আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অবসরের পরই সরকারি চাকরিজীবীদের সংসদ নির্বাচনের সুযোগ কেন নয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার প্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে রিটকারী আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনে অযোগ্যতা নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) (চ) চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেছেন।

গত বছরের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসায়ী, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর অতিবাহিত না হলে কোনো সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আইনের এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়াচর) আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল কাদের সোহেল।

রিটে বলা হয়, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর যে কোনো ব্যক্তি সাধারণ নাগরিক হয়ে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের নির্বাচন করতে সময় বেঁধে দেওয়া হলো কেন। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিব এবং সব বিভাগের কমিশনারসহ ডিসিদের বিবাদী করা হয়। রিটটি গত বছরের ১৪ আগস্ট খারিজ করে দেন হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ।


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিকম্পে নিহত ২৬, নিখোঁজ অন্তত ৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

টানা ৫ দিন ধরে চলা ব্যাপক বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে এ পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ জন। দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর বিএনপিবির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

৭ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে বর্ষণ শুরু হয়েছে পশ্চিম সুমাত্রার বিভিন্ন অঞ্চলে। বিএনবিপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টি ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার সেতু, স্কুল, অন্তত ২৮০ একর জমির ফসল এবং প্রায় ৭০০ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি ও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন অন্তত ৩৯ হাজার মানুষ। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আপাতত আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই, বর‌ং সামনের কয়েক দিন বর্ষণ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পাদাংয়ে এসেছিলেন বিএনপিবির কেন্দ্রীয় প্রধান নির্বাহী। সেখানে দপ্তরের প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে উদ্ধার এবং ত্রাণ সরবাহ বিষয়ক জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি।

দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি পশ্চিম সুমাত্রা শাখার কর্মকর্তা আবদুল মালিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় তাঁবু, কম্বল, পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ, খাবার ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পাঠানোর কাজ চলছে এবং ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেছে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৪ দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে জেলেরা সহায়তা চাইলে রাতে কোস্টগার্ড জেলেদের উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ড জানায়, পাথরঘাটা থেকে হানিফ মুন্সি নামক একটি ফিশিং বোট গত ১৫ মার্চ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। এরপরে গত ১৯ মার্চ বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া বোটের মাঝি মাসুম মৌলভি এর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড। এরপর আজ রাতে ওইসব জেলেদের জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দুবলা ও কচিখালী যৌথ অভিযানিক দল।

উদ্ধার হওয়া জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানায় কোস্ট গার্ড।


আরও খবর



আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



পাকিস্তানে আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, ৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। শনিবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মহাসচিব ওমর আইয়ুব প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

শনিবার দুপুর ২টায় মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের সময় শেষ হয়েছে বিকাল ৩টায়। রোববার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের পর ৯ মার্চ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন দুই কক্ষের নবনির্বাচত সংসদ-সদস্যরা।

পিএমএল-এন এবং তাদের মিত্ররা জাতীয় পরিষদের সচিবের কাছে আটটি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিপরীতে এসআইসি তার নামে চারটি মনোনয়নপত্র দাখিল করে। যাচাই-বাছাই শেষে উভয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দার, হানিফ আব্বাসি এবং পিপিপি নেতা খুরশিদ শাহ শাহবাজের পক্ষে নথি জমা দিয়েছেন।  ওমর আইয়ুবের মনোনয়নপত্র নিম্নকক্ষের সচিবের কাছে জমা দিয়েছে পিটিআই সমর্থক সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি)।

মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইন্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সবাই পিএমএল-এন-এর প্রার্থীকে সমর্থনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বিজয়ীকে কমপক্ষে ১৬৯ ভোট পেতে হবে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা আগামী ৯ মার্চ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হাউজ এবং ৪টি প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলিতে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে ২ মার্চের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যেগুলো ৪ মার্চ পর্যন্ত একটি সূক্ষ্ণভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।

ইসলামাবাদের সংসদ ভবন এবং ৪টি প্রাদেশিক পরিষদ এই গণতান্ত্রিক অনুশীলনের মূল ক্ষেত্র হিসাবে কাজ করবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে পশতুন-খোয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে পিপিপির ফরুক এইচ নায়েক এবং সেলিম মান্ডভিওয়ালা প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জোট সরকারের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে দলের কো-চেয়ারপারসন আসিফ জারদারির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন বিচারপতি আমির ফারুক।

এদিকে শনিবার যাচাই-বাছাই পর্বের মধ্য দিয়েই দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে পিটিআই। লাহোরে পিটিআই নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ও করেছে পুলিশ। নির্বাচনি কারচুপির বিরুদ্ধে সারা দেশে বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাকিস্তান

আরও খবর