আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নওগাঁয় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ৮ জুয়াড়ি আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নওগাঁ থেকে হাবিবুর রহমান:

 নওগাঁ পৌরবাজার এলাকা থেকে ৮ জুয়াড়িসহ জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ। এর আগে গতকাল ৭ অক্টোবর রাতে পৌরবাজার এলাকা তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, আত্রাই উপজেলার সিংবাচা গ্রামের জুয়েল (৩৫) কালিকাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ (৩৫) সদর উপজেলার জালাল হোসেন (৩৫) সম্রাট হোসেন (৩২) আফতাব (৩৫) মো: তুফান (২০) জয়নুল উদ্দিন মোল্লা (৩৯) মোঃ সাহেব আলী (৪৬)।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে সদর উপজেলার খাস নওগাঁ মরাকাটা রোড এলাকায় জুয়েলের ভাড়া করা অটো চার্জার গ্যারেজে জুয়া খেলা চলছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় সেখানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম এবং নগদ ১৫ হাজার ৯২০ টাকা, ১০টি মোবাইল সেটসহ ৮ জুয়ারীকে আটক করা হয়।

ওসি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। এরপর আজ আদালতে পেরন করা হবে।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সোমালি জলদস্যুরা, ছবি প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’তে অবস্থানরত ৪ সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে জাহাজে টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে। তাদেরকে জাহাজের উপরের অংশে দেখা গেছে।

এক্সের ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহর হাইজ্যাক হওয়ার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই (১২ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে। ভারতের যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।

এদিকে ইইউ নৌবাহিনীও অপারেশন আটলান্টার আওতায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। শুক্রবার সকালে ইইউ নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সংগৃহীত ভিজ্যুয়াল তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে জাহাজটিতে কমপক্ষে ১২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।

তবে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে দস্যুরা এখনো কোনো দাবি জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা মুক্তিপণের দাবি জানাতে কিছুটা সময় নিচ্ছে।

এদিকে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিকের স্বজনরা দেশে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিদিন বারবার যোগাযোগ করছেন জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে।


আরও খবর



নিখোঁজের পরদিন ভুট্টা ক্ষেতে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নিখোঁজের একদিন পর ভুট্টা খেতে মিলল সোহেল হোসেন (৩৫) নামের এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর মরদেহ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের পাশের ভুট্টা খেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে দোকান থেকে নিখোঁজ হন সোহেল।

নিহত সোহেল হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীর এয়ারপোর্ট মোড় থেকে ইলেকট্রিক দোকানদার সোহেল হোসেন নিখোঁজ হয়। রাত গভীর হওয়ায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও লালপুর থানায় খোঁজ নেন। সেখানেও না পেয়ে আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের (বিমানবন্দর) পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইল দিয়ে একটি মহিলা যাওয়ার পথে সোহেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন। সোহেল স্থানীয়ভাবে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত। ভুট্টা ক্ষেতটি লালপুর থানার অধীনে হওয়ায় সেখানে লালপুর থানার পুলিশ  প্রাথমিক তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। মৃত সোহেল মিস্ত্রির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ইসলামি বক্তা লুৎফর রহমান মারা গেছেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মারা যান। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার।

এর আগে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তাকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) রাখা হয়। তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। কর্মজীবনে তিনি টেকনাফের রঙ্গীখালী দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।


আরও খবর



প্রথম ১০ রোজায় যেসব দোয়া পড়বেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসূল (সা). আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।

হযরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সা. শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমাত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অর্থাৎ রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা ১৮৮৭)

হাদিস বিশারদগণ এই রহমত শব্দের ব্যাখ্যা করে বলেছেন, মূলত রমজানের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা মুমিন বান্দাদের মাঝে রহমত ও দয়া বণ্টন করতে থাকেন। আসুন জেনে নিই প্রথম ১০ রমজানে যে দশটি দোয়া পড়বেন:

প্রথম রোজার দোয়া

الیوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِیامی فیهِ صِیامَ الصّائِمینَ، وَقِیامی فیهِ قیامَ الْقائِمینَ، وَنَبِّهْنی فیهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلینَ، وَهَبْ لى جُرْمی فیهِ یا اِلـهَ الْعالَمینَ، وَاعْفُ عَنّی یا عافِیاً عَنْ الْمجْرِمینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক; এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী।

দ্বিতীয় রোজার দোয়া

الیوم الثّانی : اَللّـهُمَّ قَرِّبْنی فیهِ اِلى مَرْضاتِکَ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ سَخَطِکَ وَنَقِماتِکَ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِقِرآءَةِ ایـاتِکَ بِرَحْمَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।

তৃতীয় রোজার দোয়া

الیوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبیهَ، وَباعِدْنی فیهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْویهِ، وَاجْعَلْ لى نَصیباً مِنْ کُلِّ خَیْر تُنْزِلُ فیهِ، بِجُودِکَ یا اَجْوَدَ الاْجْوَدینَ.

অর্থ: হে আল্লাহ; আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।

চতুর্থ রোজার দোয়া

الیوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّنی فیهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِکَ، وَاَذِقْنی فیهِ حَلاوَةَ ذِکْرِکَ، وَاَوْزِعْنی فیهِ لاِداءِ شُکْرِکَ بِکَرَمِکَ، وَاحْفَظْنی فیهِ بِحِفْظِکَ وَسَتْرِکَ، یا اَبْصَرَ النّاظِرینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর।

পঞ্চম রোজার দোয়া

الیوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرینَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنْ عِبادِکَ الصّالِحینَ اْلقانِتینَ، وَاجْعَلنی فیهِ مِنْ اَوْلِیائِکَ الْمُقَرَّبینَ، بِرَأْفَتِکَ یا اَرْحَمَ الرّاحِمینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান ।

ষষ্ঠ রোজার দোয়া

الیوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْنی فیهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِیَتِکَ، وَلاتَضْرِبْنی بِسِیاطِ نَقِمَتِکَ، وَزَحْزِحْنی فیهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِکَ، بِمَنِّکَ وَاَیادیکَ یا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করোনা। তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিও না। সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো। হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস।

সপ্তম রোজার দোয়া

الیوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّی فِیهِ عَلى صِیامِهِ وَقِیامِهِ، وَجَنِّبْنی فیهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْنی فیهِ ذِکْرَکَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفیقِکَ یا هادِیَ الْمُضِلّینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর। আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো। তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও। হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী।

অষ্টম রোজার দোয়া

الیوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْنی فیهِ رَحْمَةَ الاَْیْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْکِرامِ، بِطَولِکَ یا مَلْجَاَ الاْمِلینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও। হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল।

নবম রোজার দোয়া

الیوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لی فیهِ نَصیباً مِنْ رَحْمَتِکَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِنی فیهِ لِبَراهینِکَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِیَتی اِلى مَرْضاتِکَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِکَ یا اَمَلَ الْمُشْتاقینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে। হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল। তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও।

দশম রোজার দোয়া

الیوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُتَوَکِّلینَ عَلَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْفائِزینَ لَدَیْکَ، وَاجْعَلْنی فیهِ مِنَ الْمُقَرَّبینَ اِلَیْکَ، بِاِحْسانِکَ یا غایَةَ الطّالِبینَ .

অর্থ: হে আল্লাহ; তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্য লাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। আগামীকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর প্রতি রাষ্ট্রপতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি এবং উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।

তিনি বলেন, নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য, নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে নারীদের সমঅধিকার, সমসুযোগ ও সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল হিসাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিধিমালা-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮, ডিএনএ আইন-২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশি নারীদের জয়রথ এগিয়ে যাক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেএটাই আমার প্রত্যাশা।


আরও খবর