জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ডা.মুরাদ হাসানের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষে উভয়পক্ষের ১০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল (৩৫), দিলখুশ (৩৫), রিপন (৩০), ছোটন, সানজিদা, সজিবসহ উভয়পক্ষের ১০জন কর্মী সমর্থক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় আজকে নির্বাচনের শেষ প্রচারণা হিসেবে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অতিক্রম করার সময় নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রের সামনে গিয়ে নৌকা নৌকা স্লোগান দেন এবং নাচানাচি করেন। এক পর্যায়ে নৌকা সমর্থকরা ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর করে। এ হামলায় উভয়পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন>> নরসিংদীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা বিতরণের অভিযোগ
এ সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রাথীর কর্মীদের দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শতাধিক নারী সমর্থকরা হামলার প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জামালপুর-সরিষাবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল মোবাইলে বলেন, ‘নৌকা প্রার্থীর ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, মির্জাল, নুরুল ও জহুরুলের নেতৃত্বে আমিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ও দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনার বিষয়ে নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল মোবাইলে বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় একটি মিছিল বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা চড়াও হয়। পরে আমার কর্মী সমর্থকরা মিছিলটি নিয়ে চলে আসে। সেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
কেন্দ্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসব তাদের সাজানো ঘটনা। তারা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমার কর্মীদের ওপরের দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তাদের এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ঘটনায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মুশফিকুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।