আগামী অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শিগগিরই একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
গত ২৪ জানুয়ারি দেশের সব মানুষকে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল’ সংসদে পাস হয়।
বাজেট প্রস্তাবের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর থেকেই বাংলাদেশে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা সম্ভব হবে। প্রস্তাবিত স্কিমে অর্ন্তভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকগণও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা প্রদান করার পূর্বেই মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে। এছাড়াও চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্ব্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসাবে উত্তোলন করা যাবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসাবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। শিগগিরই একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে।