আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রীর কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
রায় ঘোষণার সময় আসামি মাহমুদা খানম স্বপ্না আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী মাহমুদা খানম স্বপ্নাকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারক রায়ে স্বপ্নাকে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ (১) ধারায় তিন বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৫ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ ছাড়া, অবৈধ উপায়ে অর্জিত ২১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।

এদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামি মাহমুদা খানম স্বপ্না আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি মাহমুদা খানম স্বপ্না গৃহিনী। তাঁর স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ পরিদর্শক ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৪ মে মাহমুদা খানম দুদকে হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ১৮৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন এবং এক কোটি ৭১ লাখ তিন হাজার ৪৫ টাকার সম্পদের মধ্যে ৪১ লাখ ৪১ হাজার ২৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখেন।

এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক ২০১৬ সালের ২৯ জুন রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নিউজ ট্যাগ: দুদক

আরও খবর



অর্জিত হচ্ছে না রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যদিও গেল বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সাময়িক হিসাব অনুসারে, ৮ মাসে আয়কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭২ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এছাড়া শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৬ মার্চ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন: গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।

গত ৬ মাসের রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহ এখনও অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি এখনও অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২৩ জন নাবিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাহাজটি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। আমরা জাহাজটি উদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। ফলে অপহরণকারীদের পরিচয়ের বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। এরা কোন দেশের নাগরিক, সেটি সম্পর্কে আমরা এখনও কোনো তথ্য পাইনি।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি ভারত মহাসাগরে ঘটেছে। আমরা ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। তবে এখনও অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



প্রথমবারের মতো কুমিরের পিঠে বসানো হলো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

এশিয়ায় এই প্রথম কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. রু সোমবীরা এবং অষ্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. পল বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সহযোগিতায় এই কাজটি সম্পন্ন হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে তারা করমজলের কুমির জুলিয়েট ও যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান, করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।

করমজল বন্য প্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর বলেন, এশিয়ায় এই প্রথম কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল ও যে সব কুমির নদীতে অবমুক্ত রয়েছে  তাদের সারভাইভাল রেট জানা যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর



অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে ইফতারে যেসব খাবার খাবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রমজান চলছে। এসময় অনেকেই ইফতারে একসঙ্গে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলেন। এসময় বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে।

ইফতার করার সময় কোন ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হবে না তা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ইতি খন্দকার।

তিনি জানান, রোজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে লেবু, চিনিযুক্ত শরবত কিংবা ট্যাং জাতীয় শরবত পান করা যাবে না। রোজা ভাঙতে হবে খেজুর বা এ জাতীয় খাবার দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে নরমাল পানি পান করতে হবে।

তিনি বলেন, চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী।

অ্যাসিডিটি কমাতে ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না :  

ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল ও মোমো খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারের মেন্যুতে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবারও। 

ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না।

যাদের টক জাতীয় খাবারে অ্যাসিডিটি হয়, তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।

অ্যাসিডিটি কমাতে যা করা যেতে পারে :

ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যেতে পারে। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করাও যেতে পারে।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন।

এ ছাড়া অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

নিউজ ট্যাগ: ইফতার

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঢাকার বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি, শীর্ষে লাহোর

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। তবে মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণ অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও আজ রোববার (১৭ মার্চ) সকালে দূষণের মাত্রা একটু কম।

সকাল পৌন ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে থাকলেও ১৩৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ ১২তম স্থানে রয়েছে।  সে হিসাবে বলা যায়, ঢাকার বাতাসের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঢাকার আজকের বাতাসও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।

সকাল পৌন ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৩৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ ১২তম স্থানে রয়েছে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৫০ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ২১৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি; ১৮০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর; ১৭৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি এবং ১৬২ স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহর আছে পঞ্চম স্থানে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর