আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৃশংস বসন্ত মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ইউক্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বেলারুশ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বসন্তের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত ইউক্রেনের বাহিনী। বহু পুরোনো টি-৭২ ট্যাংক গোলা ছুড়ে এবং পরিত্যক্ত ভবনে সেনাসদস্য প্রবেশ করিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছে তারা। সেনারা যখন এ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন ইউক্রেনের বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেরহি নাইয়েভকে দেখা গেল অস্ত্রের সরবরাহ বুঝে নিতে। ভারী মেশিনগান, আকাশযানবিধ্বংসী অস্ত্র, সবই রয়েছে তাতে। নাইয়েভের বিশ্বাস, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে মুখ্য ভূমিকা রাখবে ট্যাংক।তবে নিজেদের পুরোনো টি-৭২ ট্যাংকের ওপর আস্থা নেই তার। জার্মানির লেপার্ড ২ এবং ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার ট্যাংক এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তিনি।

নাইয়েভ বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রচুরসংখ্যক পশ্চিমা ট্যাংকের প্রয়োজন। কারণ, সেগুলো সোভিয়েত মডেলের চেয়ে অনেক বেশি ভালো এবং আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারবে। আমরা নতুন সামরিক ইউনিট তৈরি করছি। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতির ওপর। এজন্যই পশ্চিমা সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কয়েকশ ট্যাংক প্রয়োজন। এগুলো তাদের নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে এবং সামনের মাসগুলোতে শত্রুর সঙ্গে লড়তে সহায়তা করবে।

মূলত লেপার্ড ২ ট্যাংকই চাইছে ইউক্রেনের বাহিনী। কারণ, এটি ঠিক রাখা এবং পরিচালনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ। বহু ন্যাটো দেশ এখনও এটি ব্যবহার করছে। ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের অনেকেই ধারণা করেছিলেন রামস্টেইনের বৈঠকের পর তাদের আহ্বানে সাড়া মিলবে। তবে জার্মানি বাদ সাধায় ভেস্তে গেছে সে আশা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রশাসনের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আমরা এটি নিয়ে হতাশ। আমরা বুঝতে পারছি যে কিছু দেশের বাধা আছে। কিন্তু এ বিষয়ে যত দেরি করা হবে, আমাদের সৈনিক ও বেসামরিক মানুষ তত বেশি মারা যাবে। পদোলিয়াক আরও বলেন, জার্মানি এখানে নেতৃস্থানীয় অবস্থান নিলে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য হতো।

ইউক্রেনের এ উপদেষ্টার মতে, তাদের তিনশ থেকে চারশ ট্যাংকের প্রয়োজন পড়বে। যা দুই থেকে তিন হাজার সোভিয়েত আমলের ট্যাংককে পেছনে ফেলতে পারবে। এতে করে যুদ্ধের গতিতে পরিবর্তন আসবে এবং এটিকে সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।  পুরোনো ট্যাংক নিয়ে একটি দিক থেকে সমস্যায় রয়েছে ইউক্রেন। আর তা হলো, বাড়তি যন্ত্রাংশের সংকট। পুরোনো মডেলের হওয়ায় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে সারাইয়ের যন্ত্রাংশ।

ইউক্রেনীয়দের আশঙ্কা, দুই মাসের মধ্যেই রাশিয়ার হামলা শুরু হতে পারে। গত শরতে নিজেদের সেনাবাহিনীতে দেড় লাখ সেনা অন্তর্ভুক্ত করেছে রুশরা। বসন্ত নাগাদ তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফলে ইউক্রেনের জন্য বর্তমানের পুরো পরিস্থিতিটাই হচ্ছে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতাস্বরূপ।  এরই মধ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এম১ আব্রামস ট্যাংক পাবে না ইউক্রেন। কারণ, ট্যাংকগুলো শক্তিশালী হলেও এগুলো ঠিক রাখা ও পরিচালনা করা কঠিন। পেন্টাগনের শীর্ষ নীতিনির্ধারক কলিন কাহল এ প্রসঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এম১ দামি এবং এতে প্রশিক্ষণ নেওয়া কঠিন। এতে রয়েছে জেট ইঞ্জিন।

জার্মান ট্যাংক যুদ্ধে গুরুতর ভূমিকা রাখতে পারবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (আরইউএসআই) জ্যেষ্ঠ গবেষক জ্যাক ওয়াটলিংয়ের মতে, লেপার্ড ২ আধুনিক এবং ভালো সেন্সরসমৃদ্ধ সুরক্ষিত মূল যুদ্ধ ট্যাংক হতে পারবে। ইউক্রেন অবশ্য ক্রমাগত নতুন অস্ত্র পাচ্ছে। সেগুলোকে নিজস্ব কাঠামোর মধ্যেও যুক্ত করছে তারা। কিন্তু এটিরও সমস্যা রয়েছে। সামরিক বাহিনীকেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতে হচ্ছে তাদের। এ কারণেই নাইয়েভ মনে করেন, পুরো ইউনিটের একটি মাত্র বাহন থাকতে হবে। গোটা ব্যাটালিয়নের হয় ব্র্যাডলি, না হয় লেপার্ড ট্যাংক থাকা উচিত। তবে অনেক সমালোচকই বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে ভারী ট্যাংক পাঠালে তা ভুলভাবে উপস্থাপিত হতে পারে। এতে করে ন্যাটোর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা আখেরে যুদ্ধের পরিসর বাড়িয়ে তুলবে।

পদোলিয়াক অবশ্য তা মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, দ্রুত আধুনিক ট্যাংকের সরবরাহ করা হলে তা যুদ্ধকে স্থানীয় পরিসরে বেঁধে ফেলবে। তিনি বলেন, এটি ছড়াবে না, অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে থাকবে এবং ট্যাংক যুদ্ধের মাধ্যমেই সবকিছু নির্ধারিত হবে। আমরা বুঝতে পারছি, কিছু দেশ এই যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমরাই মূলত স্বাধীনতার মূল্য পরিশোধ করছি। রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আমাদের মানুষ মারা যাচ্ছে।

রুশরা যা বলছে: কিয়েভে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিশ্বের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর ভায়াচেস্লাভ ভলোদিন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে প্রকারান্তরে বিশ্বকে একটি ভয়ানক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ভলোদিন লিখেছেন, ওয়াশিংটন এবং ন্যাটো দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র আমাদের ভূখণ্ড দখলের চেষ্টায় এবং বেসামরিক নাগরিকদের বসবাসের এলাকাগুলোতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হবে। যেমনটি তারা হুমকি দিয়েছে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় আরও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহারের বাস্তবতা তৈরি হবে।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চলছে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে ভৌগলিক কারণে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়।

এই দফায় দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তর প্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আটটি আসনে ভোট হচ্ছে। এছাড়া বিহারের পাঁচটি, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে চারটি করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট হচ্ছে।

৯৬টি আসনে মোট ভোটার ১৭ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৯৭ লাখ আর নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ। ভোটের দায়িত্বে আছেন ১৯ লাখেরও বেশি কর্মী।

এর আগের তিন দফার ভোটের মধ্যদিয়ে দেশটির ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে কমিশন।

চতুর্থ ধাপে বিরোধীদলীয় নেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেশ যাদব, অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, মহুয়া মৈত্র, অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

ভারতের চলমান ১৮তম লোকসভা ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। সাত দফার ভোট শেষ হবে ১ জুন। ফল জানা যাবে ৪ জুন। বিজেপি ২০১৪, ২০১৯ সালে পরপর দু’দফায় ক্ষমতায়। দলটির লক্ষ্য তৃতীয়বারের ক্ষমতায় যাওয়া। এবারের নির্বাচনে ভারতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর



উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেকে ১০ নং ব্রিজের কাছে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির মোট পাঁচজন সহপাঠী এই লেকে গোসল করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন বেশি দূরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী জানান, দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম, আরেকজনের নাম এখনো জানতে পারিনি। নিহত আশরাফুল বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১১ নং সেক্টরে থাকতো।

ঘটনার প্রাথমিক বিবরণ দিয়ে ওসি বলেন, ওরা পাঁচ সহপাঠী লেকে গোসল করতে এসেছিল। গোসল করতে করতে দুজন বেশি দূরে চলে যায়। এক নারী সেটি দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাকি তিনজন ডুবতে থাকা দুজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করেও পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর
শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল!

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