আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নতুন দম্পতিকে যে সাতটি প্রশ্ন করবেন না

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

নতুন দম্পতি। হোক না তাঁরা অনেক দিনের চেনা বা সদ্য পরিচিত; নতুন পরিবেশ, নতুন অভিজ্ঞতায় মানিয়ে নিতে একটু সময় তো লাগবেই। এ সময় তাঁদের মধ্যে কাজ করে কত উৎকণ্ঠা, লজ্জা। নতুন দম্পতিকে অনেকে আবার নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন করে। বন্ধুরাও ঠাট্টাচ্ছলে অনেক প্রশ্ন করে। পাড়াপ্রতিবেশীর মধ্যেও নবদম্পতিকে কিছু প্রশ্ন করার প্রবণতা আছে। নবদম্পতির সঙ্গে আপনার যেমন সম্পর্কই থাকুক, কিছু প্রশ্ন তাঁকে করতে পারেন না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন ৭টি প্রশ্ন।

১. একসঙ্গে থাকবে, নাকি আলাদা বাসা নেবে: যে পরিবারে এক ছেলে, সাধারণত সে পরিবারের অভিভাবকেরা চান, ছেলে তাঁদের সঙ্গেই থাক, পরিবারের দায়িত্ব নিক। বিয়ের পরপরই অনেকে তাই কৌতূহলী হয়ে জানতে চান, একসঙ্গে নাকি আলাদা থাকবে? কেউ কেউ আবার ভালো পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, আলাদা হতে চাইলে এখনই হয়ে যাও। বেশি মিশে গেলে পরে আর পালানোর অবস্থা থাকবে না। এমন কথাবার্তায় শুরুতেই নবদম্পতির মধ্যে একধরনের সংকট তৈরি হয়। সম্পর্ক তৈরি না হওয়ার আগেই সন্তান ভাগাভাগি হয়ে যায়। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে দম্পতি আর বাকি পরিবার। হবু দম্পতিদের তাই বিয়ের আগেই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো ঠিক করে নেওয়া ভালো। এ প্রশ্নগুলো নতুন দম্পতির সামনে এনে অযথা দ্বন্দ্ব তৈরি করার কোনো মানে হয় না।

২. বাসররাত কেমন কাটল: প্রশ্নটা যেমন অশোভন, কাউকে করাটাও তেমনি অরুচিকর। এটা নতুন দম্পতির একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। যিনি এ প্রশ্নের উত্তর দেন, তিনি অজান্তেই নিজেদের সম্পর্ককে হালকা করে ফেলেন অন্যের কাছে। তাই এ প্রশ্ন এড়িয়ে চলাই ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। অনেক সময় তাঁদের সঙ্গে যাঁদের ঠাট্টার সম্পর্ক, এই যেমন বন্ধু, দুলাভাই, দাদা-দাদি, নানা-নানি, বড় ভাবিএই মানুষেরা এমন প্রশ্ন করে বসেন। এটা খুবই অনুচিত। বিশেষ করে একাধিক মানুষের সামনে এ প্রশ্ন করা মানে সরাসরি নতুন বর-বউকে একটা বিব্রত পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া।

৩. বাচ্চা কখন নেবে: প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ ভেবে আগ বাড়িয়ে অনেকেই করেন। গুরুজনেরা ভাবেন, মাত্র বিয়ে করেছে, বয়স কম, পরামর্শ দিয়ে উপকার করি। এ ধারণা থেকে প্রশ্নটা করেন তাঁরা।  শুধু প্রশ্ন নয়, একই সঙ্গে দ্রুত সন্তান নিতে উৎসাহও দেন। এ ধারণা বর-কনের মনকে যেমন দুর্বল করে, তেমনি একধরনের চাপেও ফেলে। কেউ কেউ নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে অন্যের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে সবদিক না বুঝেই সন্তান নিতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। স্বামী-স্ত্রীর একজনের হয়তো অমত আছে, কিন্তু অন্যজনের চাপাচাপিতে রাজি হয়ে যান। এতে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত স্ত্রীরাই বেশি প্রভাবিত হন।

যেকোনো দম্পতিরই একটা নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। সেখানে ক্যারিয়ার, সংসার, পরিবার, জীবনযাপনের নানা বিষয় নিয়ে নিজেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। তাই কোনো দম্পতিকে সন্তান নেওয়ার মতো প্রশ্ন করে অযথা চাপে ফেলা মানে আপনার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটানো।

৪. শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন নাও তো?: এ ধরনের প্রশ্ন যিনি করেন, তাঁর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে, এটা ভেবে নিতেই পারেন। কারণ, ছেলে বা মেয়ের মা-বাবা সবারই একই কষ্ট। ছেলের মা-বাবা যেমন তাঁকে বড় করতে কষ্ট করেন, মেয়ের মা-বাবার কষ্ট বা পরিশ্রমও তাঁর তুলনায় কম নয়। একই সঙ্গে এ প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি বর বা কনের মা-বাবাকে একধরনের খোঁচা দিলেন। বোঝাতে চেষ্টা করলেন, তোমার মা-বাবা এখন তোমাদের জন্য একটা বোঝা। গুরুজনের সেবা করা প্রতিটি সন্তানের জন্যই কর্তব্য। কিন্তু নতুন বউকে এ প্রশ্ন করা মানে আপনি মনে করছেন, সে না-ও করতে পারে।

আর নতুন বরকে এ প্রশ্ন করার আগেও ভেবে নিন। কারণ, কনের ভাই না থাকলে তাঁর মা-বাবার কাছে সেটা অনেক সময় মানসিক চাপের মতো হতে পারে। বরের বা কনের মা-বাবা তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারেন। এ থাকা আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে খুবই চেনা। তাই আপনার এমন প্রশ্ন সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে, যা নতুন দম্পতিকে জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

৫. বাবার বাসা থেকে কী দিয়েছে: এ প্রশ্নের সম্মুখীন বেশি হন মেয়েরা। তোমার শ্বশুরবাড়ি থেকে কত ভরি গয়না দিয়েছে? তোমার মাবাবা কী কী দিয়েছেন? এ ধরনের প্রশ্ন করা মানে যিনি আপনাকে দাওয়াত দিয়েছেন, তাঁকে ছোট করা। তাই অযথা নতুন সম্পর্ককে ছোট করা থেকে বিরত থাকুন। দুই পরিবারের আত্মীয়তার মধ্যে আর্থিক অবস্থান সবার সমান হবে, এটা ভাবা ভুল। ভালোবেসে বিয়ে হলে তো বটেই, ঘটকালির বিয়েতেও নানা বিষয় জেনেবুঝে দুটি পরিবার সম্পর্কে জড়ায়। তাই নতুন বউকে এমন প্রশ্ন করা মানে তাঁর পরিবারকে ছোট করা। আবার বউয়ের সামনে স্বামীকে এ ধরনের প্রশ্ন করার মানেও কিন্তু আপনি তাঁর শ্বশুরবাড়িকে ছোট করছেন। তাই কারা কী দিয়েছে, এ প্রশ্ন না করে বরং দুই পরিবারের ভালো দিকগুলো নিয়ে কথা বলুন।

৬. এখনো চাকরি করবে কিংবা বর চাকরি করতে দেবে?: এ প্রশ্ন খুবই আপত্তিকর। প্রথমত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার আগেই এসব বিষয়ের মীমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা। চাকরিজীবী কোনো নারীকে ছেলের বউ করে আনা হলে এ প্রশ্ন তোলাটাই অযৌক্তিক। কারণ, চাকরি করতে দেওয়া না দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা এই প্রথম উঠল, ভাবাটাই তো ভুল।

অনেক পরিবার চায়, ছেলের বউ কাজ করুক, নিজের আলাদা একটা সত্তা তৈরি করুক। কষ্ট করে পড়াশোনার পর চাকরি করলে বরং তাঁরা খুশি হন। স্বামীরও যদি কোনো আপত্তি থাকে, সেটা বিয়ের আগেই মিটমাট হয়ে গেছে ভাবুন। তাই নতুন করে এ প্রশ্ন তোলা মানে আপনি একটা কনফিউশন তৈরি করছেন। পরিবার গোড়া হলে ছেলের বউ চাকরি করবেন, সেটা তারা মেনে নাও নিতে পারেন। সেটাও বিয়ের আগে জেনেবুঝেই হয়তো বিয়েতে মত দিয়েছেন কনে। তাই এ প্রশ্ন বিয়ের পর নতুন দম্পতিকে করবেন না।

৭. সাবেক প্রেমিক/প্রেমিকার কথা কি এখনো মনে পড়ে: এ ধরনের প্রশ্ন আপনি হয়তো একান্তে করছেন। তারপরও সেটা ঠিক নয়। কারণ, এ সময়ের ছেলেমেয়েরা যখন একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে, তার মানে তাঁরা সেটা মন থেকে মুছে ফেলতে চায়। আর চায় বলেই বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জড়ান। এর মানে পুরোনোকে ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাইছেন তিনি। ফলে ভুলে যাওয়া সম্পর্ককে সামনে এনে তাঁকে বিব্রত করছেন। তাই তাঁদের এ কথা বলে কষ্ট দেওয়া বা বিভ্রান্ত করাটা একদম অনুচিত।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (৩০ এপ্রিল) ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৮৯ সালের পর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে রোববার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ২০০৫ সালে ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০১২ সালে ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা ১৯ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়ে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।


আরও খবর