বাংলাদেশের
সিনেমায় প্রথম কাজ করতে এসে ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’ মুখোমুখি হয়েছেন- এমনটাই দাবি করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা
বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমার নায়ক জায়েদ খান, সায়ন্তিকা ও প্রযোজক মনিরুল ইসলামের ত্রিমুখী
পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারণে ‘ছায়াবাজ’র শুটিং নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। অবশেষে জানা গেল, সিনেমাটি
থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ওপার বাংলার এই নায়িকাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এর প্রযোজক
মনিরুল ইসলাম।
তার কথায়,
‘এত সব
মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এই ছবির কাজ আর করব না। আর যদি করি তবে সায়ন্তিকাকে নিয়ে
নয়, দেশি নায়িকাকে নিয়ে কাজ করব।’
মনিরুল ইসলাম
জানান, তিনি মূলত ওয়েব সিরিজ বানাতে চেয়েছিলেন। জায়েদ খানের অনুরোধে পরিকল্পনা বদল
করেন।
তিনি বলেন, জায়েদ খানের অনুরোধেই এই ছবির কাজ শুরু করি। নইলে এটি ছবির পরিকল্পনা ছিল না আমার। জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন>> ‘দেশের কেউ ভাবেননি আমাকে নিয়ে সিনেমা বানানো যায়’
এদিকে জায়েদ
খান বলেন, ‘এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থায় ভরা ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া,
খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। এক লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল
দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার
কথা-কাজে মিল নেই।’
তবে এসব অভিযোগ
অস্বীকার করেছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, তিনি সব বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তার ভাষ্য,
‘৬ সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ঢাকা চলে এসেছি। এরপর শুনেছি, ৭ সেপ্টেম্বরও কারা
যেন ছিলেন হোটেলে। সেই টাকা তো আর আমি দেব না। কারণ, আমার শুটিং প্যাকআপ হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর।
আর জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? আমি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০
হাজার রুপি দিয়েছি। পারিশ্রমিকের মধ্যেই জায়েদ খানের ড্রেসের টাকাও ধরা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত
৩০ আগস্ট ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন টলিউড নায়িকা সায়ন্তিকা
বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে শুটিং করার। কিন্তু এর
আগেই বাঁধে হট্টগোল। নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাকে স্পর্শ করেছেন
বলে অভিযোগ করে কলকাতায় চলে যান নায়িকা।