বিশ্বের বৃহত্তম
সামরিক জোট ন্যাটোতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম দেশ ফিনল্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার দেশটি ন্যাটোতে যোগ দেয়। খবর- ওয়াশিংটন পোস্টের।
বিশ্বের বৃহত্তম
সামরিক জোটের ৩১তম সদস্য হলো দেশটি। ফিনল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও আগামী কয়েক
মাসের মধ্যে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
আজ মঙ্গলবার
বিকেলে ন্যাটো সদরদপ্তরে প্রথমবারের মতো ফিনিশ পতাকা উত্তোলন করা হয়। ফিনল্যান্ডের
সদস্যপদ অনুমোদনকারী সর্বশেষ দেশ তুরস্ক। আজ দেশটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনকে অফিসিয়াল বার্তা হস্তান্তর করে।
ব্রাসেলসে মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, বলার লোভ সামলাতে পারছি না যে, আমরা জনাব
পুতিনকে ধন্যবাদ জানাতে পারি। রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ‘অনেক দেশ মনে করেছে যে, তাদের আরও
কিছু করতে হবে’। তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষার দিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেছে যাতে, ভবিষ্যতে
সম্ভাব্য রাশিয়ান আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে পারে।
গত বছর জুলাইতে
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে পশ্চিমা
সামরিক জোটটি। দেশ দুটির যোগদানে একটি প্রটোকল সই করে তারা। এর মাধ্যমে ন্যাটোভুক্ত
দেশ হওয়ার আরও কাছাকাছি চলে আসে দেশ দুটি।
ন্যাটোভুক্ত
দেশগুলো যেকোনো একটি আক্রান্ত হলে অন্য মিত্রদের ওপর হামলা হিসেবে গণ্য করা হয়। ইউক্রেনে
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর রুশ আক্রমণের আশঙ্কায় ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করে
ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।
এর আগে রাশিয়ার
পক্ষ থেকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার সতর্ক করা
হয়েছিল। গত বছর মার্চ মাসে রাশিয়া হুমকি দিয়ে বলেছিল, ন্যাটো জোটে যোগ দিলে ফিনল্যান্ড
ও সুইডেনকে গুরুতর সামরিক ও রাজনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে।
মস্কো জানিয়েছিল,
সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে এই অঞ্চলে তারা নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা
জোরদার করবে। এর অংশ হিসেবে দেশ দুটিকে লক্ষ্য করে সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন
করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মস্কো।