আজঃ সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নরসিংদীতে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোহনা টিভির বেলাব প্রতিনিধি মো: আশিকুর রহমান সৈকতের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা জান্নাত তাহেরা।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলাব থানা অফিসার ইনচাজ মোঃ তানভীর আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা, বেলাব সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সাফি, বেলাব প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল হক, সভাপতি স্বপন মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আলী হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রমজান আলী জুয়েল, বেলাব প্রেসক্লাবের সদস্য বাদল মিয়া, শফিকুল ইসলাম খান ,আলমীগর পাঠান, রেজাউল আলম বিপ্লব, আমলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজিব ভূইয়া,নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য শাহিনুর আক্তারসহ বেলাব উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। পরে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে নাজিরপুরে আ.লীগের মিছিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পিরোজপুরের নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা কৃষকলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলা আ.লীগ, ছাত্র ও যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বের হওয়া ওই মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি মো. শাহ আলম ফরাজী, উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায় কবীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম খোকন কাজী, ছাত্রলীগ সভাপতি মো.তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস প্রমুখ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আল আমীন হোসেন জানান, পিরোজপুর-১ আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে আমাদের এমন আয়োজন। দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার ধারবাহিকতা হিসাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীর সরকার গঠন হবে।


আরও খবর



কেরানীগঞ্জে ৫ ইউনিয়ন নিরাপত্তায় বসছে ২০০ সিসি ক্যামেরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেজওয়ান খান রনি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

Image

কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার আওতাধীন ৫টি ইউনিয়নকে ২০০ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে কেরাণীগঞ্জের সেমন্তী কনভেনশন হলে এ কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে তাঁর সেক্রেটারী, বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। চেক গ্রহণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরাণীগঞ্জের বিশাল একটি জনপদ নিরাপত্তার চাদরে চলে আসছে। বিশেষ করে রাজধানীর পাশ্ববর্তী উপজেলা হওয়ায় বিভিন্ন সময় এখানে নানা অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। সিসিটিভি নজরদারির আওতায় এলে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সেক্রেটারী ও নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান, চিফ প্রটোকল অফিসার মেজর (অব.) মোহসীনুল হাকিম, একান্ত সচিব এমডি আমিনুল ইসলাম, ফেরদৌস বিন সিদ্দিক, বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম মো. শ্যামল, কালের কণ্ঠর উপ-সম্পাদক হায়দার আলী, নিউজ টোয়েন্টি ফোর টেলিভিশনের ডেপুটি সি এনই আশিকুর রহমান শ্রাবণ, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির সেক্রেটারিয়েট টিমের সদস্য রণিত সেন, মারুফ কাজী, সোহেল।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশী, সাকুর হোসেন সাকু, সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বাধীন শেখ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বক্তব্যের শুরুতে তিনি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পৃষ্ঠপোষকতাকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে বসুন্ধরা গ্রুপের এগিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপের আমরা পাশে পেয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার সেটি বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কেরাণীগঞ্জের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ তারই অংশ। পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত শান্তি সমাবেশের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, সেখানেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মাহুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, একসময় কেরাণীগঞ্জ সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে কেরাণীগঞ্জে কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারত না। সব শ্রেণি পেশার মানুষ সারাক্ষণ আতংকে থাকত। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমরা কেরাণীগঞ্জকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছি। এতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার কথাও না বললেই নয়।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা জোরদারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই ধরনের সিসিটিভি দেশের আধুনিক এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। কেরাণীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে যাচ্ছে, সেগুলো খুবই অত্যাধুনিক। প্রতিটি অলি-গলিতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করব। এর মধ্য দিয়ে কেরাণীগঞ্জের মানুষকে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিয়ে যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা কেরাণীগঞ্জকে শতভাগ অপরাধমুক্ত ঘোষণা করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ১৯০৫ সালে ঢাকার নবাববাড়িতে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯৭ বছরে পাকিস্তান শাসনামল সহ সব সরকারের নেতৃত্বে মাত্র ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৩ বছরে আমরা সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। এখন সমগ্র বাংলাদেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের যে সুফল কেরাণীগঞ্জের মানুষ পাবে, তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়কে ব্যাপক ডাকাতির ঘটনা ঘটতো। আমি দায়বদ্ধতা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার জুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে দিয়েছিলাম। এরপর থেকে ডাকাতি, অতিরিক্ত গতিতে গাড়িচালনা থেকে শুরু করে অপরাধ কর্মকাণ্ড অনেকাংশেই লাঘব হয়ে গেছে। কোনও এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরা থাকলে যে কোন অপরাধী অপরাধ সংঘটনের আগে চিন্তাভাবনা করবে। কেরাণীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, সেটি হবে দেশের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির। এ কাজে এগিয়ে এসে বসুন্ধরা গ্রুপের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা জোরদারে বড় অবদান রাখল।

কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, অনেকগুলো চোখ, যা দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা কেরাণীগঞ্জের মানুষকে নিরাপত্তা দিবে। সেই চোখগুলোর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজকে। নাগরিকদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পাশাপাশি এই সিসিটিভি ক্যামেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেরাণীগঞ্জ বাসীর জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় কেরাণীগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে আমি বসুন্ধরা গ্রুপের আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন, তারই অংশ এটি। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কেরাণীগঞ্জের ৯৯ শতাংশ অপরাধ দমন হবে বলে আমি মনে করি।

সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোনার মানুষ লাগে। দক্ষ জনশক্তি এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধন এই দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নকে বাধা গ্রস্তকারী অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে সিসি টিভি নজরদারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ঢাকা জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটি পরিকল্পণা প্রণয়ন করেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন। এটি বাস্তবায়নে বসুন্ধরা গ্রুপের মতো একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এগিয়ে এসেছে, তা আমাদেরকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে।

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন বলেন, প্রতিটি নাগরিকের সকল নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কেরাণীগঞ্জের সে কাজটি শুরু হচ্ছে, এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে কেরাণীগঞ্জকে অপরাধমুক্ত করতে বেশ আগে থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই পদক্ষেপ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

জানা গেছে, এ কার্যক্রমে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে থ্রি এস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম নামক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার গুলশান এলাকার নজরদারিতেও প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার কাজ করছে।

এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কেরানীগঞ্জের প্রায় অর্ধেক এলাকা নজরদারির আওতায় আসতে যাচ্ছে। সংল্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জ একটি উপজেলা হলেও এখানে বিপুল জনসংখ্যা। শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠায় এবং রাজধানীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এখানে ঘনবসতি। ফলে এখানে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। বিশাল এই এলাকাকে সিসিটিভির মাধ্যমে প্রশাসনের নজরদারির আওতায় আনার যে মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, এতে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই লাঘব হবে।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকার নিকটবর্তী এলাকার মধ্যে কেরাণীগঞ্জ সব থেকে বেশি অপরাধ প্রবণ এলাকা। এখানে প্রচুর বেওয়ারিশ লাশ পাওয়া যায় অর্থাৎ ডাম্পিং এলাকা মনে করে এই এলাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন স্থানে মার্ডার করে নিরাপদ এলাকা মনে করে লাশ এখান ফেলে যায়। বিশেষ করে শুভাঢ্যা, জিনজিরা, কোন্ডা, তেঘরিয়া এই চারটি জোনের অপরাধ প্রবণতা বেশি-এমন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, কেরাণীগঞ্জ একটি উন্নয়নশীল এলাকা। আবাসনের পাশাপাশি এখানে প্রচুর শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই এলাকায় ভাসমান লোকের সংখ্যা বেশি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পুরো কেরাণীগঞ্জ এলাকাটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করি। সেই অনুযায়ী আমরা প্রাথমিক ভাবে একটি প্রকল্প হাতে নিই। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে জানালে তিনি আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। সেই অনুযায়ী পুরো কেরানীগঞ্জকে ২০০টি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ কোটি টাকার একটি বাজেট ধরা হয়। কেরাণীগঞ্জের আমাদের আওতায় মোট ৫টি ইউনিয়নকে ৪ টি জোনে ভাগ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এইসিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত এলাকাগুলোতে মাদক কেনাবেচার একটি হাব রয়েছে। ব্যবসায়ী এলাকা হওয়ায় ছিনতাই, চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা ও প্রায়শই ঘটে থাকে। তাই এই পুরো এলাকাকে নিরাপদ রাখতে এই সিসি ক্যামেরা গুলোর মাধ্যমে নজরদারি করতে আমাদের খুব সুবিধা হবে। তাছাড়া কোন অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকলে সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করাও অনেক সহজ হবে।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় এই পরিকল্পনা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, এসব ঘটনাও নিয়মতি নজরদারিতে রাখতে পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা দরকার।


