আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নরসিংদী জেলা জুড়ে সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মো. মোস্তফা খান, নরসিংদী

নরসিংদী জেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় ততই সবুজে ঢাকা মাঠগুলো অপরুপ সুন্দরে ছেঁয়ে আছে। ওই সমারোহ দেখে রঙ্গিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। এ যেন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে মাঠে থাকা ধানের চেহারা। নতুন ধানের আগমনী বার্তা কৃষকের পরিবারে এনেছে আনন্দের ঢেউ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে বোরো আমনে বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলার হাজারো কৃষক। এখন জেলার মাঠে মাঠে সবুজ সমারোহে পূর্বালী বাতাসে সোনালী ধানের শীষ হাওয়ায় দুলছে। আর সোনালী এই ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠছে কৃষকেরা। ধানের গাছগুলো সবুজের আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করেছে।

বিগত বছরগুলোতে জেলায় বোরো আমন ধানের ফলন এবং দাম ভাল পাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো আমন চাষকে ঘিরে মাঠে মাঠে যেন উৎসব শুরু হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৬ শ' ৫০ হেক্টর জমি, উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪৯ মেট্রিক টন। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নরসিংদীর সদর উপজেলায় ৮হাজার ৫২০ হেক্টর, পলাশ উপজেলায় ৪ হাজার ২৮১ হেক্টর, শিবপুর উপজেলায় ১০ হাজার ১৬৭ হেক্টর, মনোরদী উপজেলায় ১১ হাজার ১৪৯ হেক্টর, বেলাব উপজেলায় ৫ হাজার ৮৪১ হেক্টর ও রায়পুরা ১৬ হাজার ৮৮২ হেক্টর। 

বোরো ধান রোপণের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে অধিক জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে জেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ৫৬ হাজার ৭ শ' ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়  বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ। স্থানীয় কৃষকরাও একই  আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।

গত বছর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে আরও বেশী উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষের ফলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাম্পার ফলনের আশা করছেন নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে জেলার চরাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে এক কথায় জেলার কৃষি জমিতে হিমেল হওয়ায় দোল খাচ্ছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।  মাঠে মাঠে রোপণকৃত বোরো ধান কয়েকদিনের মধ্যে কাটা মাড়াই শুরু হবে। অনেক স্থানে যান্ত্রিক কৃষি যন্ত্র ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কাজ। তবে চলতি বছর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার অনেক কৃষকরা।

মহিষাশুরা এলাকার বোরো চাষি হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছর বোরো চাষ করে দাম ভালো পেয়েছিলাম। এবারও সেই আশায় সাড়ে সাত বিঘা জমি বোরো ধান রোপণ করেছি। ইতোমধ্যে  ধানে পাক ধরেছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ধান কাটাশুরু করতে হবে।

গণেরগাও এলাকার বোরো চাষি জয়নাল বলেন, গত মৌসুমে উফসী ও হাইব্রিড জাতের বোরো রোপণ করে ধানের ভালো ফলন পেয়েছিলাম সেই সাথে বাজার দর ভালো থাকায় মোটামুটি লাভের মুখ দেখেছিলাম।

করিমপুর এলাকার শুক্কুর আলী নামে এক বর্গা চাষী বলেন, গত বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করে বেশ লাভবান হয়েছিলাম। জমি চাষাবাদ খরচ ও সারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এবছর মাত্র ৩ বিঘা জমি বোরো চাষ করছি। আমার নিজের কোন জমি না থাকায় অন্যের জমি চাষ করেই কোন রকমে খেয়ে পুড়ে বেঁচে আছি। শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চরের ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। এর ফলে আবাদযোগ্য জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তাছাড়া শ্রমিকের মজুরি ও কৃষি সামগ্রীর দাম লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকায় কৃষিকাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এ অঞ্চলে কাজ করতে আসা কৃষি শ্রমিক হেমায়েত উল্লাহ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার বড় ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছি। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবারে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে তাই পরিবারের সবার মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে  এই গরমের মধে এ অঞ্চলে বোরো ধান কাটতে এসেছি। এখানে আমাদের এলাকার তুলনায় পারিশ্রমিক অনেক বেশি পাওয়া যায়। ধান কেটে একেকজন শ্রমিক থাকা খাওয়া ছাড়া দৈনিক ৪ থেকে ৫ শত টাকা মজুরি পাই। এতে কোনরকম সংসার চলে যায়।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। নরসিংদী জেলায় বিরি ধান ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ এ প্রজাতির ধানের আবাদ বেশী হয়। তাছাড়া বোরো হাইব্রিড ও স্থানীয় প্রজাতির বোরোর আবাদও করা হচ্ছে। এবারও কাঙিখত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



ফের বুরকিনা ফাসোতে হামলা: নারী-শিশুসহ নিহত ১৭০

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৭০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির তিনটি গ্রামে চালানো হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তবে হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত তা জানা যায়নি। সোমবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৭০ জনকে হত্যা’ করা হয়েছে বলে দেশটির একজন পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন। কমসিলগা, নর্ডিন এবং সোরো নামে তিনটি গ্রামে হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটনানো হয়। এই ঘটনায় আক্রমণকারীদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করার জন্য সাক্ষীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউটর অ্যালি বেঞ্জামিন কুলিবালি।

আলাদাভাবে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী শহুরে কেন্দ্রগুলোতে আক্রমণসহ’ ইসলামপন্থিদের আক্রমণের বর্ধিত ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী ২০২২ সালে ক্ষমতা দখল করে। তবে বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

কুলিবালি বলেছেন, তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইয়াতেঙ্গা প্রদেশে গ্রামে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েক ডজন নারী ও শিশু রয়েছে। তবে হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত তা জানা যায়নি। তবে শহরগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আকারের সিরিজের আক্রমণের শঙ্কা’ রয়েছে।

অবশ্য এই হামলা দেশটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে না। সম্প্রতি দেশটির একটি গির্জার পাশাপাশি একটি মসজিদ এবং সেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার দেশটির সেনাপ্রধান জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার ঝুঁকি বাড়ার কারণে সৈন্যদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছিলেন।

মানবিক কর্মীরা বলছেন, বুরকিনা ফাসোতে যে সংকট চলছে তা বিশ্বের অন্যতম অবহেলিত সংকট। বছরের পর বছর ধরে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২০ লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষে পরিণত হয়েছেন।

জাতিসংঘের ধারণা, পাঁচ বছরের কম বয়সী সকল শিশুর এক-চতুর্থাংশ ক্ষুধার কারণে বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যদিও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বছর আগে সামরিক বাহিনী বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতা দখল করে, তবুও দেশটিতে এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস জানায়, সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল এখন চূড়ান্তভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার মধ্য সাহেল অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।


আরও খবর



চাঁদাবাজির তুলনায় অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদাবাজির চাইতে অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা আসা পর্যন্ত কী পরিমাণ চাঁদা দেওয়া লাগে, আর সেই পণ্য কারওয়ান বাজার থেকে অন্য বাজারে নেওয়ার পর কী পরিমাণ দাম বাড়ে সবকিছুই আমরা অনুসন্ধান করেছি।’

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি’ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করছে। অধিক মুনাফার চিন্তা থেকেই এর প্রভাব বেশি পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, ভবিষ্যতে সব মহাসড়ক ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।‘

যারা অতি মুনফার লোভে দামবৃদ্ধি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই তারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর



বাগেরহাটে হাত-পা ও মুখ বেঁধে খাতনা দেওয়ায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাত-পা ও মুখ বেঁধে খাতনা দেওয়ায় তিন বছরে শিশু শিহাব শেখের মৃত্যু হয় বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক কিশোর হামিম শেখ(১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছাদুল ইসলাম হামিম শেখকে যশোর কিশোর সংশোধোনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি তদন্ত মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে খাতনা দেওয়ার কৌতুহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি ক্যাচি দিয়ে খাতনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে শিশু শিহাবের মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিশোর হামিমকে আদালত কিশোর সংশোধোনাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিশু শিহাব বাড়ির উঠোনে খেলছিল। হামিম শেখ ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিশু শিহাবকে হত্যা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে, রাতে মাইকিংও করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত হামিম শেখকে আটক করে।

এ ঘটনায় শিশু শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে কিশোর হামিমকে আসামী করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার শিকার শিশু শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত কিশোর হামিম শেখ (১৭) একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে।


আরও খবর



মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা: অব্যাহতি পেলেন আনভীরসহ ৮ জন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জন।

বুধবার (২০ মার্চ) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলী।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন আনভীরের বাবা আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, মোসারাত জাহান মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করা হয়। পরে আনভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন নুসরাত জাহান। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন এবং পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২২ সালে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। পরে এ প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন মুনিয়ার বোন।

এরপর গত ১০ মার্চ নারাজির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেন। শেষ পর্যন্ত আদেশে চাঞ্চল্যকর এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জন।


আরও খবর



কুমিল্লায় ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লায় মাছবাহী ট্রাক উল্টে চার ট্রাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বারেশ্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার সদর থানা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (২৩), ভোলার মনপুরা এলাকার মনির হোসেন (২৮), একই এলাকার হাবীবুর রহমান (৩২) এবং আক্তার হোসেন (৩৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দাউদকান্দি অভিমুখে মাছ নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চান্দিনার বারেশ্বর এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাককে ধাক্কা দিয়ে মাছবাহী ট্রাকটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ট্রাকের নিচে পড়েই ৪ শ্রমিক নিহত হন। এসময় আরও তিনজন আহত হন, আহতদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর