আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

অবশেষে শান্তি চুক্তি, ইথিওপিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইথিওপিয়ার সরকার ও তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতারা অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছালো। প্রায় দুই বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছিল। সেই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় গত ২ নভেম্বর। বোমা, বুলেটের আঘাতে বহু মানুষের প্রাণ গেছে এই গৃহযুদ্ধে। তাছাড়া যুদ্ধজনিত কারণে ক্ষুধা ও রোগের কারণে আরও বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ইথিওপিয়ার সরকার ও উত্তরের একটি অঞ্চল তাইগ্রের নেতারা এই যুদ্ধে তেমন কিছুই অর্জন করেনি। এরইমধ্যে তাইগ্রে, আফার এবং আমহারার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং বহু ফসল পুড়ে যেতে দেখেছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলে জাতিগত নিধন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অসংখ্য নারী।

আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরুর এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পর সমঝোতার ঘোষণা এলো। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলো অবশেষে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদের অনুগত সেনাবাহিনী এবং তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) সমর্থনকারী বাহিনীর মধ্যে লড়াই অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানায় আফ্রিকান ইউনিয়ন। উভয়ই নিরীহ মানুষদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এই সমঝোতার ফলে তাইগ্রেতে বেসামরিক নাগরিকদের ত্রাণ দেবে টিপিএলএফ যাদের বেশিরভাগই যুদ্ধের জন্য সরকারি বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ ছিল। আগস্টে আবারও যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে কোনো ত্রাণ প্রবেশ করেনি। ফলে অনাহারে থাকা লাখ লাখ তাইগ্রিয়ান চরম দুর্ভোগে পড়ে।

দেশটির সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং সুবিধা আবারও চালু করা হবে ওই অঞ্চলে। ২০২১ সালের জুন মাস থেকে এসব সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনী ও প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার মিত্রদের কাছ থেকে বেশিরভাগ অঞ্চল দখলে নিয়েছিল টিপিএলএফ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এই শান্তি চুক্তিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি ইথিওপিয়ার লাখ লাখ বেসামরিক লোককে কিছুটা স্বস্তি দেবে।

সমঝোতা অনেক ভালো উপায়। এটি তাইগ্রে ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্কের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করলো। ফলে এই অঞ্চলের ওপর সাংবিধানিক কর্তৃত্ব দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে। ফেডারেল সরকারের সেনাদের এই অঞ্চলের রাজধানী মেকেলে প্রবেশ করতে হবে এবং বিমানবন্দর, হাইওয়েসহ অন্যান্য ফেডারেল সার্ভিসগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন অঞ্চলটি পরিচালনা করবে। বাস্তবে এর অর্থ হবে টিপিএলএফ-এর নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সরকারের বিলুপ্তি। যা ফেডারেল সরকারের আদেশ অমান্য করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত হয়েছিল। এই নির্বাচনই তিন মাস পরে দেশটিকে গৃহযুদ্ধের পথে নিয়ে যায়। যখন আবে, ফেডারেল কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে তাইগ্রের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে এই অঞ্চলের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেন। ফলে টিপিএলএফ কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

অনেক তাইগ্রিয়ান মনে করেন চুক্তিটি আত্মসমর্পণের সমান। তাইগ্রের বাইরের লোকদের মধ্যে, যারা শেষ বার ফেডারেল সৈন্যরা দখল করার সময় তাদের মাতৃভূমিতে কয়েক মাস ধরে হত্যা, ধর্ষণ ও অনাহার প্রত্যক্ষ করেছিল তারা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না। টিপিএলএফের কাছে চুক্তিটি প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করার জন্য দাবিও রয়েছে। দলটির নেতারা কঠোরভাবে দাবি করছেন যে তারা ইথিওপিয়ার সাংবিধানিক আদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সফলভাবে লড়াই করেছেন। কয়েক মাস ধরে টিপিএলএফ-এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা জোর দিয়েছিল যে তাদের বাহিনী লড়াইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে তারা পতনের দ্বারপ্রান্তে। টিপিএলএফ নেতারা যারা দাবি না মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে তাইগ্রে থেকে ইরিত্রিয়ান সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের শুরুতে প্রতিবেশী আমহারা অঞ্চল দ্বারা সংযুক্ত অঞ্চলগুলোর প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ইরিত্রিয়া স্বাক্ষরিত চুক্তিতে একটিও উল্লেখ করার অনুমতি দেয়নি।

এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকা নিয়ে সমাধান কি? কেউ কেউ মনে করেন যে সংবিধান অনুযায়ী, এটিতে গণভোট হতে পারে। এটি যে এতো ছাড় দিয়েছে তা সম্ভবত যুদ্ধক্ষেত্রে টিপিএলএফের দুর্বলতা ও অবরোধের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের কারণে। কিন্তু কেউ কেউ এখনও মনে করেন যে এটি খুব শিগগির বন্ধ হয়ে যাবে। একজন সাবেক ইথিওপিয়ান কূটনীতিক মনে করেন যে এটি অনেক ছাড় দিয়েছে, সম্ভবত আমেরিকার চাপের মধ্যে ছিল। ৩ নভেম্বর দক্ষিণ ইথিওপিয়াতে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, আবে জয় ঘোষণা করেন এবং বলেন তার পক্ষের প্রস্তাবগুলোর শতভাগ চূড়ান্ত চুক্তিতে পরিণত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন যে এই চুক্তি ইথিওপিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে বাঁচাতে এবং পুনর্গঠনের জন্য আরও দাতা গোষ্ঠী যেমন আইএমএফের প্রোগ্রাম দ্রুত পুনঃপ্রবর্তনের দিকে পরিচালিত করবে। তবুও এটি চুক্তির সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে যা এরইমধ্যে ভঙ্গুর বলে মনে হয়। যদিও এর মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধবিরতি আগেও হয়েছে। বাস্তবে আফ্রিকান ইউনিয়ন, যারা আলোচনার আয়োজন করেছিল, তাকে গ্যারান্টর হিসাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু এর চেয়ারপারসন মুসা ফাকিরের আবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

মিকিয়েলে তেকুল, একজন তাইগ্রিয়ান যিনি দেশের বাইরে রয়েছেন, বলেন আমাদের দেখতে হবে কি ঘটে। কিন্তু আমি আবে আহমেদকে বিশ্বাস করি না। যদি এই চুক্তিটি তাইগ্রের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে, তবুও ইথিওপিয়ায় অন্যান্য দ্বন্দ্ব-সংঘাত এখনও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আবে আমহারার অনেকের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, যারা বলে যে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিনিধিত্ব করেনি এবং উদ্বিগ্ন যে সরকার অবশেষে তাদের দখলকৃত বিতর্কিত অঞ্চলগুলো তাইগ্রেকে ফিরিয়ে দেবে। আমহারার সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোও আবের নিজ অঞ্চল ওরোমিয়ার কিছু অংশের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। আবের সরকার সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে মনে করার কম কারণ নেই।

ইথিওপিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার আরেকটি কারণ আছে। ইরিত্রিয়ার বিরুদ্ধে এটি যে যুদ্ধ করেছিল, যা ১৯৯৮ সালে শুরু হয় এবং দুই বছরের মধ্যে অন্তত ১ লাখ মানুষের প্রাণ যায়। ২০০০ সালে আবার সমঝোতা হয়। ছয় মাস পর একটি পূর্ণ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল দেশ দুটির মধ্যে। দুই দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তা সঠিকভাবে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: ইথিওপিয়া

আরও খবর



সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকাল পৌনে ৯ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, ময়মনসিংহ, এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় রোববার (১২ মে) দেশের সর্বোচ্চ ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে সোমবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। এ ছাড়া এদিন রাত ও পরদিন বুধবার (১৫ মে) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।


আরও খবর



ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ফুল মিয়া এবং সাঘাটা উপজেলায় মুক্তিনগর ইউনিয়নের শিপন নামের দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলার পৃথক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ফুলমিয়া অন্যদের সঙ্গে গড়দীঘি গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যায়। দুপুরে হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হয় ফুল মিয়া। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ফুল মিয়া গড়দীঘি গ্রামের জোবায়ের আলীর ছেলে।

অপরদিকে সাঘাটা উপজেলায় শিপন মিয়া বুধবার দুপুরের দিকে মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে হালিম মেম্বারের জমিতে শ্রমিক হিসেবে ধান কাটছিলেন। এরই মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে শিপন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শেফালী বেগম বলেন, বেলতৈল এলাকায় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।

সাঘাটা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি শ্রমিক শিপন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর জন্য আমারা আবেদন করেছিলাম। সময় বেড়েছে। কিন্তু আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি।

আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে চলতি বছরের হজে আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে শাহাদত হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল ও তামান্না ফেরদৌস। ইসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।

এর আগে গত ৯ মে আপিলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শাহাদত হোসেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী আনারস প্রতীক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল দোয়াত কলম প্রতীক ও আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন চশমা প্রতীক ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন তালা প্রতীক পেয়েছেন। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার ফুটবল প্রতীক ও ফাতেমা বেগম পারুল প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন।


আরও খবর



জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর