রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মমতাজ মীম নিহতের ঘটনায় চালক সাইফুর রহমান ও তার সহকারী মশিউর দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) চার দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক রিপন কুমার।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত রোববার (৩ এপ্রিল) গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুবকর ছিদ্দিক তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে বের হয়ে স্কুটি নিয়ে গুলশানের দিকে যাচ্ছিলেন মীম। কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে নামার পথে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে তার স্কুটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নর্থ-সাউথের এ শিক্ষার্থী। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একজন পথচারী মীমকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মীমের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে মরদেহের দাফন হয় গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পারিবারিক কবরস্থানে।
ঘটনার দিন গত ১ এপ্রিল রাতেই কাভার্ডভ্যানের চালক সাইফুর ও তার সহকারী মশিউরকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এসময় জব্দ করা হয় কাভার্ডভ্যানটি।
মীম নিহত হওয়ার পর দিন গত শনিবার (২ এপ্রিল) কাভার্ডভ্যানচালক সাইফুর রহমান ও তার সহকারী মশিউরের বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় হত্যা মামলা করেন মীমের বাবা নূর মোহাম্মদ মামুন।