা এসব ক্যানসারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।


আরও খবর



সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (৩ মার্চ) সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ রোববার সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিতব্য ৪ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন এন্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪) এ অংশগ্রহণ করবেন।

পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সেনাবাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো স্ব-স্ব স্থল বাহিনীসমূহের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্কন্নোয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যাসমূহ মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীসমূহের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

সম্মেলন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ৬ মার্চ দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।


আরও খবর



জলদস্যুর কবলে জাহাজ : জিম্মি ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী এম ভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জিম্মি জাহাজের ক্রুদের পরিচয় জানা গেছে। এদিকে, পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ।

আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজটির গন্তব্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে। ওই জাহাজের ক্রু লিস্ট থেকে জানা যায়, এম ভি আবদুল্লাহর মাস্টার বা ক্যাপ্টেন  হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রামের খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ এবং সেকেন্ড অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম।

সেই সঙ্গে থার্ড অফিসার হিসেবে রয়েছেন ফরিদপুরের ইসলাম মো. তারেকুল, ডেক ক্যাডেট হিসেবে আছেন টাঙ্গাইলের হোসাইন মো. সাব্বির।

চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রয়েছেন নওগাঁর শাহিদুজ্জামান এ এস এম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন খুলনার ইসলাম মো. তৌফিকুল, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নেত্রকোণার উদ্দিন মো. রোকন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের আহমেদ তানভীর, ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে আছেন লক্ষ্মীপুরের থান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে আছেন উল্লাহ ইব্রাহিম খলিল, এবিল সি-ম্যান (নাবিক) হিসেবে আছেন নোয়াখালীর হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল, চট্টগ্রামের রহমান মো. আসিফুর, চট্টগ্রামের হোসাইন মো. সাজ্জাদ, অর্ডিনারি সি-ম্যান (সাধারণ নাবিক) হিসেবে আছেন নাটোরের মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল, ওয়লার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের হক আইনুল, চট্টগ্রামের শামসুদ্দিন মোহাম্মদ, বরিশালের হোসাইন মো. আলী।

এছাড়া ফায়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের উদ্দিন মোহাম্মদ নূর এবং ফাইটার হিসেবে আছেন নোয়াখালীর আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ।

এদিকে, জিম্মি এক নাবিক জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নেয়া হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার উপকূল থেকে জাহাজটি ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।

জাহাজে থাকা ওই নাবিক আরও জানান, প্রায় শতাধিক সশস্ত্র জলদস্যু দ্রুতগতির ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে এম ভি আবদুল্লাহকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা জাহাজে উঠে এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি বলে জানান ওই নাবিক।

জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি নাবিকদের একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদকে দিয়ে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি বলেও জানান জিম্মি ওই নাবিক।

এ বিষয়ে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাহাজটি আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন।

ঘটনাটি জানার পর নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান ওই শীর্ষ কর্মকর্তা। তবে যোগাযোগ না করেই কীভাবে  নাবিকদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

গোল্ডেন হক নামের জাহাজটি কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশনের বহরে যুক্ত হওয়ার পরে এর নাম হয় এম ভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি ১৯০ মিটার লম্বা এই জাহাজটি গত বছর এসআর শিপিংয়ের বহরে যুক্ত হয়। এরপর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং ২০০৪ সালে তাদের প্রথম জাহাজ কেনে। এমভি ফাতেমা জাহান ছিল তাদের প্রথম জাহাজ। দেশে এখন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ৫২। এগুলোর মধ্যে ২৩টি কেএসআরএম গ্রুপের। আর এক দশকেই সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে জাহাজ পরিচালনা ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রুপটি। কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কেএসআরএম।

এদিকে, ভারত মহাসাগরে কয়েক দশক ধরে বেশ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এ কারণে এ জলপথ ব্যবহার করে পরিচালিত পণ্য পরিবহন ব্যবসা হুমকির মুখে পড়েছে। তবে জলদস্যুদের কাছে বিষয়টি যতটা না ছিনতাই, তার চেয়ে বড় ধরনের আয়ের উৎস হিসেবে বিষয়টিকে দেখছে তারা। বিভিন্ন সময় দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিকেরা এমনটাই জানিয়েছে।

এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৬ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মনি। তিন মাস পর মুক্ত হয়ে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে যায়। একটি ছোট উড়োজাহাজে করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে দেয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর তা টেলিফোনে জানান জাহাজটির ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফরিদ।


আরও খবর