ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দায়ের করা মামলায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন ঝুমন দাশ।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জ আদালতে জামিনের আদেশ আসে। এরপর সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিননামা দাখিল করলে আদালত জামিনে মুক্তির আদেশের কাগজ কারাগারে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় ঝুমন দাশের জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এ সময় কারাগার থেকে বেরিয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঝুমন দাশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে মামুনুল হকের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় হেফাজত ইসলামের সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। গ্রামের ৫ টি মন্দিরও ভাংচুর করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার ও আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হওয়াসহ ১১৩জন আইনের আওতায় এসেছেন।
হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এর আগে, বিভিন্ন সংগঠন ঝুমন দাশের মুক্তি চেয়ে আন্দোলন করেন।