দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থান
থেকে নভেম্বরে ১৮৩ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্য এবং অস্ত্র ও
গোলাবারুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম
জানান, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৭ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ, ৮ কেজি ২৮০
গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪টি প্রসাধনী সামগ্রী, ২ হাজার ৫৫৮টি ইমিটেশন গহনা, ১৬
হাজার ৬৩৫টি শাড়ি, ২০ হাজার ৪৫৬টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ৩ হাজার
৪১৩ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৯৪৩ কেজি চা পাতা, ২ লাখ ৯ হাজার ৯৯৭ কেজি কয়লা, ২০০ ঘনফুট
পাথর, ৯টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৭টি ট্রাক, ৬টি পিকআপ, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ৩০টি সিএনজি/ইজিবাইক
ও ৬০টি মোটরসাইকেল। তিনি জানান, উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ২টি বিভিন্ন
প্রকার গান, ৪টি ম্যাগাজিন, ৯টি ককটেল ও ১৩৬ রাউন্ড গুলি।
এ ছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য
জব্দ করেছে। জব্দ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯০৮ পিস ইয়াবা,
৬ কেজি ৫৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ৪৬ কেজি ৩৪২ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ২২৬ বোতল
ফেনসিডিল, ২৬ হাজার ৫৮৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩ হাজার ৩৩৬ লিটার বাংলা মদ, ৪ হাজার ৮০০ ক্যান
বিয়ার, ১ হাজার ৯৫৫ কেজি গাঁজা, ৮৬ হাজার ৭৪৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৩ হাজার ৮৫৫টি
নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৬ হাজার ১৫৫ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৩ কেজি ৭৮৫ গ্রাম কোকেন, ১ হাজার
৬৯৬বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১ হাজার ২৩০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২৯ লাখ ১৪ হাজার
৯৯৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ৫৯৫ প্যাকেট কীটনাশক এবং ১৪ হাজার ৫৭২টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ
বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে নভেম্বরে ১৭৮
জন চোরাকারবারি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২০ জন বাংলাদেশী, ২ জন ভারতীয়
এবং ১৫০ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।