আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

অবশেষে শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

উক্ত ঘটনায় সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সরকারের সকল স্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ সিলেটের সুশীল সমাজের সবাইকে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদদ্যদের প্রতি তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখা দায়িত্বশীল সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে দীর্ঘ ২৬ দিন পর গতকাল শুক্রবার নিজ বাসভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশের নির্দেশ দেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ফরিদপুরে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের আরোহী বলে জানা গেছে। এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আরও চারজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৭ এপ্রিল) ভোরের এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ইরানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা করছে ইসরায়েল।

লেবাননের পূর্বে বালবেক অঞ্চলে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় বেকা উপত্যকার দু’টি এলাকা, জান্তা এবং সিফ্রি লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।’

জান্তা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি শুষ্ক, পার্বত্য অঞ্চল এবং সিফ্রি বেকা উপত্যকার কেন্দ্রে রয়েছে। লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, রবিবার ভোরে ইসরায়েল পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির দু’টি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। লেবাননে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরে গাজা যুদ্ধের শুরু থকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় করেছে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডের গভীরে গিয়ে ইসলামি গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।

শনিবার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ লেবাননের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৪৫০ ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দেওয়ার পরে পূর্ব লেবাননে সর্বশেষ এই হামলা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে লেবানিজ আকাশসীমায় পরিচালিত একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল’। এটি ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। এটি লেবানন ভূখণ্ডে পতিত হয়।

শুক্রবার একটি টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তার আন্দোলন এখনও তার প্রধান’ অস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, গাজার যুদ্ধ শেষ হলেই হিজবুল্লাহ তাদের আক্রমণ বন্ধ করবে।

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধে লেবাননে কমপক্ষে ৩৪৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, তবে কমপক্ষে ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

যুদ্ধ দক্ষিণ লেবানন এবং উত্তর ইসরায়েলে কয়েক হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের ১০ সৈন্য এবং আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।


আরও খবর