আরও খবর



গাজার আরও একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আরও একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা জানিয়েছেন, দেইর আল বালাহ হাসপাতালে ৩০টির বেশি মরদেহ পৌঁছেছে। তবে এর আগে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, নিহতের সংখ্যা ৫১।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই গাজার এখানে সেখানে বোমা মেরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি দখলদারদের হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল বা হাসপাতালও।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে আর কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পরিচালক টমাস হোয়াইট জানান যে, সেখানকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের কোনো কিছুই করার নেই।

অপরদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হলে গাজাকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে। ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে ফেলার মডেলকে ‍তুরস্ক কখনোই সমর্থন দেবে না। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) কাজাখস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভূমিকাকেও সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। বলেছেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ও এই যুদ্ধে ইইউ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। এ কারণে ইইউয়ের উপর মানুষের যে আস্থা ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে।


আরও খবর



আসছে আ.লীগের ভোটের কৌশল নির্ধারণে নানা সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের কৌশল ও প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়। আজ সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠেয় এ সভায় ১০টি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং বিভিন্ন উপকমিটি গঠন। যার মধ্য দিয়ে দলকে পুরোপুরি নির্বাচনমুখী করতে চায় ক্ষমতাসীনরা।

এছাড়া সাংগঠনিক অবস্থা, বিশেষ করে তৃণমূলের পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংগঠনিক প্রতিবেদন দাাখিল করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সারা দেশের কোন সাংগঠনিক জেলায় কী সমস্যা তা উপস্থাপন করে সমাধানের নির্দেশনা চাইবেন তারা।

পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার বাইরে (বিবিধ) দলীয় প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন ফরম বিক্রির তারিখ নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হবে। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আরও জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ বিরোধীদের অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো আজকের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনায় আসবে।

বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় নিজেদের করণীয় বিষয়েও নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভেতর ও বাইরের বিভিন্ন মহলের তৎপরতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার বিষয়গুলো নিয়েও। নির্বাচনি প্রস্তুতির পাশাপাশি সামনের দিনের বিভিন্ন দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।

আজকের সভার যে ১০টি সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি রয়েছে, সেগুলো হলো-শোক প্রস্তাব, ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদীর মৃত্যুবার্ষিকী, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও সাবকমিটি গঠন, সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা, সাংগঠনিক প্রতিবেদন দাাখিল ও বিবিধ।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এই কার্যনির্বাহী কমিটির সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হবে। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে আলোচনা হবে। দলীয় মনোনয়ন ও মনোনয়ন ফরম বিক্রির বিষয়সহ নির্বাচনের অন্য প্রক্রিয়াগুলো নিয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচনে বিজয়ে জনগণের ম্যান্ডেট আদায় ও এর কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে। নির্বাচন সামনে রেখে আমরা কী কী বিষয় নিয়ে মানুষের কাছে যাব, সেই কৌশলও নির্ধারণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। সামনে আমাদের বিভিন্ন দিবস আছে, সেই দিবসভিত্তিক কর্মসূচিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, সে বিষয়গুলো নিয়েও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা হবে বলেও জানান দলটির এই নেতা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনের আগে আমাদের দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি নিয়েও আলোচনা হবে। মূলত জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন  বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।

একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। জনগণও সেই উন্নয়নের পক্ষে, নির্বাচনের পক্ষে। আমরা আশা করি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে নিয়ে সিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এসএইচএমবি নূর চৌধুরীকে নিয়ে বিশদ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করতে যাচ্ছে কানাডিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলবে। জানা যাবে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার ভাষ্যও।

 সিবিসি টেলিভিশিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‌দ্যা ফিফথ স্টেটদ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হবে আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে প্রায় দেড় মিনিটের একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে, টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখা গেছে। শোনা গেছে তার কণ্ঠও। আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান লিখেছেন, গত ৭ মাস আমরা ছুটে বেরিয়েছি অটোয়া থেকে টরন্টো, টরন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি। জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি, নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু কানাডা সরকারের পলিসির, নাকি আরও অন্য কিছু আছে?

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত।

কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় সকলেই দীর্ঘদিন ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।


আরও খবর