আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

নুসরাতের মামলা: অসংলগ্ন অনুমান আর কল্পনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নুসরাতের মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে যতই গভীরে যাওয়া হচ্ছে ততই মামলার অসংলগ্নতা, অনুমান ও কল্পনা নির্ভরতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, মামলাটি তথ্য-উপাত্ত ও আলামত-সাক্ষীর ভিত্তিতে নয়, বরং আক্রোশ, কল্পনা ও অনুমানের উপর নির্ভর করেই করা হয়েছে। শেষ পর্যায়ে তদন্তে প্রচুর অসংলগ্নতা পাওয়া যাচ্ছে এবং এই অসংলগ্নতাই এই মামলাকে অসার, ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসামূলক হিসেবে প্রতিপন্ন করছে বলে জানা গেছে। মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে নুসরাত আট নাম্বার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যে মামলাটি করেছে সেই মামলার মধ্যে একের পর এক অসংলগ্নতা পাওয়া যাচ্ছে।

প্রথম অসংলগ্নতা হলো, নুসরাত দাবি করেছে তার বোন ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। কিন্তু মুনিয়া ও নুসরাতের কথোপকথনের যে অডিও পুলিশের হাতে গেছে তদন্তে সে অডিওতে কোথাও মুনিয়া বলে নি যে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। তাহলে মুনিয়া যে ধর্ষিত হয়েছেন মামলার বাদী এমন তথ্য কোথায় পেলেন?

দ্বিতীয়ত, এই মামলায় একাধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এই অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে এই মামলায় অন্তত ছয়জন আসামী আছেন যাদের সাথে মুনিয়ার কখনো দেখা সাক্ষাৎ হয় নি। বিশেষ করে, মামলায় যেসব নারীদের আসামী করা হয়েছে তারা কিভাবে ধর্ষণের সাথে যুক্ত থাকবেন সেই প্রশ্নেরও কোনো উত্তর নেই।

তৃতীয়ত, নুসরাতের সাথে মুনিয়ার মৃত্যুর দিন দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে, এই কথোপকথনের মধ্যে কোথাও মুনিয়া তাকে হত্যা করা হতে পারে বা তাকে কেউ খুন করবে এ ধরনের আশঙ্কার কথা বলা হয় নি। তাহলে এসময়ের মধ্যে মুনিয়াকে কারা হত্যা করলো?

চতুর্থত, এই মামলার সবচেয়ে দুর্বল দিক হিসেবে মনে করা হচ্ছে, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব। মুনিয়াকে যদি হত্যা করা হয় তাহলে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য লাগবে। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য ছাড়া একটি হত্যা মামলা আইনের দৃষ্টিতে অচল।

পঞ্চমত, মুনিয়াকে হত্যা করার জন্য যদি কেউ তার বাসায় এসে থাকে তবে সেখানে চিৎকার চেঁচামেচি হবে, সেখানে ধ্বস্তাধস্তি হবে, সেখানে পাশের ফ্ল্যাটের যারা আছেন তারা বিষয়টি জানবেন। পাশাপাশি মুনিয়াও নুসরাতের সাথে বারবার কথোপকথন করছিলেন। সেক্ষেত্রে নুসরাতকে কেন মুনিয়া টেলিফোন করলেন না সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

অসংলগ্নতা ছাড়াও এই মামলায় অনেকগুলো কল্পনাপ্রসূত অনুমান নির্ভর ব্যাপার রয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের পক্ষ থেকে এর আগে তদন্তে দেখা গেছে যে পুরো মামলাটি একটি অনুমান নির্ভর ও কল্পনাপ্রসূত। যে কল্পনা ও অনুমানের মূল লক্ষ্য হলো কিছু ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করা। ব্ল্যাকমেইল করে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলই এই মামলার মূল উদ্দেশ্য কিনা সেটিই এখন খতিয়ে দেখা দরকার বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। কারণ একটি মামলার ক্ষেত্রে তিনটি মূল উপজীব্য বিষয় রয়েছে। প্রথম হলো সাক্ষ্য-প্রমাণ। দ্বিতীয় হলো আলামত। তৃতীয় হলো পারিপার্শ্বিকতা। এই তিনটি ক্ষেত্রেই এই মামলায় কোনো যুক্তি নেই। শুধু অনুমান ও কল্পনা নির্ভরতা রয়েছে। নুসরাতের দায়ের করা মামলায় কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী নেই, এমনকি পরোক্ষ কোনো সাক্ষীও নেই। এমন কোনো আলামতও নেই যাতে প্রমাণিত হয় মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বা ধর্ষণ করা হয়েছে। এই মামলায় আসামীদের যে পারস্পরিক যোগসাজশ দেখানো হয়েছে তা কল্পনা প্রসূত। এধরনের অনুমান নির্ভর ও কল্পনা প্রসূত মামলা যদি চলতে থাকে তবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হতে পারে। এ ধরনের মামলা যেকোনো ব্যক্তিকে অপদস্থ করা ও সম্মানহানি করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

নিউজ ট্যাগ: পিবিআই নুসরাত

আরও খবর



ঈশ্বরদীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

ঈশ্বরদীতে উপজেলা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ও গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক উন্নয়নের কথা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী পৌর শাখার সভাপতি মো. মজিবর রহমান খান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার অরোণকোলা রিফুজি কোলনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক উপজেলার মধ্য অরোণকোলা (রিফুজী কোলনী) এলাকার মৃত আক্কাস আলী খান এর ছেলে।

আহত সাংবাদিক মজিবর রহমান জানান, নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ০৯ নং ওয়ার্ড মধ্য অরনকোলা রিফুজি কলোনী গোরস্থানগলি মসজিদের সামনে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথ আটকিয়ে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালিয়ে লাঠিসোটা ও ইট দ্বারা আহত করে আমার কাছে থাকা সতেরো হাজার তিনশত টাকা ছিনিয়ে নেয়। মাথায় যখম দেখা দেওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছি।

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় মোঃ রেনু মুন্সি (৫৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেছি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, এই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও অংশগ্রহণ মূলক না করতে বিভিন্ন অপশক্তি বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী, অপচেষ্টা ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা সকল প্রকার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বা আমরা একটি শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন করতে চাই। যে সকল দুষ্কৃতিরা এই নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রসাশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি আশাবাদি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



দেশজুড়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৪। গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নবীন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞানের নানা প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান মেলায় জুনিয়র, সিনিয়র এবং বিশেষ- এ ৩টি গ্রুপে প্রকল্পগুলো উপস্থাপিত হচ্ছে। মূলত: ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার বিজয়ী ও সেরা প্রকল্পগুলোই উপস্থাপিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায়।

আজ (৮ মে) পর্যন্ত মোট ২৮টি জেলায় এ বিজ্ঞান মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ৮ শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রোবটিক্সের আধুনিক ব্যবহার, সৌর বিদ্যুতের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার, বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রকল্প। বিজ্ঞান মেলা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সভা-সেমিনার।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত রেখে তাদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর কাজ করছে। বিজ্ঞান মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী নয়, মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োগ করে জনগণের জীবনমান উন্নত এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার অন্যতম লক্ষ্য। এখন বছরে কেবল নির্ধারিত সময়ে নয়, সারা বছরই তৃণমূল পর্যায়ে ছোট ছোট বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরুণ প্রজন্মকে অবগাহন করাতে বিজ্ঞান জাদুঘর পরিকল্পনা করছে।


আরও খবর



প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ইশা সাহা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন ইশা সাহা। সোয়েটার সিনেমার প্রেমে পড়া বারণ গানটির মাধ্যমে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। একের পর সিনেমা এবং ওয়েব কনটেন্টে কাজ করছেন তিনি। এবারে এই অভিনেত্রী প্রেম এবং বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

কিছুটা বিরতি নিয়ে ওয়েবের কাজে ফিরলেন ইশা সাহা। পাশবালিশ নামে একটি সিরিজে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে সৌরভ দাস ও সুহোত্র মুখার্জি। আগামীকাল (১০ মে) সিরিজটি মুক্তি পাচ্ছে জি-ফাইভে। এই কাজের সূত্র ধরেই  গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ইশা। 

বছর দুয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায় যে, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন ইশা। এ কারণেই ইন্দ্রনীলের এক যুগের সংসারে ভাঙন ধরছে। সম্পর্ক কি এখনও আছে এই প্রশ্নের জবাবে ইশা বলেন, সম্পর্ক আছে না নেই সেটা দূর থেকে অনুমান করে লোকে। বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কথা বাদ দিন, পাশের বাড়ির কাউকে নিয়েও এই আলোচনা হয়। অনুমান, মুখরোচক আলোচনা ঠিক আছে, কিন্তু আপনি আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন না। বিবৃতি আমি দেবো বা আমার যার সঙ্গে নাম জড়াবে, তিনি দেবেন। আপনি তো তৃতীয় ব্যক্তি।

সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাননি অভিনেত্রী। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেন নি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল, তার সঙ্গে আমার কিছু থাকতেও পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। বলার আগে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে তাদের। আন্দাজে ঢিল ছুড়লে ভিমরুলের কামড় খেতে হবে।

তবে প্রেম ও বিয়ে নিয়ে ইশার মনোভাব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, এই সময়ে কেউ প্রেম করলে সেটা আর গোপন রাখা সম্ভব হয় না। নিজ থেকে সম্পর্কের কথা সময় নিয়ে, ভেবে-চিন্তে জানাবেন বলেন তিনি। ইশা বলেন, আমি চিরাচরিত চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নই। ভালোবাসাটাই মূল বিষয়। সেটা না থাকলে বিয়েটার কোনও দাম নেই। বিয়ে আছে, প্রেম নেই, এ রকম জীবনের কোনও মানে হয় না। বিয়ে টিকিয়ে রেখেছি বলে চিৎকার করে কোনও লাভ নেই।প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময়ে হয়েই যাবে। দুটো সই করার ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় ইশার। এরপর তাকে দেখা গেছে গুপ্তধনের সন্ধানে, সোয়েটার, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ওয়েব দুনিয়াতেও সমাদর আছে এই অভিনেত্রীর। 

নিউজ ট্যাগ: ইশা সাহা

আরও খবর



সোনার দাম বেড়ে ভরি এক লাখ ১৭ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বেড়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৮, ৬ ও ৫ মে তিন দাফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৮ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা এবং ৬ মে ৭৩৫ টাকা ও ৫ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে চার দফায় ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ৮ হাজার ১১৯ টাকা।

এই দাম বাড়ার আগে আট দফায় সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৮ টাকা, ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন চার দফায় সোনার দাম বাড়নোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (১২ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (১১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর