নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি মীমাংসার নামে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন স্থানীয় তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা করেছে। তবে পুলিশ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নিলেও ওই তিন ব্যক্তিকে আসামি করেনি।
ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত জহির উদ্দিন (৩৫) পেশায় একজন পল্লি চিকিৎসক। তিনি উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের নলেরচর গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে। চানন্দী বাজারে তার ফার্মেসি রয়েছে। ধর্ষকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া তিন ব্যক্তি হলেন- ফরাজী, ইসমাইল ও তাজু।
ধর্ষণের শিকার
কিশোরীর মা জানান, গত ২৮ জুন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার মেয়ে ঘর থেকে বের হয়।
এ সময় জহির উদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে পুকুর পাড়ে নিয়ে শরীরে ইনজেকশন পুশ করে। পরে হত্যার
ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, পরদিন
সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে আমি স্থানীয় তাজু ও ইসমাইলকে জানাই। তারা বিষয়টি মীমাংসা
করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ৮ জুলাই গভীর রাতে আমাদের না জানিয়ে চানন্দী বাজারে বৈঠকে
বসেন মালেক ফরাজী, ইসমাইল ও তাজু। মীমাংসার নামে তারা অভিযুক্ত জহিরের কাছ থেকে ৭০
হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
এ ঘটনায় গত ১৪
জুলাই ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে ধর্ষক জহিরের বিরুদ্ধে মামলা
নিলেও ওই তিন ব্যক্তিকে আসামি করেনি পুলিশ।
ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষক জহির ছাড়াও মালেক ফরাজী, ইসমাইল ও তাজুর নামে মামলা করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে শুধু জহিরকে আসামি রেখে বাকি তিনজনকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে মালেক ফরাজী, ইসমাইল ও তাজুর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মামলা করেছেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।