কামরুল হাসান রুবেল, রাঙ্গাবালী
জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাকে ঝাকে ইলিশ। নৌকা বোঝাই মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন সাগরের জেলেরা। পাখির কলরবে যখন ঘুম ভাঙ্গে সেই কাক ডাকা ভোর থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার হাক ডাকে স্বর গরম হতে থাকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় ফিসারিস ঘাট গুলো। শুধু ইলিশই নয় এই ঘাট গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সাগর থেকে আসা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জেলেরা সঠিক ভাবে পালন করায় সাগরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
পটুয়াখালীর ফিসারিস ঘাট গুলোতে ফিসিং বোড থেকে এভাবেই নামছে ককসেট ও ঝুরি ভর্তি ইলিশ। সাজানোর পর বিক্রির জন্য চলছে নিলামের হাকডাক। জেলেদের জালে ধরা পরছে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের ঝাকে ঝাকে ইলিশ। তবে বাজারে ইলিশের দাম এখনো সেভাবে কমেনি। এক কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ থেকে ১৩শ টাকা । তবে সাগরে শুধু ইলিশই নয় জেলেদের জালে ধরা পরছে কোড়াল, পোমা, লট্টা, ডান্ডাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এসব দেশীয় প্রজাতির মাছের দাম কিছুটা কমে এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। বাজারে মাছের দাম ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। জেলেরা বলছে পার্শবর্তী নদী গুলোতে মাছের তেমন দেখা মিলছেনা। তবে সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সাগরে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ বেড়েছে। এভাবে মাছ পড়লে ও দাম ভালো থাকলে লোকশান কাটিয়ে উঠতে পাড়বে জেলেরা। সাগর থেকে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ফিসারিস ঘাটে এসে মাছ বিক্রি করে আবার সাগরে ফিরে যাচ্ছেন জেলেরা।
জেলে মাহবুব বলেন,নিষেধাজ্ঞা কালিন সময় আমরা ঘাটে বসে ঋন করে খেয়েছি। এখন যে ভাবে মাছ পরছে এবং বাজার দর যে ভাবে আছে তাতে আমরা আমাদের ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে পারবো।
কোড়ালিয়া মৎস বন্দর মালিক সমিতির সভাপতি বসির প্যাদা বলেন, সাগরে জেলেদের জালে ঝাকে ঝাকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে আরো বেশী ইলিশ ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন মৎস বন্দর মালিক সমিতির এই নেতা।
শেকৃবির ফিশারিজ,একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদ এর বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জেলেরা সঠিক ভাবে পালন করায় সাগরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে এবং মাছের সাইজও বড় হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৪৮ হাজার। মৎস বিভাগের তথ্য মতে নিবন্ধিত অনিবন্ধিত মিলিয়ে এ জেলায় মোট ১ লাখেরও বেশী জেলে রয়েছে।