আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক: খোকন সেরনিয়াবাত

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক। বরিশাল নগরবাসী নৌকাকে বিজয়ী করলে উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা হবে।

কারণ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বরিশাল নগরবাসীর দীর্ঘদিনের চাঁপা কষ্ট ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়ে একজন সেবক হওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। আমিও প্রধানমন্ত্রীকে নগরবাসীর একজন সেবক হওয়ার জন্য ওয়াদা করেছি। নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত আরও বলেন, আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে নগরবাসী নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করলে এই শহরকে আমি নতুন ও শান্তিময় শহর হিসেবে গড়ে তুলবো। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের মুখ থুবড়ে পড়া বিধ্বস্ত নগরীকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে আপনাদের উপহার দেবো।

মহানগর শ্রমিক লীগের আয়োজনে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মী ও নগরবাসীর উদ্দেশ্যে খোকন সেরনিয়াবাত আরও বলেন, আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমি বেঁচে থাকতে কোনোধরনের অন্যায়, অনিয়ম ও অপরাধ হতে দেবোনা। নতুন বরিশাল গড়ারই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। প্রতিটি মানুষকে সেবা ও ভালোবাসা দিতে চাই। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আফতাফ হোসেন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. মাহমুদুল হাসান খান মামুন।

এরপূর্বে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী এবং তার আপন ফুফাত ভাই। তাই তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে প্রধানমন্ত্রী বরিশালকে তিলোত্তমা নগরী গড়ে দেবেন।

তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করা হলে আগামী দিনের নগর ভবন হবে জনগণ ও সর্বসাধারণের নগর ভবন। এজন্য তিনি (প্রতিমন্ত্রী) দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নগরবাসীকে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য আহবান করেছেন।

ঈদ পরবর্তী দলীয় নেতাকর্মী ও নগরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আপনাদের মূল্যবান ভোটে আমি নির্বাচিত হতে পারলে আর যাই হোক অতীতের মেয়রদের মতো না হয়ে দলমত নির্বিশেষে আমার বাড়ির দরজা আপনাদের জন্য সবসময় খোলা থাকবে। পাশাপাশি নগরবাসীর চাহিদাকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে সবধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। অতীতের ন্যায় নগরবাসীর ওপর কোনধরনের অপরাধ ও জুলুমকে প্রশয় দেওয়া হবেনা।

নৌকার প্রার্থী আরও বলেন, দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেইদিক থেকে বরিশাল অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাই পরিকল্পিত উন্নয়ন ও আধুনিক সিটি করপোরেশন গড়ার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী আমার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। আমার শতভাগ বিশ্বাস রয়েছে-বাংলাদেশের উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, সেইদিক বিবেচনা করে এবং প্রাধান্য দিয়ে সর্বস্তরের নগরবাসী আধুনিক ও উন্নত নগরী গড়ার লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকার বিজয় হলে সেই বিজয় হবে তিলোত্তমা বরিশাল নগরী গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা।

নির্বাচনে লড়ছেন না মনীষা: বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেশব্যাপী আলোচিত নারী নেত্রী বাসদর জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন না। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডা. মনিষা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনে কেন লড়বেন না তা জানিয়ে মনীষা চক্রবর্তী বলেন, গত নির্বাচনের দিন সকাল থেকে সমস্ত কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সাধারণ মানুষ যখন এই দৃশ্য দেখে হতবাক ও হতাশ, তখন এই জঘন্য ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমিসহ আমার কর্মী ও এজেন্টরা ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছিল। নির্বাচনের পর আমাকে নানাভাবে হয়রানি, দলের ওপর নানাধরনের হামলা, আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মনীষা চক্রবর্তী আরও বলেন, আমাদের দল বাসদ ও আমাদের রাজনৈতিক জোট বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে জনগণ পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে না, সেই ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের অনুগত দলসমূহকে নিয়ে পাতানো নির্বাচনের যে আয়োজন চলছে, তাতে অংশ নিয়ে আমরা জালিয়াতির নির্বাচনকে বৈধতা দিতে চাই না। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনে আরও একটি গায়ের জোরের নির্বাচন করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাই না। তাই আগামী ১২ জুন হতে যাওয়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের পাতানো নির্বাচন আমরা বর্জন করার ঘোষণা করছি। সংবাদ সম্মেলনে বাসদর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জনার্দন দত্ত নান্টু, জেলা সদস্য মানিক হাওলাদার, গোলাম রসূল, সন্তু মিত্র উপস্থিত ছিলেন।

