আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নরসিংদীতে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৭

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীর মনোহরদীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এসময় পুলিশসহ বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

রোববার দুপুরে উপজেলার ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের হেতেমদী এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের শিবপুর, নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভোলায় দুই নেতার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। দুপুরে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী এলাকা থেকে সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান দোলনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের দিকে এগোতে থাকে। মনোহরদী উপজেলা সদরের দিকে যাবার উদ্দেশ্যে বাঘবের নামক এলাকায় পৌঁছলে মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়।

এতে উত্তেজিত বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান দোলন। এছাড়া  নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে শিবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেজবাহ উদ্দিন, মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন, ওসি তদন্ত জহিরুল আলমসহ পুলিশের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।  

মনোহরদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইটভাটায় বিএনপির সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার দলীয় লোকজন স্থানটির আশপাশ এলাকা আগেই দখল করে নেয়। নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসার সময় এবং মিছিলে অংশগ্রহণ করায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের লোকজন হামলা চালায়। পুলিশের রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ ২৮ জন এবং লাঠিপেটায় আরও ৫-৭জন আহত হয়েছেন। এতে মনোহরদী পৌরসভা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল কমিশনার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান সোহাগ, রমজান তালুকদার, মনি, খোকন, নজরুল ইসলামসহ প্রায় ৩৫ নেতা-কর্মী আহত হন।

মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, একই এলাকায় আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকায় বিএনপিকে মিছিল নিয়ে সড়কে না যেতে অনুরোধ জানানো হয়। তারা অনুরোধ না রেখে পাল্টা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় বাধ্য হয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় সেই প্রার্থনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রার্থনার কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের দেশে যে সম্প্রীতি আছে, সেই সম্প্রীতির বন্ধনকে যেন আরও দৃঢ় করতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয়।

নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পবিত্র ঈদের দিন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের দেশে যে শান্তি স্থিতি বিরাজমান এবং আজকে বাংলাদেশ যে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই উন্নয়ন অগ্রগতি যেন আরও বেগবান হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ থেকে যেন সমস্ত সম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ ঘটে। এই দেশে যেন আমরা সব সম্প্রদায় এবং সব মত-পথের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যেন অবিলম্বে শান্তি আসে। সেখানে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে সে বর্বরতার যেন চির অবসান হয়। এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার নেতৃত্বে দেশ যেন আরও এগিয়ে যায় মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



ঈদে ঘুরতে যাচ্ছেন? খরচ বাঁচানোর উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

রহমতের মাস মাহে রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। আবার অনেকে ঈদের এই ছুটিতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে বা দেশের বাহিরে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে যাবে ঘুরতে। এই ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন : ভ্রমণে প্রথমধাপে যেই খরচটা হয় তা হচ্ছে যাতায়াতের খরচ। তাই যাতায়াতে মিতব্যয়ী হতে হবে। কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ব্যস্ত বিমানবন্দর বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ব্যস্ত বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।

বুঝেশুনে প্যাকেজ অফার নিন : কাঙ্ক্ষিত স্থানে যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এর জন্য রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। যেমন খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র থাকার জন্য রিসোর্ট বুকিং দিয়ে খাবারের খরচটা বাহিরে করলে হোটেলের বিল কম আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কম খরচের হোটলেরুম বা রিসোর্টে উঠতে পারেন।

সাথে শুকনো খাবার রাখুন : ভ্রমণের সময় লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো তা অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেলেও সঙ্গে থাকা খাবার খাওয়া যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।

উপহারে অপচয় নয় : অনেকেই ভ্রমণে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে থাকেন। এতে অনেক খরচ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দামি কিছু উপহার না দিয়ে বা মার্কেট থেকে না কিনে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কিনুন। এতে কম খরছে ভালো কিছু কেনা যাবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ।


আরও খবর



বাজার অস্থিতিশীল করতেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। দেশে যাতে জনগণের ভোগান্তি হয় এবং পণ্যের মূল্য বাড়ে এটাই চায় তারা।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের নেত্রী যেগুলো মাঠে গলা ফাটায়, তারাও আবার ভারতীয় শাড়ি পড়বেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন-এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনোকিছু নয়।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরণের ভূমিকা রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি ছিনতাই হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না; যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতোমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।


আরও খবর



নড়াইলে ধান ক্ষেতে প্রশিক্ষণ বিমানের জরুরি অবতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলে বিলের মধ্যে ধান ক্ষেতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানে দুজন পাইলট চালক ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে জেলা সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি মধ্যপাড়ায় বিলে বিমানটি অবতরণ করে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চালক বিমানটি ধান ক্ষেতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। বিমানটিতে দুজন চালক ছিলেন। এদের একজন সামান্য আহত হয়েছেন। যশোরের বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তাদের যশোর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর