উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নওগাঁর মান্দা, আত্রাই, রাণীনগর ও মহাদেবপুরে ১২টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত তিন হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে চার হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেতসহ ফসলের জমি। ভেঁসে গেছে ৪০/৫০ পুকুরের মাছ। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনটি রাস্তার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে পথযাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডে ও সংশ্লিষ্টদের গাফলিতে এই ক্ষয়ক্ষতির মুখে পরেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই নদের পানি মান্দায় বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার, আত্রাইয়ে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মান্দায় ৮টি, রাণীনগরে ১টি আত্রাইয়ে ২টি ও মহাদেবপুরে ১টি স্থান ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছেন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের কাজ করছেন স্থানীয়রা।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, গত রোববার সকাল থেকে আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশগুলো আমরা স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে জিওব্যাগের মাধ্যমে মেরামতের চেস্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে। নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।