৩০ ওয়ার্ডে একযোগে মিছিল : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা একযোগে তাদের দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসের সমর্থনে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে মিছিল করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডে জাপা নেতা নাজমুল হাসান সাকিব, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মান্নান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সোহরাব হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম সিকদার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হারিছুর রহমান স্বপন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ মো. আলম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান মিয়া, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হোসেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুস সোবহান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মতি মিয়া, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ফোরকান তালুকদার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ মিজানুর রহমান রতন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মঞ্জুরুল আলম খোকন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাইদুল ইসলাম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলহাজ মো. শাহেদ আলী, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নুরু খলিফা, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কামাল সিকদার, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রুস্তুম আলী খান, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খলিলুর রহমান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইউসুফ হাওলাদার, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আরাফাত রহমান তাহির, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল বাশার, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট এমএ জলিল এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ইউনুস মিয়ার নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে মিছিল করা হয়।

ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার আহবান : আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস। ২৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে নগরীর অক্সেফোর্ড মিশন রোডস্থ তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কর্মীসভায় তিনি এ আহবান করেন।

মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, নগরবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি সিক্ত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাহাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

জাতীয় পার্টির মহানগর আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্টির জেলার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এমএ জলিল, মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম গফুর, রুস্তুম আলী খান, আকতার রহমান, ফোরকান তালুকদার, জাতীয় যুব সংহতির মহানগরের আহবায়ক অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের মহানগরের আহবায়ক হাওলাদার মো. জাহিদ, সদস্য সচিব মিরাজ খান প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: খোকন সেরনিয়াবাত

আরও খবর



চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ

সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাসান ইমাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আযম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে পলকের শ্যালক রুবেলের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে অব্যাহতি পাওয়া এ ২ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হলে পলকের নির্দেশে তার শ্যালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্যাতিত দেলোয়ারকে মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।


আরও খবর



জয়পুরহাট হিমাগারে আলু পচন, ক্ষুদ্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগারে রাখা আলুতে পচন ধরেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। আলুতে পচনের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একই মালিকের দুটি হিমাগার মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগার এবং মুসলিমগঞ্জ মান্নান বীজ হিমাগারে রোমানা জাতের আলু প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের ৩০ হাজার বস্তা পচা ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংবাদ দিয়ে তাদের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু বের করে দিচ্ছে। বস্তা খুলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে। বাজারে যেখানে ৬০ কেজি আলুর দাম ২৫শ টাকা সেখানে হিমাগারে শেডে পাইকারি বিক্রি করছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীর প্রতি বস্তায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা।

হিমাগার চুক্তিভিত্তিক আলু বাছাইকারী নারী শ্রমিক দেলোয়ারা বেগম, রওশন আরা, ফিরোজা জানান, প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু থাকে, সেখানে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে।

উদয়পুর ইউনিয়নের সানাইপুকুর গ্রামের খায়রল ইসলাম বলেন, নষ্ট আলু নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো বস্তাপ্রতি ৩৪০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এল্লাগাড়ি গ্রামের ইয়াছিন বলেন, অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাই না।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমাগারে নিয়ে আসা আলুর বয়স কম এবং আলুর সঙ্গে মাটি লেগে থাকার কারণে এই পচন ধরেছে। রোমানা জাতের আলু ছাড়া অন্য কোনো জাতের আলুতে পচন ধরেনি।

কালাই কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত।


আরও খবর



প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সোমবার (৬ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়। তবে তাপদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা ছাড়াও প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।


আরও খবর



সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এই ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছেন ইসলাম ধর্মের হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা। তারা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা। সে অনুযায়ী, আজ ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা শেরপুর, বরিশাল, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, জামালপুর, বরগুনাসহ অনেক জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

চাঁদপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

নোয়াখালী : সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) দুই উপজেলার ৯টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তারা।

গ্রামগুলো হলো-নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

চট্টগ্রাম : সৌদি আরবের আকাশে দেখা গেছে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

জানা গেছে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেননি। বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ উদযাপন করবেন তারা।

দিনাজপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দর, কাহারোল, বিরামপুর, বীরগঞ্জসহ জেলার আরও কিছু এলাকায় আজ ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

জামালপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার, মূলবাড়ি, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, বাউসী, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, পাটাবুগা ও দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামের ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

ঝিনাইদহ : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিরত উদ্‌যাপন করছেন কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা। এ ছাড়া উপজেলার পায়রাডাঙ্গা, ভালকি ও নিত্যানন্দপুরেও ঈদের ছোট ছোট জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী বদরপুর দরবার শরীফসহ জেলার ২৭ গ্রামে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সদর উপজেলার বদরপুর দরগাহ শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার বদরপুর ছাড়াও জেলার কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা ও দুমকি উপজেলার অন্তত ২৭ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের নয় গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা একাংশ।

লালমনিরহাট : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এ ছাড়া রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ এবং কোদালকাটি ইউনিয়নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সদর উপজেলার বাউকোলা, ভাড়ুখালী, আখড়াখোলা, তলুইগাছা, তালা উপজেলার ইসলামকাটি, কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া, পাইকগাছা, খলিলনগর এলাকার অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর