আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নোয়াখালীর ‘মিনি কক্সবাজারে’ গিয়ে যা যা দেখবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

কর্মব্যস্ত জীবনে একটু ফুরসত মিলতেই অবসর কাটানোর জন্য নিরিবিলি স্থানের খোঁজ করেন সবাই। এজন্য আশপাশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে একদিনের ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ খোঁজেন অনেকেই। তাদের জন্য সেরা এক গন্তব্য হলো মুছাপুর ক্লোজার

মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রথম দেখাতে মনে হবে এটি একটি সৈকত। আসলে সেখানে গেলেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ।

এ কারণে একে মিনি কক্সবাজারও বলা হয়। আবার অনেকে মুছাপুর সমুদ্র সৈকত হিসেবেও চেনেন স্থানটি। ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার। মুছাপুর নদীর তীরে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই ক্লোজার।

মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় চরের মধ্যে দক্ষিণ মুছাপুর মৌজায় ৮২১.৫৭ একর, চরবালুয়া (দিয়ারা) মৌজায় ১৮৬১.১০ একর ও চরবালুয়া মৌজায় ৬শ দশমিক ১৫ একর সর্ব মোট ৩২৮২.৮২ একর বনবিভাগের জমি জুড়ে মনোরম বনাঞ্চল আছে। এর মধ্যে মুছাপুর ফরেস্ট বাগানটি অন্যতম। এই ফরেস্ট বাগানে আছে ঝাউ, কেওড়া, পিটালী, খেজুর, লতাবল, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ।

নদীতে যখন জোয়ারের পানি উতলে উঠে, তখন ভিন্ন এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয় মুছাপুর ক্লোজারের এই ফেনী নদীতে। কয়েক কিলোমিটার প্রস্থের এই ক্লোজারের যে কোনো জায়গায় দাঁড়ালেই আপনি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।

এর আশপাশের সবুজ প্রকৃতি, গ্রামীণ পরিবেশ, পাখির কোলাহল ও মৎস্যজীবীদের জীবনাচরণ সবাইকে মুগ্ধ করবে। এছাড়া ট্রলারে কিংবা স্পীডবোটে করে ঘুরতেও পারবেন। সেখানে এখনো নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, দর্শনার্থীদের দিনে দিনেই ফিরে আসতে হয়। এছাড়া হাতে সময় নিয়ে গেলে ঘুরে আসতে পারেন ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক, বজরা শাহী মসজিদ কিংবা নিঝুম দ্বীপ থেকে। আর অবশ্যই নোয়াখালী গেলে সেখানকার বিখ্যাত নারকেলের নাড়ু, ম্যারা ও খোলাজা পিঠার স্বাদ নিয়ে আসবেন।

কীভাবে যাবেন: প্রথমে ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে নোয়াখালী যেতে হবে। নোয়াখালী জেলা শহর থেকে যে কোনো গাড়িতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বসুরহাট বাজারে যেতে হবে। বসুরহাট থেকে যাতায়াতে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত ২-৩টি পাকা সড়ক আছে। ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা হয়েও আসতে পারেন এই মুছাপুর ক্লোজারে।


আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনে তালা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

যৌন হয়রানির অভিযোগে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিসসহ সকল একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র ও সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়। এছাড়াও রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে তার বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক ছুটি নয় বরং স্থায়ী বহিষ্কার। প্রথমে তারা প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসে তালা দেন৷ পড়ে একে একে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন, প্রক্টর অফিস, সামাজিকবিজ্ঞান ভবন, ব্যাবসাপ্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে সকল প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা।

পড়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়। এরপরেই বিকাল ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ থাকার পর একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সামনে আসেন উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এসময় ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি সেটি কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুত তারা প্রতিবেদন দেবে এবং সেই অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । তোমরা শান্ত থাকো। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা এর বিচার করবো।

তবে তার এই কথায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এসময় তারা উপাচার্যের অপারগতাকে নিন্দা জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফারাবী বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকবো। যদি আজকের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হয় তাহলে আমাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আপনাদের যেতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থানে এক চুল ছাড় দেব না।

দিনব্যাপী আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। কিন্তু সকল বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ‘সুবচন নির্বাসনে’র ১ম প্রদর্শনী মঞ্চায়িত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন থিয়েটার সার্কেলের নাট্যযাত্রার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে নাটক সুবচন নির্বাসনে’ মঞ্চায়িত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় দলের ৫৬তম প্রযোজনার ১ম প্রদর্শনীর এই নাটকটি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রয়াত নাট্যজন আব্দুল্লাহ আল মামুনের রচনায় গুণী নাট্যকার ও সঙ্গীত শিল্পী শিশির রহমানের নির্দেশনায় নাটকটিতে স্থানীয় গুণী শিল্পীরা অভিনয় করে।

নাটকটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র হীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা, প্রেসিডিয়াম সদস্য উত্তম সাহা।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববির সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহিন মোঃ আমান উল্লাহ্, নাট্যকার নির্দেশক জাহাঙ্গীর আলম ঢালী, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি প্রমুখ।

অভিনয়ে অংশ নেয় শিশির রহমান, আশরাফ আলী, মাশফিক শিহাব, রবিন ঢালী, সিমান্ত দাস, দিগন্ত দাস, মেহেরুন নেছা তন্নী, ইকবাল মাহমুদ, মো: শিপন, লোকনাথ দাস, কামরুল হাসান প্রমুখ।

নাটকটিতে ফুটে উঠেছে স্কুল মাস্টার বাবার বাঙালি সমাজের প্রচলিত চিরন্তন কিছু সুবচনে বিশ্বাস। আর তিনি চান তার ছেলে-মেয়েরাও যেনো ওই সব আদর্শেই বড় হয়। বাবা বিশ্বাস করেন- সততাই মহৎ গুণ’, লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে.... ইত্যাদি। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিক জীবন-সবক্ষেত্রেই সে দেখেছে বাবার শিখিয়ে দেয়া আদর্শের পরাজয়। স্বাধীনতার পর এভাবেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে আদর্শহীনতা, নীতিহীনতা, কপটতা, ভন্ডামি ইত্যাদি। আমাদের বর্তমান সমাজ, সংসার, পরিবার, রাষ্ট্র-সব ক্ষেত্র থেকেই সুবচন আজ নির্বাসনে। বিষয়টি আরো বেশি দৃশ্যমান আমাদের রাজনীতিতে।


আরও খবর



সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

প্রশাস‌নিক ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে শেরপু‌রের নকলার পর লালম‌নিরহা‌টে সাংবা‌দিক‌দের হয়রা‌নির প্রতিবা‌দে কু‌ড়িগ্রা‌মে মানববন্ধন অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে। শুক্রবার সকা‌লে জেলা শহ‌রের ক‌লেজ‌ মো‌ড়ে কু‌ড়িগ্রাম সাংবা‌দিক ফোরাম এ মানববন্ধ‌নের আ‌য়োজন ক‌রে।

সাংবা‌দিক আব্দুল কা‌দে‌রের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে বক্তব‌্য রা‌খেন সাংবা‌দিক তাম‌জিদ হাসান তুরাগ, আরিফুল ইসলাম রিগান, বুলবুল আহ‌মেদ, রাজু আহ‌মেদ, রাশেদুজ্জামান তৌ‌হিদ, আব্দুল্লাহ মুজা‌হিদ সা‌হেদ, মাসুদ রানা, ক‌ল্লোল রায় প্রমুখ।

বক্তারা দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে সাংবা‌দিক হয়রা‌নির প্রতিবাদ জা‌নি‌য়ে ব‌লেন, গণমাধ‌্যম জনগ‌ণের মুখপাত্র। সাংবা‌দিকরা জনগ‌ণের প‌ক্ষে ক্ষমতাসীন‌দের জবাব‌দি‌হি নি‌শ্চিত কর‌তে কাজ ক‌রেন। কিন্তু কিছু সরকা‌রি কর্মচা‌রি নি‌জে‌দের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ম‌নে ক‌রেন। তারা নি‌জে‌দের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভ‌য়ে সাংবা‌দিক দেখ‌লেই ক্ষে‌পে যান। ক্ষমতার অপব‌্যবহার ক‌রে বি‌ভিন্ন ভা‌বে হয়রা‌নি করার চেষ্টা ক‌রেন। বক্তরা সাংবা‌দিক‌দের সকল ধর‌ণের হয়রা‌নি ব‌ন্ধের দা‌বি জানান।

বক্তরা আরও ব‌লেন, যখনই কোনও সরকা‌রি কর্মচা‌রির বিরু‌দ্ধে সাংবা‌দিক হয়রা‌নি ও নির্যাত‌নের অভি‌যোগ ওঠে তখন ব‌্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, বদ‌লি বা প্রত‌্যাহার ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি সাম‌লে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মচা‌রি‌দের অইনের আওতায় আনা হয় না। সম্প্রতি শেরপু‌রের নকলা ও লালম‌নিরহা‌টে সাংবা‌দিক হয়রা‌নি তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত। বক্তরা হয়রা‌নি বন্ধ ক‌রে স্বাধীন সাংবা‌দিকতার প‌রি‌বেশ নি‌শ্চিত করার দা‌বি জানান।

কু‌ড়িগ্রাম সাংবা‌দিক ফোরা‌মের আহ্বায়ক আব্দুল কা‌দের ব‌লেন, হয়রা‌নির বন্ধ ক‌রে সাংবা‌দিক সুরক্ষা আইন তৈ‌রি কর‌তে হ‌বে। এজন‌্য সারা দে‌শের সাংবা‌দিক‌দের ঐক‌্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তি‌নি।


আরও খবর



কেউ খোঁজ নেয়নি বিমানে মারা যাওয়া আছকর আলীর পরিবারের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে আছকর আলী নামে বিমানে মারা যাওয়া এক প্রবাসীর পরিবারে বইছে মাতম। ঘটনার দুই সপ্তাহ পরও কোনো খোঁজ নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ বা কুয়েতের তাঁর কর্মস্থলের কেউ। ফলে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে আছকর আলীর পরিবারের। আছকর আলী সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর ঘনশ্যাম গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মো. আছকর আলী নামের ঐ প্রবাসী কুয়েতে একটি ইট তৈরীর কারখানায় কাজ করতেন। দীর্ঘদিন পরে ১৯ জানুয়ারি দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন বিমান যোগে। দুবাই আসার পর ওই প্রবাসী বিমানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিমানের ফ্লাইটটি কলকাতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণ করে। সেখান থেকে বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আছকর আলীকে নেয়া হয় স্থানীয় আর-জে কর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে আছকর আলীকে হাসপাতালে রেখেই বিমানের ফ্লাইটটি ছেড়ে ঢাকা চলে আসে। পরে পরিবারের উদ্যোগে ২৪ জানুয়ারি ভারতের ওই হসপিটাল থেকে বাংলাদেশে আনা হয় আছকর আলীর লাশ। এর পরদিন ২৫ জানুয়ারি নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে।

আছকর আলীর আকস্মিক মৃত্যুতে চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তাঁর পরবিার। বিশেষ করে তার স্ত্রী তানিয়া ইয়াসমিন রেবেকা এবং তাদের একমাত্র কন্যা নুসরাত জাহান নূহা বারবার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। বাবার এমন আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় যেন বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছে নূহা। আর চোখে অন্ধকার দেখছেন স্ত্রী তানিয়া। নূহার শিক্ষাজীবন পড়েছেন চরম হুমকীতে। অপরদিকে স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে তানিয়া ইয়াসমিন।

গ্রামবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, অসহায় পরিবারটির জন্য এলাকার সকলেই আফসোস করছেন। তারা জানান এ পর্যন্ত আছকর আলীর কর্মস্থল থেকে কেউ কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। বিমান কর্তৃপক্ষও কোনো ধরণের যোগাযোগ করেনি। তাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবী করা হবে বলে জানান আছকর আলীর স্বজনরা।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




কুসিক নির্বাচনভোটকেন্দ্রের বাইরে দুজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুজন ইনজুরড। তবে কার সমর্থক, কীভাবে ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করে জানি না।

এদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার দাবি করেছেন গুলিবিদ্ধ দুজন তাঁর কর্মী। তিনি বলেন, আমার কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাস প্রতীকের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁরা সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, যাতে আমাদের ভোটারেরা কেন্দ্রে যেতে না পারেন।

তিনি আরও বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং অনেকে পথে আছেন। বাস প্রতীকের ক্যাডার ও কুমিল্লার চিহ্নিত ক্যাডাররা পাড়ামহল্লায় ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমার এজেন্টদের ওপর হামলা হয়েছে। সেখানে আহত হয়ে আমার একজন এজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অশোকতলা, কুচাইপট্টিসহ বিভিন্ন স্থানে আমারদের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দিয়েছে। আমি গিয়ে এজেন্টদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি।

উপনির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে লড়ছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার ও হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনকালে নিরাপত্তার জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ টিমে ৯৩৯ জন র‍্যাব সদস্য, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিমে ১ হাজার ৩৩৯ জন ও ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে আছে। এর বাইরে দুই থানার দুটি টিম রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে আছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